পাতা:বঙ্গদর্শন-পঞ্চম খন্ড.djvu/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(बंधकार-जि ४च्)ः, •९s’s ) চতুর্দশ পরিচ্ছেদ । রোহিণী,গোবিন্দ্রলালের অনুমতি ক্রমে হরলালের দত্ত নোট বাহির করিয়া লইতে আসিল । ঘরে দ্বার রুদ্ধ করিয়া সিন্দুক হইতে নোট বাহির করিল। ধীরে ধীরে দ্বারের দিকে আসিতেছিল—কিন্তু গেল না । মধ্যস্থলে বসিয়া পড়িয়া, নোট গুলির উপর পা রাখিয়া, রোহিণী কুঁাদিতে বসিল ।

  • এ হরিদ্রাগ্রাম ছাড়িয়া আমার যাওয়া হইবে না—ন দেখিয়; মরিয়! যাইব । আমি কলিকাতায় গেলে,গোবিন্দলালকে ত দেখিতে পাইব না ! আমি যাইব না। এই হরিদ্রাগ্রাম আমার স্বৰ্গ,এখানে গোবিন্দলালের মন্দির! এই হরিদ্রাগ্রামই আমার শ্মশান, এখানে আমি পুড়িয়। মরিব । শ্মশানে মরিতে পার না, এমন কপালও অাছে ! আমি যদি এ হরিদ্রাগ্রাম ছাড়ির না যাই, ত আমার কে কি করিতে পারে ? কৃষ্ণকান্ত রায় আমার মাথা মুড়াইম, ঘোল ঢালিয়া দেশছাড়া করিয়া দিবে ? আমি আবার আসিব । গোবিন্দলাল রাগ করিবে ? করে, করুক, —তবু আমি তাহাকে দেখিব। আমার চক্ষু ত কাড়িয়া লইতে পারিবে না। আমি যাব না । কলিকাতায় যাব না— কোথাও যাব না ! যাইত, যমের বাড়ী शांद । डांग्न ८कां५७ न! !”

यहे निकाख श्ब्रि कबिंबा, কালামুখী রোহিণী উঠিয়া, নোট গুড়াইয়া লইয়া, कृक्षकांtछब्र छैन्नैडा । \ు দ্বার খুলিয়া আবার— পতঙ্গবন্ধহিমুখং বিবিষ্ণু ”—সেই গোবিন্দলালের কাছে চলিল। মনে মনে বলিতেই চলিল,— “ হে জগদীশ্বর, হে দীননাথ, হে দুঃখি জনের একমাত্র সহায় ! আমি নিতান্ত দুঃখিনী, নিতান্ত দুঃখে পড়িয়াছি— আমায় রক্ষা কর? আমার হৃদয়ের এই অসহ্য প্রেমবতুি নিবাইয়া দাও—আর আমার পোড়াইও না। আমি যাহাকে দেখিতে যাইতেছি—তাহাকে যতবার দেখিব, ততবার-আমার অসহ্য যন্ত্রণ —অনন্ত সুখ । আমি বিধবা—আমার ধৰ্ম্ম গেল—মুখ গেল—প্রাণ গেল— রহিল কি প্রভূ-রাখিব কি প্রভূ—হে দেবতা! হে দুর্গ—হে কালি—হে জগস্নাথ—অামায় মুমতি দাও—আমার প্রাণস্থির কর –আমি এই যন্ত্রণ আয় সহিতে পারি না।” তবু সেই স্ফীত,হৃত, অপরিমিত প্রেমপরিপূর্ণ হৃদয়—থামিল না। কখন ভাবিল গরল খাই, কখন ভাবিল গোবিন্দলালের পদপ্রাস্তে পড়িয়া, অন্তঃকরণ মুক্ত করিয়া সকল কথা বলি, কখন ভাবিল পলাইয়া যাই, কখন ভাবিল বারুণীতে ডুবে মরি, কখন ভাবিল ধৰ্ম্মে জলাঞ্জলি দিয়৷ গোবিন্দলালকে কাড়িয়া লইয়া দেশীপ্তরে পলাইয়া যাই । রোহিণী কঁাদিতে কাদিতে গোবিন্দলালের কাছে, নেট ফিরাইয়া দিল । গোবিন্দলাল জিজ্ঞাসা করিলেন, “কেমন? কলিকাতায় যাওয়া স্থির হইল ত?”