পাতা:বঙ্গদর্শন-পঞ্চম খন্ড.djvu/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰঙ্কফুর্শন । . هیه তাছাতে আস্থা রাখিতে পারেন.না বটে, কিন্তু তিনি দেখিতে পান যে, বিশ্বরচনা এমনই চমৎকার যে পুরস্কার অথবা শাস্তি কাৰ্য্যের অবশ্যম্ভাবী ফল । " দেখিতে পান যে, অবাধ্যতার বিযময় ফল অপরিহার্য্য। দেখিতে পfন ষে,মমুয্য যে সকল শ ব্রুর অধীন, তাহার ক্ষেমঙ্কর এবং অব্যভিচারী। দুঃখ যেমন অবাধ্যতার অনিব{ৰ্য্য ফল, বাধ্যতার অবশু প্রাপ্তব্য ফল তেমনি অধিকতর সম্পূর্ণতা,উচ্চতর সুখ । সুতরাং তিনি অবাধ্যতার যার পর নাই বিরোধী। সুতরাং তিনি নিজে বাধ্য এবং অপরকে বাধ্য দেখিতে ইচ্ছা করেন । সুতরাং বিজ্ঞান ধৰ্ম্মভাব প্রসবিনী । অতএব যথার্থ জ্ঞান, প্রচলিত ধৰ্ম্মসমূহের বিরোধী হইলেও, ধৰ্ম্মভাবের বিরোধী নহে-বরং পরিপোষক। স্পেনসরের বিশ্বাস এইরূপ । মানব-লভ্য জ্ঞানের সীমা আছে । সে সীমা যে মনুয্যশক্তির-অনতিক্রম্য তাহ। জ্ঞানই আমাদিগকে স্পষ্ট করিয়া বুঝাইয়া দেয় । বুঝাইয়া দেয় যে,.এ বিশ্বের চরম কারণ, মূল শক্তি, মনুষ্যবুদ্ধির অতীত। সুতরাং দেখাইয়া দেয় যে, মনুষ্যশক্তি অতি ক্ষুদ্র। যে মহান শক্তি বিশ্বের আধার—প্রকৃতি, জীবন, চিন্ত৷ যাহার মুৰ্বিপরম্পরা মাত্ৰ-সে শক্তি যে কেবল মাত্র জ্ঞানের অতীত নহে, ধার৭ারও অতীত, তাহা জ্ঞানই আমাদিগকে দেখাইয়া দেয়। নম্রতা, আপনার ক্ষুদ্রত্ব iন, বিশ্ব শক্তির মহত্ব জ্ঞান, এ সকল (ॐांद१ যদি ধৰ্ম্মভাবের অংশ হয়, তাহা হইলে জ্ঞান অবশ্য ধৰ্ম্মভাবের পরিপ্লোষক । গল-শিষ্য স্পট্‌জাইম বলেন, ভক্তিই ধৰ্ম্মভাবের সার। যদি তাহা হয়, তাহ হইলে যথার্থ জ্ঞানের ন্যায় ধৰ্ম্মভাবপো ষণানুকূল আর কি ? কেন না বিশ্বশক্তিত্ব মহত্ব জ্ঞান পরিপুষ্ট করিতে অমন তার কি ? অতএব জ্ঞান, ধৰ্ম্মবিশেষের অথবা প্রচলিত ধৰ্ম্মপ্রণালী সমূহের বিরোধী হইতে পারে, কিন্তু ধৰ্ম্মভাবের প্রতিকূল নহে । যে কোমৎ সৰ্ব্বধৰ্ম্মবিরে,ধী, সেই কোম্ৎই আবার নবধৰ্ম্ম সংস্থাপন করিয়াছিলেন বলিয়া আপনাকে পরম গৌরবান্বিত মনে করিতেন। র্তাহার বিশ্বাস ছিল, যে ইহাই তাহার জীবনের প্রধান গৌরব । অধ্যাপক হক্সলি এ সম্বন্ধে একস্থলে এইরূপ লিখিয়াছেন ;–“যথার্থ জ্ঞান এবং যথার্থ ধৰ্ম্ম, যমজ ভগিনী ; এক হইতে ফুরের পার্থক্য উভয়েরই মৃত্যুর কারণ । জ্ঞান যে পরিমাণে ধৰ্ম্মজীবন, জ্ঞানের সেই পরিমাণে শ্ৰীবৃদ্ধি ধৰ্ম্মও ষে পরিমাণে প্রমামুলক, ধৰ্ম্মের সেই পরিমাণে শ্ৰীবৃদ্ধি । জ্ঞানাতুরাগীদিগের মহৎ কীৰ্ত্তিস্তম্ভ সকল, র্ততট। তাহাদের বুদ্ধির ফল নহে, যতটা সেই বুদ্ধির ধৰ্ম্ম ভাব নির্দেশিত গতির ফল। র্তাহারা যে সকল সত্যের আবিষ্কার, যে সকল তত্ত্ব সংস্থাপন কয়িয়ছেন, সে সকল, ততটা তাহীদের বুদ্ধির প্রাথর্য্যনিবন্ধন নহে, মন্তটা উহাদের সহিষ্ণুতা,র্তাহাদের