১১৮৪ ।) বৃত্রসংঙ্গার । な需○ لم এইখানে কাব্য আসিয়া, আপনার একত্র সমাবেশ-ককগুলি স্বপদ্যের উচ্চতর ক্ষমতার পরিচয় দেয় । যাহা একত্রে সঙ্কলন মাত্র । আমরা বিগত বিজ্ঞান ও দর্শনের অতীত,তাহা কাব্যের দুই সংখ্যায় যে কবিতা পুষ্পহার গাথিয় আয়ত্ত । যে প্রশ্নের উত্তর বিজ্ঞান বা পাঠককে উপহার দিয়াছি, অনেকের দর্শন দিতে অক্ষম,কাব্য তাহাতে সক্ষম। বিবেচনায় তাহাই কাব্যের উদ্দেশ্য এবং যাহা প্রমাণের স্বীর সিদ্ধ হয় না, কবি সফলতা । এরূপ অনেক কাব্য আছে । নিজপ্রতিভাবলে, দূরপ্রসারিণী মানসী উচ্চশ্রেণীর কবিগণ ভিন্ন অপরে সচরাচর দৃষ্টির তেজে, তাহা পরিস্কার দেখিতে এইরূপ কাব্য প্রণয়নে ব্যস্ত। এই পান। সে দৃষ্টি ভ্রান্তিশূন্য, কেন না শ্রেণীর কাব্যের মধ্যে অনেক উৎকৃষ্ট তাহা নৈসর্গিক—ঈশ্বরপ্রেরিত। কবি- কাব্যও আছে । “পলাশির যুদ্ধ” একটি রাই প্রধান শিক্ষক—জগৎগুরুশ্রেণীর উদাহরণ। এখানি উৎকৃষ্ট কাব্য বটে, মধ্যে গেলেলিও বা বেকন অপেক্ষা কিন্তু কতকগুলি মুমধুর, ওজস্ব গীতিসেক্ষপীয়রের উচ্চ স্থান, লাপ্লাস বা কাব্যের সঙ্কলন মাত্র । বুত্রসংহারের কোমত অপেক্ষা ওয়ালটার স্কটের অধিক লক্ষ্য মহত্তর—সুতরাং উচ্চতর স্থান মহিম ।* ইহার প্রাপ্য। এই দৈব এবং আক্ষরিক শক্তির ভীষণ প্রথমে কাব্যমধ্যে প্রবেশ করির এই অবতারণা নুতন নহে। এবং বৃত্রবধও অপরিমেয় দৈব ও আস্থরিক শক্তির “ঘাত নূতন নহে। বাল্যকাল হইতে আমরা প্রতিঘাতে” কিছু ব্যতিব্যস্ত হই— এ সকল জানি। পুরাণ,উপপুরাণ দেবাস্থ- কোন পথে কাব্যস্রোত চলিতেছে,শীঘ্র রের শক্তিমাহাত্ম্যে পরিপূর্ণ-বৃত্রসংহার বুঝিতে পারি না। প্রথম যখন নৈমিষাকাব্য সেই মহাবৃক্ষের একটি পল্লব রণ্যে অসাহায় শচীকে অস্বরগণ ধরিতে মাত্ৰ লইর রচিত হইয়াছে। কেন যায়, তখন একটু আলো দেপিতে পাই । রচিত হইল? বুত্রসংহারের উদেশ্য কি ? দেখিতে পাই, শক্তির অত্যাচার। অনেকের বিবেচনায় এরূপ কাব্যপ্রণ- প্রথম খণ্ডের শেষে গিরা, যখন শুচীর য়নের উদ্দেশ্য, কয়েকটি উজ্জ্বলচিত্রের অপমানে শিবের ক্রোধাগ্নি-শিখ স্বৰ্গীয়
- কাব্যের উদ্দেশ্য যে শিক্ষা ইহা সচরাচর বোধ হয় স্বীকৃত নহে । বিলাতি সমালোচকদিগের প্রচলিত মত এই যে সৌন্দর্য স্থষ্টি কাব্যের একমাত্র উদেশ্য । এই উদেশ্য ছাড়িয়া শিক্ষায় প্রবৃত্ত হইলে কাব্য অপকর্ষত প্রাপ্ত হয় । ইহা সত্য বটে এবং অসত্যও বটে। কি প্রকারে সত্য এবং কি প্রকারে অসত্য, শিক্ষার, সঙ্গে সৌন্দর্ঘ্যের কি সম্বন্ধ, উভয়ের সঙ্গে কাব্যের কি সম্বন্ধ, সবিস্তারে তাহা বুঝাইবার স্থান এ নহে। তাহা বুঝাইতে আর একটি স্বতন্ত্র প্রবন্ধের প্রয়োজন । এষ্ট প্রবন্ধের স্থানান্তরে সে তত্ত্বের যৎকিঞ্চিৎ সমালোচন করা গিয়াছে ।