১৭২ বাসিগণ শিথিলাঙ্গ, কোমলহৃদয়,আলস্যभन्न इद्देश । यांक्ष्ब्रो प्लेमझश्रृंज्ञ१ कांभनाङ्ग দেশে দেশে পরিভূমণ করিতে বাধা, যাহার প্রতিদিন জলযানে বা পদব্রজে হংস্র জন্তুসহ যুদ্ধ করিয়া খাদ্য অর্জন করিতে বাধ্য, তাহীদের অঙ্গ বল বা মানসিক সাহস এতাদৃশ বণিক নিকেতনে স্থায়ী হওয়া অসম্ভব; ক্রমে যুদ্ধে ইহাদের নিতান্ত অপ্রবৃত্তি জন্মিয়াছিল। বিগ্ৰহ বৰ্ব্বয়ের কৰ্ম্ম বলিয়া ইটালী সমাজে পরিগণিত হইল। অস্ত্র-বিদ্যার হ্রাসের সহিত সাহসের হ্রাস হইয়া এই সুন্দর সুসভ্য দয়া চিত্ত ইটালিয়ন জাতিচয় অবনতিপ্রাপ্ত হইল। পরে কপটতা ও চাতুৰ্য্য ইহাদের প্রধান অস্ত্র হইয়া উঠিল; নরহত্যা, ভিক্ষ, দুর্ভিক্ষ, হতাশ, দাসত্বে দেশ ব্যাপ্ত হইল । আর এক দিকে বাঙ্গালার প্রতি দৃষ্টিনিক্ষেপ কর । সময়সাগরে পুরাবৃত্ত তরী যত উজান বহিয়া যাও ভারতক্ষেত্রে কোথাও সভ্যতা অপ্রতিহত দেখিবার নাই । বাহ্যিক সৌভাগ্যেরই বা হ্রাস কোথায় ? প্রান্তরে প্রচুর শস্য: দায়ী ক্ষেত্র, নগরে প্রচুর শিল্পনিপুণ পুরবাসিগণ । সেই তারত-অন্তর্গত মহারাজ্য আদিম কাল হইতে সৌভাগ্যশালী। বেদ, দর্শন, কাব্য, বিজ্ঞান, স্মৃতি, পুরাণ যাহা ভারতের মানসিক ভাণ্ডার ও পৃথিবীর গৌরব তাহাতে বঙ্গদেশ স্বত্বাধিকারী। বৌদ্ধমতাবলী পাল, নৃপতিকুলের সময় হইতে পলাশিযুদ্ধের বঙ্গদর্শন। ( ॐांद*। দিন পর্যন্ত, দুর্ভাগ্য, অত্যাচারপীড়িত হইয়াও আমরা কি কখন সভ্যতাবিরহিত ? স্বদেশজাত সামগ্রী ও স্ব স্ব শিল্পনৈ পুণ্যে আমাদের নির্ভর ছিল। বিদেশীয় সামগ্রীতে তামাদের দৃষ্টি ছিল না ; অন্ন, বস্ত্র, অস্ত্র, ধাতুনিৰ্ম্মিত প্রয়োজনীয় দ্রব্য, অলঙ্কার, বিরামদায়ী তাবৎ দ্রব্যই গৃহজাত, বরং আমাদের উদ্ভূক্ত সামগ্ৰীসমূহ অপর দেশের নিতান্ত প্রয়োজনীয় বা সমূদ্ধির পরিপোষক ছিল । তখন আমাদের নগরগুলি লোকসমাকীর্ণ। অবনীবিখ্যাত গৌড় নগরের ত কথাই নাই ! ঢাকা, বিক্রমপুর, স্বর্ণগ্রাম, সপ্তগ্রাম, তমলুক, বনবিষ্ণুপুর, কাশিমগঞ্জ, প্রসিদ্ধ বাণিজ্য স্থল ছিল। একথা সাধারণতঃ প্রকাশ নাই যে এক চন্দ্রকোণ নগরেই ১৪০০০ হাজার তত্ত্ববায় বংশ অহরহঃ বস্ত্রনিৰ্ম্মাণে ব্যস্ত থাকিত; এখনও লোকে কহিয়া থাকে এ সহরে “ বায়ান্ন বাজার ও তিপ্লাল্ল গ’ল” ছিল; এক সময় ঐ চন্দ্রকোণার ঘন বুনন বসন সমস্ত বঙ্গরাজ্যে গৃহস্থের আচ্ছাদনের প্রধান, সংস্থান ছিল। শিল্পীদের মধ্যে রেসম ও কাপাস ও তন্নিৰ্ম্মিত বস্ত্র জন্য বঙ্গদেশ চিরবিখ্যাত । যে সমরে রোম রাজ্যে অরিলিয়ন (२१० হইতে ২৭৫ খ্ৰীঃ পৰ্য্যস্ত)অধিপতি ছিলেন, তখন রোম নগরে বঙ্গদেশ-জাত রেশমী বস্ত্র স্বর্ণমুদ্রার সহিত সমান ওজনে বিক্রীত হইত। বাগদাদের খলিফা, পারসিয়ার সাহঁ বা দিল্লীর মোগল নৃপতিগণ এই বঙ্গদেশের রেশমী বস্ত্রে মোহিত ছিলেন;
পাতা:বঙ্গদর্শন-পঞ্চম খন্ড.djvu/১৬৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।