পাতা:বঙ্গদর্শন-পঞ্চম খন্ড.djvu/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*** লাবধি বাঙ্গালির বিশ্বাস আছে । ফেরার সাহেব এ বিষয়ের কোন বিশেষ পরীক্ষা করেন নাই। কিন্তু রোগীর মস্তকে জলধারা দিতে তিনি ব্যবস্থা করিয়াছেন। গৃহে সৰ্প প্রবিষ্ট হইতে না পায় এ বিষয়ে বিশ্ববিষ চিকিৎসা লেপক কয়েকটি উপদেশ দিয়াছেন । তিনি লিখিয়াছেন যে “ প্রত্যহ সন্ধ্যাকালে নিধুম অগ্নিতে কিছু হলুদ কয়েকটা লঙ্কামরিচ পোড়াইয়া, সেই ধুম গৃহের সর্বত্র ব্যাপ্ত করিয়া দেওয়া উচিত। বাট ঘর প্রভৃতি সাজাইতে হইলে, বকুল ফুলের মালা বা পাতার দ্বারা সাজাইলে সর্প, বৃশ্চিক, প্রভৃতি আসিতে পারে না । মধ্যে মধ্যে গৃহে কিছু ধুনা ও গন্ধক জালাও ।” হরিদ্রা ও লঙ্কা পোড়াইলে কি ফল হয় তাহা আমরা জানি না কিন্তু ধুনার প্রতি আমাদেয় বিশেষ শ্রদ্ধা আছে । কোন রাগান্ধ ব্যক্তি বিশেব বৈরক্তি প্রকাশ করিলে আমরা বলিয়া থাকি যেন ধুনীর গন্ধে মনসা নাচিয়া উঠিল । ধুনার গন্ধে সপ বিরক্ত হয় এ কথা বহুকালাবধি প্রচলিত আছে, এই জন্য মনসার পুজায় ধুনা দেওয়া হয় না। ধুনার গন্ধ পাইলে সপ পলায় । আসাম অঞ্চলে কোন নগরে বিলক্ষণ সৰ্পভীতি আছে ; তথায় অতি দীনহীন লোকেরাও সর্পভয়ে মাচ। বধিয়া বাস করে ; সকল গুহে সুৰ্ব্বদ সৰ্প দেখা যায়। কিন্তু একজন প্রাচীন মূঢ়স্কফের গৃহে কখন কেহ সৰ্প দেখে নাই । তাহার কোন বিশেষ বন্ধুয় নিকট दन्न ऑन । ( ভাদ্র আমরা শুনিরাছি তিনি প্রত্যহ সন্ধ্যার সময় গৃহে ধুনা দিতেন এবং ধুনার সহিত দুই একটি শুষ্ক পাট পাতা পোড়াইতেন। এক দিবসের নিমিত্ত ইহার অনিয়ম ঘটে নাই। তাহার বিশ্বাস ছিল যে ধুন। দিলে ২৪ ঘণ্টা পৰ্য্যন্ত তাহার ক্রম থাকে, এই সময় মধ্যে কদাচ সৰ্প আসিবে না । ছোট নাগপুরে আমরা যখন প্রথম যাই তৎকালে মনে করিয়াছিলাম সর্প হইতে নাগপুর নাম হইয়াছে অতএব তথায় কতই সৰ্প দেখিতে পাইব । কিন্তু গিয়া শুনিলাম সেখানে সর্প একেবাবে নাই, তথায় কেহ কথন সবিষ সৰ্প দেখে নাই । আমরা বহুতর বুদ্ধ লোকদিগেব নিকট ইহার তথ্যানুসন্ধান করিয়াছিলাম, কেবল র্তাহাদের মধ্যে একজন মাত্র বলিয়াছিলেন যে, তিনি বাল্যকালে একটি গোখুরা সৰ্পের কথা শুনিরাছিলেন কিন্তু তিনি স্বয়ং তfহ দেখেন নাই । তিনি এই কথা বলেন যে, রাজা পরীক্ষিতের মৃত্যু হইলে পর তক্ষক মনুষ্যরূপ ধারণ করিয়৷ এই স্থানে বাস করিলে, অন্য সপেরা তাহাকে দেখিয়া এ স্থান হইতে পলায়ন করে, সেষ্ট অবধি আর এখানে সপ নাই । বুদ্ধকে এই সময় একজন জিজ্ঞাসা করিল, এক্ষণে তক্ষক নাই তবে অন্য সর্প কেন আইসে না ? বুদ্ধ অতি গম্ভীর ভাবে উত্তর করিলেন “ এক্ষণে শীতলার নিমিস্তু সৰ্প মাষ্টসে না।” নাগপুরে বসন্ত রোগ প্রায় বার মাস সমান। বসন্ত রোগের নিমিত্ত প্রতি দিন প্রতি