পাতা:বঙ্গদর্শন-প্রথম খণ্ড.djvu/৫৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৬৭৮ THREE YEARS IN EUROPE. © (शक्षणं झlá, > ३१> } ইংলণ্ড সম্বন্ধে আমাদিগের অনেক বিষয়ে | সেইরূপ জ্ঞান। ইংরাজি গ্রন্থ বা পত্রাদি ইংরাজের প্রণীত । ইংরাজের চক্ষে যেমন দেখায়, তাহাতে ইংলণ্ড সেইরূপ চিত্রিত। আমাদিগের চক্ষে ইংলণ্ড কি রূপ দেখাইবে, তাহার কিছুই সে সকলে পাওয়া যায় না। মসুর তাইন একজন কৃতবিদ্য ফরাশী । তিনি ফরাশীর চক্ষে ইংলণ্ড দেখিয়া, ভদেশবিবরণ একখানি গ্রস্তে প্রচারিত করিয়াছেন । তৎপাঠে আমরা জানিতে পারি যে, ইংরাজের চিত্রিত ইংলণ্ড হইতে 'মসূর তাইনের চিত্রিত ইংলণ্ড তানেক বিবয়ে স্বতন্ত্র । ংরাজ ও ফরাশীতে বিশেষ সাদৃশ্য ; এক দেশবাসী, একজাতি, এক ধৰ্ম্মাক্রান্ত ; উভয়ের এক প্রকার শিক্ষা, এক প্রকার আচার ব্যবহার, একপ্রকার স্বভাব । যদি ফরাশির লিখিত চিত্রে ইংলণ্ড এই রূপ নূতন বস্তু বলিয়া বোধ হয়, তবে বাঙ্গালির বর্ণনায় আরও কত তারতম্য ঘটিবে, তাহ সহজেই অনুমেয়। অতএব বাঙ্গালির হস্ত লিখিত একখানি ইংলণ্ডের চিত্র দেখিবার আমাদের বড় বাসন ছিল। এই লেখক বাঙ্গালি জাতির সেই বাসনা পুরাইয়াছেন, এজন্য আমরা তাহাকে ধন্যবাদ করি ।

ইহা অবশ্ব স্বীকার করিতে হইবে যে, লেখক ইউরোপ, একটু অমুকুল চক্ষে

আমাদিগের চক্ষে দেখিতে গেলে উভয়ে ; দেখিয়াছেন। আমাদিগের , দেশের লোকের চক্ষে যে ইউরোপ অতি আশ্চৰ্য্য দেশ বোধ হইবে, তাহাতে সংশয় নাই । যে দেশের জন কয়েক লোকমাত্র সমুদ্র লঙ্ঘন করিয়া পাঁচ সহস্র মাইল দূরে আসিয়া প্রত্যহ নুতন২ বিস্ময়কর কার্য্য করিতেছেন, তাহীদের স্বদেশ যে আমাদের নিকটে বিশেষ প্রশংসনীয় হইবে, তাহাতে সন্দেহ কি ? অতএব র্যাহার স্বভাব দ্বেষবিশিষ্ট নহে, তিনিই | ইংলণ্ডকে অমুকুল চক্ষে দেখিবেন, সন্দেহ নাই । তথাপি বিদেশে গেলে বিদেশের সকল বিষয় ভাল লাগে না । ইউরোপে কি২ আমাদিগের ভাল লাগে না, সেই টুকু শুনিবার জন্য আমাদিগের বিশেষ কৌতুহল আছে। এ গ্রন্থে দে আকাঙক্ষণ নিবারণ হয় না । s সেই টুকু আমরা কেন শুনিতে চাই ? তাহা তামরা বুঝাইতে পারিব কি না বলিতে পারি না। আমরা বাঙ্গলী, ইংরাজ প্রভৃতি শ্রেষ্ঠ জাতির তুলনায় আমরা অতি সামান্ত জাতি বলিয়া গণ্য । ইংরাজের তুলনায় আমাদিগের কিছুই প্রশংসনীয় নহে। আমাদের কিছুই ভাল নহে। কথা সত্য কি না, তাহ আমরা ঠিক জানি না ; কিন্তু প্রত্যহ শুনিতে২ আমাদের উহা সত্য বলিয়া | বিশ্বাসহইয়া উঠিতেছে। সে বিশ্বাসটি ভাল নহে। ইহাতে আমাদের স্বদেশভক্তি, },