পাতা:বঙ্গদর্শন-প্রথম খণ্ড.djvu/৩৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

वणघर्थम, अs, . 3२१> 1) আকাশে কত তার অাছে। હં૧e আকাশে কত তারা আছে ? ঐ যে নীল নৈশ নভোমণ্ডলে অসংখ্য বিন্দু জ্বলিতেছে, ও গুলি কি ? ও গুলি তারা । তারা কি ? প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিলে পাঠশালার ছাত্র মাত্রেই তৎক্ষণাৎ বলিবে যে, তারা সব সূৰ্য্য। সব সূৰ্য্য ! সূৰ্য্য ত দেখিতে পাই বিশ্বদাহকর, প্রচণ্ড কিরণ মালার আকর ; তৎপ্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করিবাবও মনুষ্যের শক্তি নাই ; কিন্তু তারা সব ত বিন্দু মাত্র ; অধিকাংশ তারই নয়ন গোচর হইয়া উঠে না। এমন বিসদৃশের মধ্যে সাদৃশ্য কোথায় ? কোন প্রমাণের | উপর নির্ভর করিয়া বলিব যে এ গুলি সূৰ্ণ ? এ কথার উত্তর পাঠশালার ছাত্রের দেয় নহে ! এবং র্যাহারা আধুনিক ইউরোপীয় বিজ্ঞান শাস্ত্রের প্রতি বিশেষ | মনোযোগ করেন নাই, তাহার এই কথাইঅকস্মাৎ জিজ্ঞাসা করিবেন । র্তাহাদিগকে আমরা এক্ষণে ইহাই বলিতে পারি যে, ! এ কথা অলঙঘ্য প্রমাণের দ্বারা নিশ্চিত । সেই প্রমাণ বোধগম্য করা অতি দুরূহ ব্যাপার। বিশেষ দুইটা কঠিন কথা তাহাদিগকে বুঝাইতে হইবে ; প্রথমতঃ দূরতা কি প্রকারে নভঃস্থ জ্যোতিষ্কর পরিমিত হয় ; দ্বিতীয় আলোক পরীক্ষক নামক আশ্চৰ্য্য যন্ত্র কি প্রকার, এবং কিপ্রকারে ব্যবহৃত হয়। সুতরাং সে বিষয়ে আদ্য-আমর প্রবৃত্ত হইলাম না। অদ্য সন্দিহান পাঠকগণের প্রতি আমাদিগের অনুরোধ এই, তাহারা ইউরোপীয় বিজ্ঞানের উপর বিশ্বাস করিয়া বিবেচনা করুন যে, এই আলোকবিন্দু গুলিন সকলই সৌর প্রকৃত। কেবল আত্যন্তিক দুরতা বশতঃ আলোক বিন্দুবৎ দেখায়। - এখন কত সূৰ্য্য এই জগতে আছে ? এই প্রশ্নের উত্তর প্রদান করাই অদ্য আমাদিগের উদ্দেশ্য । আমরা পরিষ্কার চন্দ্রবিযুক্ত নিশিতে নিৰ্ম্মল নিরক্ষুদ্র অকাশমণ্ডল প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া দে হইয়াছে। সেই প্রমাণ কি, তাহা বিবৃত । খিতে পাই যে আকাশে নক্ষত্ৰ যেন করা অদ্য আমাদিগের উদ্দেশ্য নহে। আর ধরে না। আমরা বলি, নক্ষত্র অযাহারা ইউরোপীয় জ্যোতির্বিবদ্যার সম্যগ | সংখ্য। বাস্তবিক কি নক্ষত্র অসংখ্য ; আলোচনা করিয়াছেন, তাহদের পক্ষে বাস্তবিক শুধু চক্ষে আমরা যে নক্ষত্র দেঃ সেই প্রমাণ এখানে বিবৃত করা নিম্প্র- খিতে পাই, তাহ কি গণিয়া সংখ্যা কর। য়োজন। র্যাহার, জ্যোতিষ সম্যগ, যায় না ? - t সাৰ্য্যয়ন্ত্র করেন নাই, তাছাদের পক্ষে ইহা অতি সহজ কথা। যে কেহ অধ্য