পাতা:বঙ্গদর্শন-প্রথম খণ্ড.djvu/৬০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(सूत्रश*न, छब्ब. هوهذ !) পারে। এই রূপে কাল ক্রমে উহার প্রাকৃতিক শব্দ মূলক অর্থ লুপ্ত হইবে, এবং উহা উক্ত জাতি গুণবাচক ধাতু বলিয়া গণ্য হইবে, আশ্চর্য নহে। কি * রূপ প্রক্রিয়া দ্বারা বিশেষ নাম সাধারণ নাম হইয়া পড়ে, সামান্ত দৃষ্টান্তদ্বারা বুঝান যাইতে পারে। দেখ, তৈল শব্দের প্রকৃত অর্থ তিল নামক একটি বিশেষ পদার্থের নির্যাস ; কিন্তু রূপগত সাদৃশ্য দেখিয়া আমরা সরিষা বাদাম প্রভৃতির নির্যাসকে সরিষার তৈল, বাদামের তৈল, ইত্যাদি বলিয়া তৈল শব্দকে জাতিনাম করিয়া লইয়াছি। সুতরাং এক্ষণে তৈল শব্দের অর্থ পূর্বাপেক্ষা বিভিন্ন হইয় পড়িয়াছে। বtলকের কিরূপে শব্দ প্রয়োগ করিতে শিখে, তাহা দেখিলেও অনেক শিক্ষা লাভ করা যায়। মনে কর, একটী শিশু ঘোড়া ও কুকুর বাটতে দেখেও তাঙ্গদের । নাম শিখিয়াছে । পৰ্য্যবেক্ষণ করিলে দৃষ্ট হইবে যে সে বিড়াল বা ছাগল দেখিলে তাহাকে কুকুর বলিবে, এবং গোরু কি উট দেখিলে ঘোড়া বলিবে । যদি একজাতীয় জীবের রব শুনিয়া তদনুসারে তাহার নামকরণ হয়, এবং ভাষার উৎপত্তি ।

  • * (یع و واد

বিভিন্ন-রব-বিশিষ্ট অপর জস্তুর প্রতি আকৃতি, গতি বা অন্য কোনরূপ সাদৃশ্য দেখিয়া সেই নাম বিস্তার করা যায়, তাহা হইলে প্রাথমিক রবীনুগত অর্থ যে লোপ প্রাপ্ত হইবে, ইহা স্পষ্টই দেখা যাইতেছে । 参见 • * অগোস্ত কোমত বলিয়াছেন যে, সকল বিষয়েই জ্ঞানের তিনটী অবস্থা দেখিতে পাওয়া যায় । প্রাকৃতিক কার্য্যের ব্যাখা করিতে গিয়া আমরা প্রথমে দৈবশক্তির তাশ্রয় লই ; পরে এমন কোন কারণ নির্দেশ করি, যাহার সত্ত্বার প্রমাণ নাই ; পরিশেষে পরিজ্ঞাত তত্ত্বগত নিয়ম অবলম্বন করি। ভাষার উৎপত্তি লম্বন্ধে যে তিনটা মতের উল্লেখ করা গিয়াছে, তাহাতে কোমতের বাক্যের পোষকতা হইতেছে । ঈশ্বর মনুষ্যকে ভাষা দিয়াছেন, ঐতিহাসিক-প্রমাণ-শূন্ত বর্তমান ব্যবহার-বিরুদ্ধ লৌকিক সম্মতি হইতে ভাষা জন্মিয়াছে, এক্ষণে মনুষ্যের যে শব্দানুকরণশক্তি দৃষ্ট হইতেছে, সেই শক্তি প্রভাবেই ভাষার উৎপত্তি হইয়াছে, এই তিনটা মত জ্ঞানোন্নতি সংক্রান্ত তিনটী অবস্থার সাক্ষ্য প্রদান করিতেছে । •