重°霉 বৃত্ৰাক্ষর চলিয়া গেলে, রুদ্রপীড় সকল দেবগণকে পরাভূত করিয়া ইক্সের সঙ্গে রণে প্রবৃত্ত হইলেন । এবং দেবরাজের হস্তে নিধন প্রাপ্ত হইলেন। স্বাবিংশ সর্গ যেমন বীররসে পরিপূর্ণ, ত্রয়োবিংশ সর্গ তেমনি করুণরিসে । রুদ্রপীড়ের নিধনবার্তা শুনির বীর বৃত্রের গম্ভীর কাতরতা এবং দ্বেষ হিংসাপূর্ণ। ঐন্দ্রিলার তেজোগৰ্ব্ব অমর্ষস্থচিত রোদন উভয়ই কবির শক্তির পরিচয়ের স্থল । আমরা এই কাব্যের প্রথমভাগ হইতে অনেক डेछूड করিয়াছি এজনা, আমরা আরও উদ্ধৃত করিতে অনিচ্ছুক। কিন্তু ঐজিলাবিলাপ হইতে কিয়দংশ উদ্ধৃত না করিলে ঐঞ্জিলীর চরিত্রের সুসঙ্গতি স্পষ্টীকৃত হয় না :– “কি কব, হে দৈত্যনাথ,ন শিখিলা কভু ংগ্রামের প্রকরণ ঐন্দ্রিলা কামিনী ! নহিলে সে দেখা”তাম কার সাধ্য হেন ঐঞ্জিলার পুত্রে বধি তিষ্ঠে ত্রিভুবনে ? জালা”তাম ঘোর শিখা, চিত্ত দহে যাহে, সেই তস্করের চিত্তে—জায়া-চিত্তে তার জালা’তাম পুত্ৰশোক চিতা ভয়ঙ্কর ! জানিত সে দানবীর প্রতিহিংস কিব৷ ” সহসা পড়িল দৃষ্টি দনুজ-বামার রুদ্রপীড়-রণ-সাজে ; হেরি পুত্র-সাজ হৃদয়ে শোকের সিন্ধু বহিল আধার ! বছিল শোকাশ্ৰধারা গও ভিজাইয়া ! এই ঘোর রণবীদ্যের সঙ্গে নারীহদরের মধুত্বনাদিনী বীণাতন্ত্রীও বাজে ;– वण भू ऑन । ( करून । ‘কে হরিলা? কারে দিলা,আহে দৈত্যরাজ, আমার অমূল্য নিধি -দ্ধদয় মাণিক্ ! च्क्रांनि cणइ ७हे मर७ ङनरग्न आभांब्रদৈত্যনাথ, আনি দেহ রুদ্রপীড় মম | এমনি করিয়া বক্ষে ধরিব তাহার, এমনি করিয়া ভিজাইব অশ্রু-নীরে সেই চারু চন্দ্ৰানন ! দৈত্যকুলমণি দেখিব হে একবার ! জীবন পীযুযে জুড়াব তাপিত দেহ —এ জগত মাঝে “মা” বলিতে ঐন্দ্রিলার কেৰা আছে আর *বরাসনে নহ, ৰৎস, জননীর কোলে’ বলিব যখন তার মস্তক চুম্বিয়া, নিদ্রা ত্যজি তখনি উঠিৰে পুল্ল মম— দৈত্যপতি এনে দেও সে ধন আমার ।” পুত্র শোকাতুর বৃত্র স্কুরিত-নাসিক, ৰিস্ফারিত-বক্ষঃস্থল, দাপটে সাপটি ভীষণ ভৈরব শূল, কহিলা উচ্চেতে “সাজো রে দানববৃন্দ-সংহারের রণে।” এই রণসজ্জ। অতিশয় ভরঙ্করী। পর দিন স্বর্য্যোদয়ে রণ হইবে—দানবপুরীতে সেই কালরজনীতে ভীষণ রণসজ্জা হইতে লাগিল । পরদিন দানবকুল ংস হইবে । আমরা সেই ভয়ঙ্করী রণসজ্জার কথা উদ্ভূত করিতে পারিলাম না—দুঃখ রছিল । কৃতাস্তের কালছায়া আসিয়া সেই পুরীর উপর পড়িয়াছে— গভীর মানসিক অন্ধকারে অসুরপুরী গ্লাহমান হইয়াছে—কালসমুদ্র উদ্বেলনোমুখ দেখিয়া কুলস্থ জন্তুসমূহের ন্যায়
পাতা:বঙ্গদর্শন-পঞ্চম খন্ড.djvu/৫১৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।