s२४8 I) কৃষ্ণকাস্তের উইল l Ջ > (t কৃষ্ণকাস্তের উইল । চতুৰ্ব্বিংশতিতম পরিচ্ছেদ । যাহাকে ভাল বাস তাহাকে নয়নের আড় করিও না । যদি প্রেমবন্ধন দৃঢ় রাখিবে,তবে স্থত। ছোট করিও। বাঞ্ছিতকে চোখে চোখে রাখিও। অদর্শনে কত বিষময় ফল ফলে । যাহাকে বিদায় দিবার সময়ে কত কঁাদিয়াছ, মনে করিয়াছ, বুঝি তাহঃকে ছাড়িয়া দিন কাটিবে ন,—কর বৎসর পরে তাহার সহিত আবার যখন দেখা হইয়াছে,তখন কেবল জিজ্ঞাসা করিয়াছ—** ভাল আছ ত ?” হয় ত সে কথাও হয় নাই—কথাষ্ট হয় নাই—আন্তরিক বিচ্ছেদ ঘটিয়াছে। হয় ত রাগে, অভিমানে আর দেখাই হয় নাই। তত নাই হউক, একবার চক্ষের বাহির হইলেই,যা ছিল তা আর হয় না । –যা যায়, তা আর আসে না । যা ভাঙ্গে, আর তা গড়ে না । মুক্তবেণীর পর যুক্তবেণী কোথায় দেখিয়াছ ? ভ্রমর গোবিন্দলালকে বিদেশ যাইতে দিয়া ভাল কুরেন নাই। এ সময় দুই জনে একত্রে থাকিলে, এ মনের মালিন্য বুঝি ঘটিত না । বাচনিক বিবাদে আসল কথা প্রকাশ পাইত। ভ্রমরের এত ভ্রম ঘটিত না । এত য়াগ হইত না । রাগে এত সৰ্ব্বনাশ হইত না । গোবিন্দলাল গৃহযাত্রা করিলে, নাএব স্বাঞ্চকাস্তের নিকট এক এত্তেলা পাঠাইল যে, মধ্যম বাবু অদ্য প্রাতে গৃহাভিমুখে যাত্রা করিয়াছেন । সে পত্র ডাকে আসিল । নৌকার অপেক্ষ ডাক আগে আসে। গোবিন্দলাল স্বদেশে পৌছিবার চারি পাচ দিন আগে, কৃষ্ণকাস্তের নিকট নায়েবের পত্র পৌঁছিল। ভ্রমর শুনিলেন স্বামী আসিতেছেন । ভ্রমর তখনই আব:র পত্র লিখিতে বসিলেন । থান চারি পাচ কাগজ কালিতে পুরাইয়া চিড়িয়া, ফেলরা, ঘণ্টা দুই চারি মধ্যে একখানা পত্র লিখিয়া খাড়া করিলেন। এ পত্র মাতাকে। লিখিলেন,যে “ভামার বড় পীড়া হইয়াছে। শ্বগুয় শ্বাশুড়ী আমার পীড়ায় কথায় মনোযোগ করেন না । কোন চিকিৎসা পত্র করেন না— পীড়ায় কথা স্বীকারই করেন না । তোমরা যদি একবার আমাকে লইয়া যাও, তবে আরাম হষ্টয়া আসিতে পারি। বিলম্ব করিও না, পীড়া বৃদ্ধি হইলে আর আরাম হুইবে না। পার যদি, कानि ८लांक °ाठाई७ । ७थाप्न नैौड़ाङ्ग কথা বলিও না, তাছা হইলে আমাকে অনেক লাঞ্ছনা ভোগ করিতে হইবে।” এই পত্র লিখিয়া গোপনে ক্ষীরি চাকরাণীর দ্বারা লোক ঠিক করিয়া, ভ্রমর তাহা পিত্রালয়ে পাঠাইয়া দিল । যদি ম না হক্টর, আর কেহ হইত, তবে ভ্রমরের পত্র পড়িয়াই বুঝিতে পারিত
পাতা:বঙ্গদর্শন-পঞ্চম খন্ড.djvu/২০৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।