१२४8 l) নীি ও তাহার প্রস্থতিকে ডাকিয়া নিৰ্জ্জুনে বলিলেন “কুমুদিনি, তোমার স্মরণ আছে বোধ হয়, যে আমি পুনরায় সংসার আশ্রমী হইয়াছি কেবল তোমার জন্য। তুমি ভিন্ন আমার আর দ্বিতীয় সন্তান নাই ; তোমার মুখসাধন আমার ‘জীবনের প্রধান উদ্দেশ্য ; তুমি বাল্যকালে বিধবা হইয়াছিলে, আমি সেই দুঃখে উদাসীন হইয়াছিলাম, পয়ে তুমি বিবাহ করিতে স্বীকৃত হওয়াতে আমি পুনরায় সংসারী হইয়াছি, কিন্তু আজ প্রায় ছয় মাস অতীত হইল, তথাচ তোমার বিবাহ দিতে পারিলাম না । আমি দিন দিন ক্ষীণ হইতেছি—আর অল্পদিন বাচিব, তোমায় এ অবস্থায় ভাগ করিয়া যাইতে হইলে বড় কষ্ট্রে মরিব ; অতএব—” কুমুদিনী অতি কাতরস্বরে ধলিলেন, “বাবা, তুমি যে আমাকে কখন ত্যাগ করিয়া ষাটবে, তাহা স্বপ্নেও মনে আসে ম। তুমি আমায় ত্যাগ করিয়া যাইলে তার পর আর আমার কি সুখ থাকিবে, তাহলে কি আমি আর বাচিব ।” হরিমাথ বাবু উত্তর করলেন, “বাক আমার মৃত্যুর কথা উত্থাপন করির তোমাকে দিব না—এক্ষণে আমি তোমার বিবাহ দিব স্থির করিয়াছি । তোমায় মায় স্থবোধ মেয়ে যে পিতৃআজ্ঞা অবহেলন করিবে তাহ আমার বোধ হয় শ-আগামী কল্য সুবর্ণপুর য়ুব্রিা করিব, সেই স্থানে বিবাহ হইবে-আমি পাত্র শৈশবসহচরী । الم
- Q @
স্থির করিয়াছি, তোমরা প্রস্তুত হও । কুমুদিনি, আমায় স্বর্থী কর । কুমুদিনী বঙ্গীয় কুলকামিনী ; বিবাহ সম্বন্ধে কোন কখ। উত্থাপিত হইলে লজ্জা ' পাইতে হয়, সুতরাং লজ্জায় অবনতমুখী হষ্টলেন । পরে হরিনাথ বাবু তাহাকে বিদায় দিলেন। কুমুদিনী আপনার কক্ষে যাইয়া সকল দ্বার রুদ্ধ করিয়া শয্যায় মুখ লুকাইয়া কঁদিতে লাগিলেন। কত দুঃথে কঁদিতে লাগিলেন ; যাহাকে মনেমমে পতিত্বে বরণ করিয়াছিলেন, তাহাকে জন্মের মত হারাইলেন, আর কখন তাহাকে মনে স্থান দিতে পরিবেম Fi, তাহার চিন্তা এক্ষণ হইতে পাপ সংস্পৃষ্ঠা র্তাহার জীবনের একমাত্র মুখ সেই রজনীকান্তের চিন্তা, আজ হইতে তাহা বর্জন করিতে হইল ; কাহার জন্য ? শরৎকুমারের জন্য—পূর্বরাত্রে তাহার পিতার কথার আভাষে কুমুদিনীর নিশ্চয় বোধ হইয়াছিল, ষে শরৎকুমারকে তিনি আপন জামাতা করিতে মনস্থ করিয়াছেন। কিন্তু শরৎকুমার তাহ'র স্বামী হইলে তিনি বড় অসুখী হইবেন । পিতায় উদ্দেশ্য মিফল হইবে, এ কথা পিতাকে কেমন করিয়া জানাইবেন । বঙ্গীয় কুলকামিনীদিগের বিবাহ সম্বন্ধে মতামত দিবার ত কোন অধিকায় নাই, কেবল মাত্র র্কাদবার অধিকার আছে। কুমুদিনী ক্টাদিতেই লাগিলেন। রজনীকান্তের মুখ মনে করিয়া কাদিতে লাগিলেন,আর বিপদভঞ্জন শ্ৰীমধুস্থদনকে ডাকিতে লাগি