১২৮৪ i) বলিল, “এখন আর আমার চুরির প্রয়োজন নাই । আমি আর টাকার কাঙ্গাল নহি । মেজ বাবুর অল্প গ্রহে,আমার আর খাইবার পরিবার দুঃখ নাই। তবে লোকে ষতটা বলে ততটা নহে ।” ভ্রমর বলিল, “ তুমি এখান হইতে छूद्र श्७ ।” রোহিণী সে কথা কাণে না তুলিয়া বলতে লাগিল, “ লোকে যতটা বলে ততটা নহে। লোকে বলে আমি সাত হাজার টাকার গহন পাইয়াছি । মোটে তিন হাজার টাকার গহনা, আর এই সাড়ী খানি পাইয়াছি । তাই তোমায় দেখাইতে আসিয়াছি। সাত হাজার টাকা লোকে বলে কেন ?” এই বলিয়া রোহিণী পুটুলি খুলিয়া বানারসী সাড়ী ও গিলটির গহন গুলি ভ্রমরকে দেখাইল । ভ্রমর নাথি মারিয়া অলঙ্কার গুলি চারিদিকে ছড়াইয়া দিল । রোহিণী বলিল, “ সোনার পা দিতে নাই ।” - এই বলিয়া রোহিণী নিঃশব্দে গিলটির অলঙ্কার গুলিন একে একে কুড়াইয়। আবার পুটুলি বধিল । পুটুলি বধিয়া, নিঃশব্দে সেখান হইতে বাহির হইয় গেল । * আমাদের বড় ছঃখ রহিল। ভ্রমর ক্ষীরোদাকে পিটিয়া দিয়াছিল, কিন্তু রোহিণীকে একটি কীলও মারিল না, এই আমাদের আস্তয়িক দুঃখ । আমরা উপস্থিত থাকিলে, রোহিণীকে বে স্বহস্তে এইtধ করি তাম, তদ্বিষয়ে আমাদিগের কৃষ্ণকান্তের উইল ➢ ግእ কোন সংশয়ই নাই। স্ত্রীলোকের গায়ে হাত তুলিতে নাই এ কথা মানি । কিন্তু রাক্ষসী বা পিশাচীর গায়ে যে হাত তুলিতে নাই, একথা তত মানি না। তবে ভ্রমর ষে রোহিণীকে কেন মারিল না, তাহা বুঝাইতে পারি। ভ্রমণ্ড ক্ষীরোদাকে ভাল বাসিত, সেই জন্য তাহাকে মারপিট করিয়াছিল। রোহি, ণীকে ভাল বাসিত না, এ জন্য হাত উঠিল না । ছেলেয় ছেলের ঝগড়া করিলে জননী আপনার ছেলেটিকে মারে, পরের ছেলেটিকে মারে না । ত্রয়োবিংশতিতম পরিচ্ছেদ । cग ब्राजि थडांङ न श्हेrउहे खुशब স্বামীকে পত্র লিখিতে বসিল । লেখা পড়া গোবিন্দলাল শিখাইয়াছিলেন,কিন্তু ভমর লেখাপড়ায় তত মজবুত হইয় উঠে নাই। ফুলটি পুতুলটি পাখীটি স্বামীটিতে ভুমরের মন, লেখা পড়া বা গৃহকৰ্ম্মে তত নহে। কাগজ লইয়া লিখিতে বসিলে, একবার মুছিত, একবার কাটিত, একবার কাগজ বদলাইয়া আবার মুছিত, আবার কাটিত । শেষ ফেলিয়া রাখিত। দুই তিন দিনে একথান। পত্র শেব হইত না। কিন্তু আজ সে সকল কিছু হুইল না । তেড়া বাক ছাদে, যাহা লেখনীর অগ্রে বাহির হইল, আজ তাহাই ভুমরের মঞ্জুর। “ম” গুলা “স” র মত হইল— “স”গুণ “ম” র মত হুইল—“ধ” গুলা
পাতা:বঙ্গদর্শন-পঞ্চম খন্ড.djvu/১৭২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।