পাতা:বঙ্গদর্শন-পঞ্চম খন্ড.djvu/২৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

)やレ31) তর্ক সংগ্ৰহ । তর্ক সংগ্রহ { অর্থাৎ ৷ (সংস্কুম্ভ ম্যায় দর্শনসম্মত কত গুলি তর্ক) প্রথম তর্ক—মঙ্গলাচরণ । পূৰ্ব্বে আমাদের দেশে গ্রন্থারম্ভের প্রথমে মঙ্গলাচরণ একটী অবশ্য কৰ্ত্তব্য ছিল । দর্শনশাস্ত্রের সারসংগ্ৰহ করিয়াষ্ট হউক, শুঙ্গার রসের অত্যপকৃষ্ট অন্তভাব সকল প্রকাশ করিয়াই হউক, তার হাস্যরস ব্যঙ্গ করিয়াই হউক,ষেরূপে হুউক মঙ্গলাচরণ করিলে আর কোন দোষ থাকিস্ত না, মঙ্গলাচরণ না করাই মহাপাপ, যিনি এই মঙ্গলাচরণ না করিতেন তিনিই নাস্তিক ও সমাজের ঘূণাস্পদ হইতেন । অদ্যাপি এদেশে মঙ্গলাচরণের প্রথা একবারে বিলুপ্ত হয় নাই। এখনও অনেক স্থলে গ্রন্থকাবের কথা দূরে থাকুক, প্রাচীন গ্রন্থের সংস্কারকদিগকে ও স্বকৃন্ত সংস্করণের পূৰ্ব্বে মঙ্গলাচরণ করিতে দেখা যায়। এ সম্বন্ধে লৈয়ায়িকদিগের তর্ক সংগ্রহ করা যাইতেছে । প্রশ্ন এই যে মঙ্গলাচরণের ফল কি ? যদি বল নিৰ্ব্বিত্ত্বে অভীপিান্ত গ্রন্থের পরি সমাপ্তিই ইস্থার ফল, তাছা হইতে পারে না । কারণ আমব দেখিতেছি " কিরণবলী' প্রভৃতি গ্রন্থে মঙ্গলাচরণের নামমাত্র না থাকিলেও তাহারা নিৰ্ব্বিঘ্নে সম্পূর্ণ ইয়াছে এবং কাদম্বীর প্রথমে বিস্তার পূৰ্ব্বক মঙ্গলাচরণ পাকিলেও বাণভট্ট তাছা সম্পূর্ণ করিতে সক্ষম হন নাই— তবে এই মঙ্গলাচরণের ফল কি ? আশঙ্ক। করিয়া প্রাচীন আর নবীন নৈরায়িকগণ যেরূপ সমাধান করিয়াছেন তাহা যথাক্রমে লিখিত হইতেছে । প্রাচীনের বলেন “মঙ্গলাচরণ তামাদের অবশ্য কৰ্ত্তলা, কারণ উহা শিঃপরম্পরাসমাচরিত। শিষ্ট ব্যক্তিরা সমাজের মস্তক স্বরূপ, তাহাদিগের কার্য্য কখনই বালকের জলক্রীড়ার ন্যায় নিফল হইতে পারে না । তাহদের যাবতীয় কার্য্যের ফল আছে, সুতরাং মঙ্গলাচবণের একটা ফল অবশ্য স্বীকার্য্য এক্ষণে যদি কোন রূপে সেই ফলকে দুষ্ট অর্থাং ঐহিক কাৰ্য্যকারী করা যার, তবে স্বৰ্গভোগ দিব ন্যায় অদৃষ্ট রূপ কল্পনা করিবার অবশ্যকতা কি ? বিস্তু ংস পূর্বক গ্রন্থের সমাপ্তি হওয়াই মঙ্গলা চরণের ফল । মঙ্গলাচরণ অসত্ত্বেও র্যাছাদের গ্রন্থ, সম্পূর্ণ হয়, তাহদের পূর্বজন্মকৃত মঙ্গল প্রাবণ স্বীকার করিতে হইবে, আর মঙ্গলাচরণ সত্ত্বেও র্যাহাদের अष्ट्र गण्थूर्व इच्च माहे उँाश्रमन्न भत्रल অপেক্ষ বিশ্বের প্রাচুর্ঘ্য মানিতে হুইবে, এই