98 হুবু তাছাব বঁচিয়া থাকে কেন ? উক্ত যুক্তিতে যদি কোন বল থাকে, তবে আমরাও বলিতে পারি, বিধবারা মরিতে ইচ্ছা করে না, নতুবা “ ধ্বংসপুরের শত সহস্র দ্বার’ রহিয়াছে, তথাচ জীবন ধারণ করিতেছে কেন ? - আমাদের সমালোচনা শেষ হইল । অমিব দেখিলাম যে, সতীদাহ-লেখক সহমরণেব বিকদ্ধে একটি যুক্তিও খণ্ডন করিতে পারেন নাই, এবং উহ্যর পক্ষে বঙ্গদর্শন । ( কাৰ্ত্তিক একটিও অকাট্য যুক্তি প্রদর্শন করিতে পারেন নাই। আমরা বিশুদ্ধবিচারমার্গ অবলম্বন করিয়া দেখাইরাচি যে, সতীদাহ যথার্থই ভরনিক কুপথা। ইহ:ও প্রদর্শন করা হইয়াছে যে, সতীদাহ প্রচলিত থাকাতে অধিকাংশ স্থলে একপ্রকার সজ্ঞানে স্ত্রীহত্যা হইত। এ সম্বন্ধে আমাদেব আব ও কিছু বলিবাব ছিল, কিন্তু নিতান্ত পুথি বাড়িয়া যায় বলিয়া এই স্থলেই লেখনীকে বিশ্রাম দিলাম । শ্ৰী ন, না আৰ্য্যগণের আচার ব্যবহার। আমরা বেদ সম্বন্ধীয় প্রস্তালে পুবtকালে কাৰ্য্যগণেব আচার ব্যবহার কিঞ্চিৎ বর্ণন করিরা তদ্বিষয়ে পুনৰ্ব্বার লেখনীধাবণ করিতে প্রতিজ্ঞা করির ছিলাম, সে জনা আদা তাহ! বিশেষ রূপে আলোচনায় প্রবৃত্ত হইলাম। একটি প্রবন্ধেই এষ্ট গুরুতর বিযর শেষ না কবিয়া একৎ সম্বন্ধে স্বতস্থ২ প্রস্তাব লিপিতে ইচ্ছ। আছে । আর্য্য শব্দ যে জাতিবাচক, তাহার প্রমাণ কোন গ্রন্থে প্রাপ্ত হওয়া যায় না । তবে “আৰ্য্যাবর্ত পুণ্যভূমি মর্ধাং বিষ্কাহিমালয়োঃ ” এই অমর সিংহোক্ত বাক্যে যে ‘আর্যাবৰ্ত্ত" শব্দ আছে, উহার অর্থ - আৰ্য্যদিগের আবাসভূমি” কিন্তু এতদূর আর্য্যজাতি বুঝায় না। সাধা রণতঃ আর্য শব্দের অর্থ শ্রেষ্ঠ । ঈশ্বর কৃষ্ণ সাজা সপ্ততির শেষে লিখিয়াছেন * আর্য্যমতিভিঃ।” আর্য্যমতি অর্থাৎ বিশুদ্ধ বা শ্রেষ্ঠবুদ্ধি ব্যক্তি কর্তৃক— আর্য্য শব্দের বুৎপত্তি “তারাৎ জাতঃ” “ অ:রাদাগরঃ” এই বাক্যে ‘আরাৎ’ শব্দের উত্তর ‘য’ প্রত্যর এবং পৃমোদুরাৎ সিদ্ধ। ইহার অর্থ নিকটু হইতে বা দূর হইতে যে জন্মিয়াছে যা আসিয়াছে । ইউরোপীয় পণ্ডিতগণ যে ঈরাণ হইতে ৮ আর্য্যগণের প্রথম আগমন উল্লেখ করিরাছেন, তাহার এই বুৎপত্তিদ্বারা কথঞ্চিৎ আভাস প্রাপ্ত হওয়া যার, কিন্তু তথা হষ্টষ্ঠে তাহাদিগের আগমন বার্তা হিন্দু শাস্থে দেখিতে পাওয়া যায় না। হিন্দু
পাতা:বঙ্গদর্শন-পঞ্চম খন্ড.djvu/৩০৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।