»२t 8) ভ্রমরের কাছে কোন পত্র আসিল না । অভিমানে ভূমরও পত্র লিখিলেন না। পত্রদি আমলাবর্গের কাছে আসিতে লাগিল। এক মাস গেল, তুষ্ট মাস গেল। পত্রাদি আসিতে লাগিল । শেষ এক দিন সম্বাদ আসিল যে গোবিন্দলাল কাশী হইতে বাটী যাত্রা করিয়াছেন। ভূমর গুনিয়া বুঝিল যে গোবিন্দলাল কেবল মাকে ভুলাইয়া, অন্যত্র গমন করিয়াছেন। বাড়ী আসিবেন,এমন ভরসা হইল না । এই সময়ে ভুমৰ গোপনে সৰ্ব্বদা রোহিণীর সম্বাদ লইতে লাগিল । রোহিণী রাধে বাড়ে, খায়, গা ধোর, জল আনে। আর কিছুই সস্বাদ নাই । ক্রমে এক দিন সম্বাদ আসিল, রোহিণী পীড়িত । ঘরের ভিতর মুড়ি দিয়া পড়িয়া থাকে, বাহির হর না । ব্রহ্মানন্দ অ}পনি র ধিয়া খায় । তাব পর একদিন সম্বাদ আসিল, যে রোহিণী কিছু সারিয়াছে কিন্তু পীড়ার মূল যায় নাই। শূল রোগ-চিকিৎসা নাই—রোহিণী আরোগ্যজন্য তারকে ধরে হত্যা দিতে যাইবে । শেষ সম্বাদ– রোহিণী হত্যা দিতে তারকেশ্বর গিরছে। একই গিয়াছে—কে সঙ্গে যাইবে ? এ দিকে তিন মাস চারি মাস গেল— গোবিন্দলাল ফিরিয়া আপিল না। পাঁচ " ছয় মাস হইল, গোবিন্দলাল ফিরিল " উমরের রোদনের শেষ নাই। কৃষ্ণকাস্তের উইল २b7 6 মনে করিত, কেবল এখন কোথায় আছেন, কেমন আছেন, সম্বাদ পাইলেই বাচি । এ সম্বাদও পাই না কেন ? শেষ ননন্দাকে বলিয়া শ্বাশুড়ীকে পত্র লিপাইল—আপনি মাতা, অবশ্য পুত্রের সস্বাদ পান । শ্বাশুড়ী লিখিলেন তিনি গোবিন্দলালের সস্বাদ পাইয়া থাকেন। গোবিন্দলাল প্রয়াগ মথুরা জয়পুর প্রভৃতি স্থান ভূমণ করিয়া আপাততঃ দিল্লী অবস্থিতি করিতেছেন । শীঘ্র সেখান হইতে স্তানাস্তরে গমন করিবেন । কোথাও স্থায়ী হইতেছেন না । এ দিকে রোহিণীও আর ফিরিল না । ভূমর ভাবিতে লাগিলেন,ভগবান জানেন রোহিণী কোথায় গেল ? অামার মনের সন্দেহ আমি পাপ মুখে ব্যক্ত করিব না । ভমর আর সহ্য করিতে পারিলেন না । ক{fদতে কাদিতে ননন্দাকে বলিয়া শিবিকারোহণে পিত্রালয়ে গমন করি লেন । সেখানে গিয়া গোবিন্দলালের কোন সস্বাদ পাওয়া দুরূহ দেখিয়া আবার ফিরিয়া আসিলেন, আসির হরিদ্রাগ্রামেও স্বামীর কোন সস্বাদ না পাইয়া, আবার শ্বাশুড়ীকে পত্র লিখাইলেন । শ্বাশুড়ী এবার লিখিলেন, গোবিন্দলাল আর কোন সস্বাদ দেয় না ; এখন সে কোথায় আছে জানিনা । কোন সম্বাদ পাই না। ভূমর আবার পিত্ৰালয় গেলেন। এই রূপে প্রথম বৎসর কাটিয়া গেল । প্রথম বৎসরের শেষে ভূমর রুগ্নশৰ্য্যায় শয়ন করিলেন । অপরাজিতা ফুল শুকাझेभू! डेठि41 ।।
পাতা:বঙ্গদর্শন-পঞ্চম খন্ড.djvu/২৭৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।