পাতা:বঙ্গদর্শন-পঞ্চম খন্ড.djvu/৫৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○○8 জন্মাবধি কেবল মুখভোগ করিত্তেছে দুঃখ কাহাকে বলে জানে না । ইত্যাদি স্থলে আমরা কেবল কাৰ্য্য দেখিতেছি কারণ দেখিতে পাই না। যদি বল আজন্ম দরিদ্র ব্যক্তির পিতা দরিদ্র থাকাতে সেও দরিদ্র হইয়াছে এবং আজন্ম মুখী ব্যক্তির পিতার অতুল সম্পত্তি থাকাতে সে সুখভোগ করিতেছে। ইহার উত্তরে আমরা বলিব তাহীদের পিতার সধ্যেই বা একপ বৈষম্য কি নিমিত্ত হইল ? ইহার পর ক্রমশঃ যতদূর যাইবে ততদূরই প্রশ্ন চলিবে মীমাংসা কিছুই হইবে না অর্থাৎ তাদৃশ বৈষম্যের প্রতি কোন কারণই দৃষ্ট হইবে না। অন্যদিকে একজন সৰ্ব্বদা সৎকার্য্যের অমুষ্ঠান করিয়াও ইহজন্মে তদনুরূপ ফল পাইতেছে না, দুঃখে দুঃখেই জীবন শেষ করিতেছে। অপরে নিরত গহিত কাৰ্য্য আচরণ করিয়াও তদনুযায়ী ফল না পাইয়। বরং সুখে জীবন যাপন করিতেছে । এখানে কৰ্ম্ম অাছে কিন্তু ফল নাই ; একদিকে কাৰ্য্যের প্রতি কোন কারণ দেখা যাইতেছে না অপরদিকে কার্যের ফল দৃষ্ট হইতেছে না কিন্তু দুইটাই থাকা আবশ্যক। সুতরাং প্রাচীন পণ্ডিতেরা পুৰ্ব্বজন্মের সৎ ও অসৎ কৰ্ম্মের ফলকে পরজন্মের সুখ দুঃখের প্রতি কারণ বলিয়া এই বিষম সমস্যার এক প্রকার সমাধান করিয়াছেন ৰুলিতে হইবে । বৈশেষিক স্বত্রকার বলেন বঙ্গ দর্শন । (চৈর । “তৎসংযোগে বিভাগ: "৬অ,২অ{ ১৫হু । যতদিন লোকের ধৰ্ম্ম বা অধৰ্ম্ম থাকিবে ততদিন এই পৃথিবীতে জন্ম মরণের ধারাপ্রবাহ থাকিবে, ততদিন জীবগণ এক দেহের পর অপর দেহ আশ্রয় করিয়া আপন আপন কৰ্ম্মভোগ করিবে । এইরূপ জন্ম প্রবাহকে বেদে অজরঞ্জরী ভাব এবং দর্শনশাস্ত্রে প্রেত্যভাব বলে । যথা গেীতমস্থত্রে— “পুনর পত্তিঃ প্রেত্যভাবঃ।”১অ ১আ১৯স্থ “প্রেত্য-মৃত্বা, ভাবে জননং, প্রেত্যভtধঃ । তন্ত্র পুনরিত্যনেনাভ্যাসকথনাৎ প্রাগুৎপত্তিস্ততোমরণং তত উৎপত্তি রিতি প্রেত্যভাধেহিয়মরণাদি রপবর্গত্তিঃ ” স্বত্রবৃত্তি - মৃত ব্যক্তির পুনৰ্ব্বীর উৎপত্তির নাম প্রেত্যভাব। প্রথম উৎপত্তি, তাহার পর মরণ, তাছার পর আবার উৎপত্তি এইরূপে প্রেত্যভাব অনাদি কিন্তু মোক্ষ হইলে ইহার নাশ হয় । cश्रोडथ बरनन “আত্মনিত্যত্বে প্রেত্যভাৰসিদ্ধিঃ ।” ৪ অ, ১ আ1 ১০ স্থ আত্মার নিত্যত্ব যদি স্বীকার কর তবে প্রেত্যভাবও স্বীকার করিতে হইবে কারণ স্বকৃত বা দুষ্কৃত কৰ্ম্মের ভোক্ত একমাত্র আত্মা এবং ঐ সকল কৰ্ম্ম হইতেই উত্তমাধম কুলে জন্ম হইয়া থাকে। , আমরা এক্ষণে ইউরোপীয় পণ্ডিত দিগের এতদ্বিষয়ক মতামত সংক্ষেপে