०२४8 l) বৌদ্ধদিগের মধ্যেও পৌত্তলিকতা প্রবেশ করিয়া ছিল কিন্তু সে এক বুদ্ধের উপাসনা মাত্র-হিন্দুদিগের পৌত্তলিকতা দেশভেদে ভিন্ন । যে দেশের লোক যে দেবতা চার সে সেই দেবতা উপাসনা করিতে পারে। শ্ৰীকৃষ্ণ স্বয়ং বলিয়াছেন। যো যো যাং যাং তস্থ-ভক্ত: শ্রদ্ধয়ার্চিতুমৰ্হতি । তস্য তস্যাচলাং শ্রদ্ধাং তামেব ৰিদধা भJश्* ॥ শিবভক্ত শিব উপাসনা করিল—বিষ্ণুভক্ত বিষ্ণু উপাসনা করিল—অথচ ব্রাহ্মণের সৰ্ব্বত্র মান্য হইল। উপরিউক্ত প্রবন্ধে প্রমাণ হইবে ইতর লোককে স্বধৰ্ম্মে আনয়ন করিবার জন্য বাহিক যে সকল আড়ম্বর আবশ্যক,তাহাতে বৌদ্ধ অপেক্ষা ব্রাহ্মণের সৌভাগ্য অধিক । (ভক্তিশাস্ত্র) মতামত সম্বন্ধেও সাধারণ লোক মোহিত করিবার পক্ষে হিন্দুদিগের প্রাধান্ত ঘটিয়া উঠিল। বৈদিক সময়ে যাগযজ্ঞ স্বৰ্গলাভের উপায় ছিল। বুদ্ধিবিপ্লবের সময় জ্ঞানই হয় সাযুজ্য, নয় সালোক্য, না হয় নিৰ্ব্বাণ লাভের একমাত্র উপায় পরিগণিত হয়। এই সময়ে ভক্তিমাৰ্গ ব্রাহ্মণের উপদেশ দিতে আরম্ভ করেন। * শাগুিল্যদেব বেদ উপনিষদাদিতে নিঃশ্ৰেয়স্লাভের উপায় না দেখিয়া এই ভক্তিমাৰ্গ প্রচার করেন। এই ভক্তি এই সময়ে হিন্দুদিগের মূলমন্ত্র হয়। ব্রাহ্মণ ও শ্রমণ।
- 33}
ভক্তি কাহীকে বলে শাণ্ডিল্যের প্রথম স্বত্র এই— 魯 “ সা পরামুরক্তি রীশ্বরে।” ঈশ্বরে অর্থাৎ যে কোন দেবতায় পরম অনুরাগই ভক্তি—সকলের সার ভক্তি : মুক্তিতার দাসী । পুরাণ বরাবর এই দুই স্বরে গাইয়াছেন, ভক্তি ও জ্ঞান। জ্ঞান শিক্ষিতদিগেয় জন্য, ভক্তি অশিক্ষিতের জন্য । ভক্তিতে শুদ্ধ যে অনার্য্যগণ মোহিত হন এমন নহে–ভক্তিতে অনেক খাটি বৌদ্ধও গলিয়া দেবোপাসক হুইয়াছেন। ভক্তিশাস্ত্র যে নাস্তিক্য নিবারণের প্রধান উপায়, তাহ শুদ্ধ যে আমরাই বলিতেছি এমন নহে, প্রবোধ চন্দ্রোদয় নাটককার তাহার আশ্চর্য্য क्र°क <इ छांदर्तांकू, भशष्मांश्, cदोक প্রভৃতি যে সকল হিন্দুধৰ্ম্মবিরোধী পত্র প্রবেশ করাইয়াছেন, তাহীদের কেবল ভয় যে, যোগিনী বিষ্ণুভক্তি তাহাদিগকে ন। তাড়াইতে পারে। ভক্তি গাঢ় হইয়া একবার মস্তকে প্রবেশ করিলে লোকেয় বুদ্ধিগুলি উচ্চতর সমালোচনার কিরূপ অপারগ হয় তাহা আমরা প্রত্যহ দেখিতে পাইতেছি । সুতরাং চাৰ্ব্বাক ও বৌদ্ধ যে উহাকে ভয় করিবে আশ্চৰ্য্য কি ? (বেদীতে বসিয়া ধৰ্ম্ম প্রচার) হিন্দুরা প্রচার কার্য্যও ছাড়েন নাই। বেীদ্ধের তাহদের ধৰ্ম্মশাস্ত্র প্রচার করিত। হিন্দুরা শেষ পুরাণ পাঠ আরম্ভ করিলেন। পুরাণে পাই যে নৈমিষারণ্য বা আর