পাতা:বঙ্গদর্শন-পঞ্চম খন্ড.djvu/২১৯

२९७ পুরের নিকট গোপনীমা একটী স্থান আছে—কিম্বদন্তীতে শুনা যায় ঐ স্থানে বিরাটরাজের দক্ষিণ গোগৃহ ছিল । যাহা হউক ইহা একপ্রকার স্থির করা যায় যে, মহাভারতের যুদ্ধের সময় এই সকল স্থান বঙ্গের অন্তর্গত ছিল না । ব্ৰহ্মপুত্র ও পদ্মার সঙ্গমস্থানের কিছু উত্তরে লাঙ্গলবন্ধ নামক স্থান । প্রবাদ আছে যে ঐখানে ভগবান বলদেয হল পরিত্যাগ করিয়া স্নান করিয়াছিলেন । ভাষাতত্ত্ববিৎ পণ্ডিতের কহেন আর শব্দে হল বুঝার স্বতরাং আৰ্য্যজাতি হলধর, অতএব হলধরের বিরামস্থান আর্য্যরাজ্যের সীমা । ইহার পুর্ক পাণ্ডববর্জিত দেশ বলিয়া গণিত । কিন্তু কেহ কেহ কহেন বর্তমান পাৰ্ব্বতীয় অনাৰ্য্য গারো জাতি হিড়িম্বার বংশীয় ও মণিপুর বাসীরা ইরাবানের সস্তান, যদ্যপি তাহা হয় তবে ইহারা পাণ্ডবের বংশ—কি পাপে বর্জিত বলিতে পারি না। ত্রিপুরপ্রদেশ পৌরাণিক মতে দৈত্যদেশ,অতএব আৰ্য্যভূমি নহে। এতাবত স্থির হইতেছে যে, পৌরাণিক সময়ে বাঙ্গালার পূৰ্ব্বাংশে বহুল প্রদেশ বঙ্গাস্তর্গত ছিল না কেবল মাত্র নদীমাতৃক शक्री श्रीब्रारबटेिड शात्रा छूमिहे यत्र छूमि । আধুনিক বঙ্গভূমি যে ভাগীরণীপ্রস্বত, নব্য নবদ্বীপ ও চক্রদ্বীপ তুাহার সাক্ষী। অর্থাৎ আর্য্যভারতের অন্যান্য স্থানাপেক্ষ, বর্তমান বাঙ্গালার পশ্চিমোত্তর প্রদেশাপেক্ষা, প্রকৃত যঙ্গদেশ আধুনিক। আর बन्नक्षत्रfन । ( ভাদ্র । দেখিতেছি ব্ৰাহ্মণদিগের মধ্যে বঙ্গজশ্রেণী নাই, কায়স্থদিগের আছে; অন্য জাতির cथनैौविडांश माहे । हेशरडई cदां५ श्ब्र ভাগীরথীর পূর্ববঙ্গ প্রথমে ব্রাহ্মণের আবাসযোগ্য ছিল না। আদিশূরের সমর (খৃ ৯৫°-১•••) যে কানাকুজাগত পঞ্চ ব্রাহ্মণ আগমন করেন তাহার রাজা । কর্তৃক পাচ খানি গ্রাম ত্রহ্মোত্তর পাইয়াছিলেন । কিন্তু তদ্বংশজাত ব্ৰাহ্মণদিগের মধ্যে রাঢ়ীর ব্রাহ্মণের বঙ্গ ব্যাপিরা আছেন । অতএব বঙ্গে ব্রাহ্মণের বাস অল্পদিন, খ্ৰীষ্টীয় সহস্ৰ বৎসরেরও পরে।* আরও দেখা যায় পুরাণাদিতে যে সকল তীর্থস্থানের উল্লেখ আছে তাহার মধ্যে বঙ্গে একটিও নাই । কালীঘাট সন্দেহ স্থল। এজন্য বিবেচনা হয় বঙ্গ বহুদিন পৰ্য্যস্ত আর্য্যের বাসস্থান হয় নাই । এক্ষণে দেখুী গেল যে বর্তমান বাঙ্গালা ও প্রাচীন বঙ্গ এক নহে। প্রকৃত বঙ্গ বাঙ্গালার সামান্য অংশ মাত্র এবং ঐ ংশও অপেক্ষাকৃত অল্প দিন ভিন্নদেশাগত আৰ্যসস্তান দ্বারা অধিকৃত হইয়াছে। অনেকে মনে করেন মহা ভারতে কেবল বঙ্গাধিপ হস্তীতে আরোহণ করিয়া যুদ্ধ করিরাছিলেন উল্লেখ আছে এই মাত্র, আর কোন কথা নাই। পুরাণেও বাঙ্গালির যুদ্ধবিগ্রহ লেখা নাই—কোন অমাহুষিক কি গৌরবের কাৰ্য্যের উল্লেখ নাই; তাহাতেই সিদ্ধান্ত হইতেছে বাঙ্গালির কোন কালে যুদ্ধাদি করেন নাই ও ' * সুপ্তশতি ব্রাহ্মণের কোথা ছিলেন স্থির নাই।