>2b 8 i) পঞ্জাব ও শিখসম্প্রদায় । ૨૭6: لم কতদূর বিশ্বাসযোগ্য তাছা প্রথমে তদন্ত কিন্তু আক্ষেপের বিষয় স্থানাভাবে সকল করা উচিত ছিল । সংগ্রহকার বহু পরিশ্রম করিয়া নব বার্ষিকী গ্ৰন্থখানি প্রকাশ করিয়াছেন বিষয় সমালোচন করিয়া তাহার উপযুক্ত প্রসংশা করিতে পারিলাম না । পঞ্জাব ও শিখসম্প্রদায় । প্রথম প্রস্তাব । পঞ্জাব ভারতবর্ষের মধ্যে, বর্তমান কি প্রাচীন উভয়কালেই অতি প্রধান স্থান বলিয়া গণ্য। কিন্তু প্রাচীন কালের পঞ্জাবের গৌরবে সমগ্র ভারতবর্ষ গেীর বান্বিত। পূজ্যপাদ আৰ্য্যপিতৃপুরুষেরা মধা আসিয়া হইতে প্রথমে পঞ্জাব প্রদে শে আসিরাই পদার্পণ করেন,এবং তথায় বহুকাল পর্যন্ত অধিবাস, করিয়া ক্রমে দক্ষিণাভিমুখীন হন । তাহারা সরস্বতী ও দৃষদ্বতী নদীদ্বরের মধ্যবৰ্ত্তী প্রদেশে বাস করিয়া ব্রহ্মাবৰ্ত্ত নামে উহাকে অভি. হিত করেন । সরস্বতী এক্ষণে অদৃশ্য, দুষদ্বতী কাগার নামে প্রসিদ্ধ । পঞ্চাবেই আর্য্য ও অনার্য্যদিগের মধ্যে বিবাদ বিগ্রহ আরম্ভ হয়। ঋগ্বেদের অধিকাংশ পঞ্জাব প্রদেশেই লিখিত । দেবাসুরের যুদ্ধও,বোধ হর পঞ্জাব প্রদেশেই সংঘটিত হইয়াছিল। কোন কোন প্রসিদ্ধ পুরাতত্ত্ববিৎ পণ্ডিত অনুমান করেন যে, অতি প্রাচীনকালীন আৰ্য্যদিগের মধ্যে ধৰ্ম্মসম্বন্ধীয় মতবিভেদ লইয়া ঘোরতর যুদ্ধ উপস্থিত ছর ; পরে তাহারা হিন্দু ও পার্সি এই উভর সম্প্রদায়ে বিভক্ত হইয়া পড়েন । এই যুদ্ধ পঞ্জাব প্রদেশেই ঘটিয়াছিল, এবং উহা উত্তরকালে দেবাস্থরের যুদ্ধ বলিয়। উক্ত হইয়াছে। এতদ্ভিন্ন গ্ৰীসদেশীয় পুরাবৃত্ত পঞ্জাবের প্রাচীন গেীয়ব প্রকাশ করিতেছে। মহাবীর সেকন্দর সাহ ও র্তাহার সমভি ব্যাহারী গ্রীকের পঞ্জাব প্রদেশবাসিগণের বীরত্ব দেখিয়া আশ্চৰ্য্যাম্বিত হইরাছিলেন । কিন্তু পঞ্জাবের প্রাচীন গৌরব বর্ণনা করা অামার লক্ষ্য নহে । বর্তমান কালীন পঞ্জাব সম্বন্ধীয় কয়েকটি বিবরণ ও উক্ত প্রদেশের আধুনিক ইতিবৃত্তের দুই একটি কথা আনুষঙ্গিকরূপে ব্যক্তকরাই এই প্রবন্ধের উদ্দেশ্য । পঞ্জাবীর সাহসী, বলবান, ও দীর্ঘকায়। বাঙ্গালিদের ত কথাই নাট, র্তাহারা (পঞ্জাবীবা) সাহস শারীরিক গঠন ও বল সম্বন্ধে হিন্দুস্থানী প্রভৃতি জাতি সকলের অপেক্ষা অনেক গুণে শ্রেষ্ঠ । ঘ
পাতা:বঙ্গদর্শন-পঞ্চম খন্ড.djvu/২৫৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।