(g I پر دو. কিন্তু তোমায় আমায় কি সম্বন্ধ ? আমি তোমায় অলঙ্কার দিব তুমি পরিবে । ভূমি বিষয় দান করিবে আমি ভোগ করিব-এ সম্বন্ধ নহে । এই বলিয়া গোবিন্দলাল, বহুমুলা দানপত্র খানি খণ্ড খণ্ড করিয় ছিড়িয়া ফেললেন । ভ্রমর বলিলেন, “ পিতা বলিয়া দিয়াড়েন, ইহা ছিড়িয়া ফেলা বৃথা । সরকারিতে ইহার নকল আছে ।” গো । থাকে, থাক । আমি চলিলাম । ভ্র । কবে আসিবে ? গে| আসিব না । ভ্র । কেন ? আমি তোমার স্ত্রী, শিষ্য, আশ্রিতা, প্রতিপালিতা—তোমার দাসামুদাসী—তোমার কথার ভিখা – আসিবে না কেন ? * গো । ইচ্ছা নাই । ভ্র । ধৰ্ম্ম নাই কি ? গো । বুঝি আমার তাও নাই । বড় কষ্টে ভ্রমর চক্ষের জল রোধ করিল। হুকুমে চক্ষের জল ফিরিল—শ্ৰমর যোড়হাত করিয়া, অবিকম্পিত কণ্ঠে বলিতে লাগিল “তবে যাও—পার আসিও না । বিনাপরাধে আমাকে ত্যাগ করিতে চাও, কর –কিন্তু মনে রাখিও, উপরে দেবতা আছেন। মনে রাথিও, একদিন আমার জন্য তোমাকে কঁদিতে হইবে । মনে রাখিও—একদিন তুমি খুজিবে, এ পৃথিবীতে অকৃত্রিম, আন্তরিক স্নেহ কোথায়? একদিন তুমি বলিবে—আবার দেখিব ভ্রমর কোথায় ? দেবতা সাক্ষী : কৃষ্ণকাস্তের উইল ミレ”○ शतःि खाक्षि जलैौ झं-शनःि कiग्नभ८नां বাক্যে তোমার পার আমার ভক্তি থাকে তবে তোমায় আমায় আবার সাক্ষাৎ হইবে । আমি সেই আশার প্রাণ রাখিব। এখন যাও, বলিতে ইচ্ছা হয়, বল যে আর আসিব না। কিন্তু আমি বলিতেছি—আবার আসিবে—আবার ভ্রমর বলিয়া ডাকিবে—আবার আমার জন্য কঁদিবে। যদি এ কথা নিষ্ফল হয় তবে জানিও—দেবতা মিথ্যা, ধৰ্ম্ম মিথ্যা— ভ্রমর অসতী । তুমি যাও আমার দুঃখ নাই । তুমি আমারই—রোহিণীর নও।” এই বলিয়া ভ্রমর, ভক্তিভাবে স্বামীর চরণে প্রণাম করিরা, গজেন্দ্রগমনে কক্ষাস্তরে গমন করিয়া দ্বার রুদ্ধ করিল। একত্রিংশ পরিচ্ছেদ । এই আখ্যায়িকা আরম্ভের কিছু পূৰ্ব্বে ভমরের একটি পুত্র হইরা স্থতিকাগারেই নষ্ট হয় । ভ্রমর আজি কক্ষান্তরে গিয়া দ্বার রুদ্ধ করিয়া,সেই সাতদিনের ছেলের জন্য র্কাদিতে বসিল । মেঝের উপর পড়িয়া, ধুলার লুঠাইয়া অশমিত নিশ্বাসে পুত্রের জন্য কাদিতে লাগিল । * আমার ননীর পুত্তণী—আমার কাঙ্গালের সোনা, আজ তুমি কোথায়? আজি তুই থাকিলে আমার কার সাধ্য ত্যাগ করে ? আমার মায়া কাটাইলেন, তোর মারা কে কাটাইত ? আমি কুরূপ কুৎসিতা—তোকে কে কুৎসিত বলিত ? তোর চেয়ে কে সুন্দর? একবার দেখা দে ধাপ—এই
পাতা:বঙ্গদর্শন-পঞ্চম খন্ড.djvu/২৭৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।