* :e a ব্যক্তির ক্ষতস্থানে প্রলেপ দিলে উপকার হয়। যাহারা সপবিষে তুলসীর পরীক্ষা করিয়াছেন তাহদের নিকট শুনা যায় যে তুলসীপত্রের রস চক্ষে, নাসায়ন্ধে এবং ওষ্ঠ মধ্যে প্রবেশ করাইলে মৃতবৎ ব্যক্তিরও চেতন হয় কিন্তু একথা কতদূর সত্য তাহ আমরা বলিতে পারি না ফলতঃ তুলসী যে আমাদের বিশেষ উপকারী তাহ বহুকালাবধি লোকের বিশ্বাস আছে। ছিন্দুশাস্ত্রানুসারে স্বয়ং বিষ্ণুর তুলসীপত্রে বিশেষ অনুরাগ। বিষ্ণু এই স্বষ্টির রক্ষাকর্তা, সকল ঔষধ বাছিয়া তুলসীকে প্রধান স্থান দিয়াছেন। তুলসী বিষয়, ও জরম্ন ইহা অনেকেই জানেন ; ইহার রসে দক্র প্রভৃতি অনেক প্রকার চৰ্ম্মরোগ ভাল হয় । আবার গুনা যায় তুলসী বাটতে রোপণ করিলে বায়ুর দোষ নষ্ট করে। তুলসীর মালা শরীরের পক্ষে বিশেষ উপকারী। ফলতঃ বোধ হয় অন্য অপেক্ষা তুলসীভক্ত বৈষ্ণবের স্বাস্থ্যরক্ষা ভাল হর । কোন বিজ্ঞানবিং পণ্ডিতের দ্বার তুলসীর গুণাগুণ এ পর্য্যস্ত পরীক্ষিত হয় নাই, যতদিন তাহ না হয় ততদিন আমরা সাহস করিয়া তুলসীসম্বন্ধে কিছু বলিতে পারি না। পূৰ্ব্বে তুলসী অনেক গৃহে পূজ্য ছিল এক্ষণেও তুলসীর প্রতি কৃতবিদ্যদিগের মধ্যে কতক শ্রদ্ধা আছে। সর্পবিষে তুলসী উপকারী না হউক অন্য বিষয়ে বটে। এদেশে যে বৃক্ষকে মনসা বলিয়া লোকে পূজা করে তাহা সৰ্পবিষ সম্বন্ধে . . বঙ্গদর্শন । ( ভাদ্র বিশেষ উপকারী বলিয়। বোধ হয় । গ্রন্থকার এ বিষয়ে তদন্ত করেন নাই, কেবল মাত্র এক স্থলে লিখিয়াছেন যখন দেখিবে কসে খিল ধরিয়া মুখ বন্ধ হইতেছে তখন মনসা সিজের অর্থাৎ মনসা পাতা গরম করিয়া ত:হার রস নাসিক ও কর্ণ মধ্যে প্রবেশ করাইয়া দিবে।” সপঘাত প্রতিকার নামক গ্রন্থে মনসা বৃক্ষ সম্বন্ধে এইরূপ লিখিত হইয়াছে যে, “পুরাণে মনসা নাম্নী নাগিনীকে আস্তিক মুনির মাতা, বামুকী সপিণীর তগিনী ও জরৎকারু মুনির পত্নী বলিয়া উল্লেখ আছে এবং সেই দেবী সৰ্পগণের প্রধান মান্য এ জন্যই এতদেণীয়ের নিকট মনসাবৃক্ষের এতদূর মান । কিন্তু অনেকেই ইহার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করেন নাই। এক্ষণে পরীক্ষিত হইয়াছে যে মনসারুক্ষের বিলক্ষণ বিষনাশিক শক্তি আছে । সৰ্পদষ্ট স্থানে উত্তমরূপে মনসাবৃক্ষের আট লাগাইয়া দিয়া উক্ত বৃক্ষপত্রের একছটাক রস রোগীকে পান করাইলে তাহাতেই সর্পদষ্ট ব্যক্তি আরোগ্য লাভ কবিবে।” o সপাঘাত প্রতিকার নামক গ্রন্থলেখক ঔষধমধ্যে অন্ধুলী অর্থাৎ আমরুলের রসের পুনঃ পুনঃ উল্লেখ করিয়াছেন। আমরাও অনেক সৰ্পবৈদ্যের নিকট ঐ ঔষধের বিশেষ প্রশংসা গুনিয়াছি; বিশ্ববিধ চিকিৎসালেখকও তাহার উল্লেখ করি য়াছেন। মালবৈদ্যের মতে চিকিৎসার লেখক বলেন যে মালবৈদ্যের মতে সর্প
পাতা:বঙ্গদর্শন-পঞ্চম খন্ড.djvu/১৯৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।