পাতা:বঙ্গদর্শন-পঞ্চম খন্ড.djvu/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

в t কৃষ্ণকাস্তের উইল । গোবিন্দ। “আমি একটু বাতাস খেতে এলেম, তাও কি তোমার সইল না ?” বালিকা বলিল, “সবে কেন ? এখনই আবার থাই খাই ? ঘরের সামগ্ৰী খেয়ে মন উঠে না, আবার মাঠে ঘাটে বাতাস খেতে উকী মারেন।” গো । “ঘরের সামগ্রী এত কি খাই লাম ?” “কেন এইমাত্র আমার কাছে গালি খাইয়াছ ?” “জান না, ভোমরা, গালি থাইলে যদি বাঙ্গালির ছেলের পেট ভরিত, তাহ হইলে,এ দেশের লোক এত দিন সগোষ্ঠী বদ হজমে মরিরা যাইত। ও সামগ্ৰীটি ক্ষতি সহজে বাঙ্গালা পেটে জীর্ণ হয়। তুমি আর একবার নথ নাড়ো, ভোম্রা, আমি আর একবার দেখি ।” গোবিন্দলালের পত্নীর যথার্থ নাম কৃষ্ণমোহিনী, কি কৃষ্ণকামিনী, কি অনঙ্গমুঞ্জরী, কি এমনই একটা কি তাহার পিতা মাতা রাখিয়াছিল, তাহা ইতিহাসে লেখে না । অব্যবহারে সে নাম লোপপ্রাপ্ত হইয়াছিল। তাহার আদরের নাম “ভূমর” বা “ ভোমরা ।” সার্থকতাবশতঃ সেই নামই প্রচলিত হইয়াছিল। ভোমরা কিছু কাল । ভোমরা নথ নাড়ার পক্ষে বিশেষ আপত্তি জানাইবার জন্য নথ খুলিয়া, একটা হুকে রাখিয়া, গোবিন্দ্রলালের নাক ধরিয়া নাড়িয়: দিল। পরে গোবিনলালের মুখপানে চাহিয়া মৃদ্ধ২ হাসিতে बणश्fिश्नः, ?ब:, s ३•a, ।। * লাগিল,—মনে২ জ্ঞান, ciनि বড় একটা কীৰ্ত্তি করিয়াছি। গোবিন্দলালও তাহার মুখপানে চাহিয়া অতৃপ্তলোচনে দৃষ্টি করিতেছিলেন। সেই সময়ে স্বৰ্য্যোদয়স্বচক প্রথম রশ্মিকিরীট পূৰ্ব্বগগনে দেখা দিল—তাহার মৃদুল জ্যোতিঃপুঞ্জ ভূমণ্ডলে প্রতিফলিত হইতেলাগিল । নবীনালোক পূৰ্ব্বদিক্ হইতে আসিয়া পূৰ্ব্বমুখী ভ্রমরের মুখের উপর পড়িয়াছিল। সেই উজ্জল, পরিষ্কার, কোমল, শ্যামচ্ছবি মুখকাস্তির উপর কোমল প্রভাতালোক পড়িয়া, তাহার বিস্ফারিত লীলাচঞ্চল চক্ষের উপর জলিল, তাহার মিগ্ধেtজল গণ্ডে প্রভাসিত হইল, হাসি চাহুনিতে, সেই আলোতে, গোবিন্দ লালের আদরে, অার প্রভাতের বাতাসে মিলিয়া গেল । এই সময়ে স্বপ্তোথিত চাকরাণী মহলে একটা গোলযোগ উপস্থিত হইল। তৎপূৰ্ব্বে ঘর ঝাটান, জলছড়ান, বাসন মাজ, ইত্যাদির একটা সপৃ সপৃ ছপ্‌ ছপৃ ঝন ঝন্‌ খন খন্‌ শব্দ হইতেছিল—অকস্মাৎ সে শব্দ বন্ধ হইয়া, “ও মা কি হবে!” “কি সৰ্ব্বনাশ!” “কি মাস্পান্ধা!” “কি সাহস!” মাঝে২ হাসি টিটুকারি ইত্যাদি গোলযোগ উপস্থিত হইল । শুনিয়া ভ্রমর বাহিরে আসিল । চাকরাণী সম্প্রদায় ভ্রমরকে বড় মানিত ন—তাহার কতকগুলি কারণ ছিল। একে ভ্রমর ছেলে মামুয—তাতে ভ্রমর স্বয়ং গৃহিণী নহেন—তাহার শ্বাশুড়ী