পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

»*b’é ] ब्रांछजिशङ् \L बर्छ श्रहिछ्ल পরিধেয় বস্ত্র, ছত্র, যষ্টি, চন্দনকাষ্ঠ প্রভৃতি নিতান্ত প্রয়োজনীয় দ্রব্য সঙ্গে লইয়া অনন্ত মিশ্র গৃহিণীর নিকট হইতে বিদায় লইয়া উদয়পুর যাত্রা করিলেন। গৃহিণী বড় পীড়াপীড়ি করিয়া ধরিল, “কেন যাইবে ?” মিশ্ৰঠাকুর বলিলেন, “রাণার কাছে কিছু বৃত্তি পাইব ।” গৃহিণী তৎক্ষণাৎ শান্ত হইলেন ; বিরহ যন্ত্রণা আর র্তাহাকে দাহ কবিতে পারিল না, অর্থলাভের আশা স্বরূপ শীতলবারিপ্রবাহে সে প্রচণ্ড বিচ্ছেদবহি বাব কত ফোস ফোস করিযা নিবিয়া গেল। মিশ্ৰঠাকুর একাকী যাত্রা করিলেন । পথ অতি দুর্গম—বিশেষ পাৰ্ব্বত্য পথ বন্ধুল, এবং অনেক স্থানে আশ্রয়শূন্য। একাহাৰী ব্রাহ্মণ যেদিন যেখানে আশ্রয় পাইতেন, সেদিন সেখানে আতিথ্য স্বীকার কবিতেন ; দিনমানে পথ অতিবাহন কবিতেন। পথে কিছু দসু্যভয় ছিল—ব্রাহ্মণেব নিকট বহ্বলয় আছে বলিয়া ব্রাহ্মণ কদাপি একাকী পথ চলিতেন না । সঙ্গী জুটিলে চলিতেন সঙ্গী ছাড়া হইলেই আশ্রয় খুজিতেন। একদিন রাত্রে এক দেবালয়ে আতিথ্য স্বীকার করিয়া, পরদিন প্রভাতে গমনকালে তাহাকে সঙ্গী খুজিতে হইল না। চারিজন বণিক ঐ দেবালয়ের অতিথিশালায় শয়ন কবিয়াছিল, প্রভাতে উঠিযা তাহারাও পাৰ্ব্বত্য পথে আরোহণ কবিল। ব্রাহ্মণ দেখিয়া উহারা জিজ্ঞাসা করিল, “তুমি কোথা যাইবে ?” ব্রাহ্মণ বলিলেন “আমি উদয়পুর যাইব ।” বণিকেরা বলিল, “আমরাও উদয়পুব যাইব । ভাল হইয়াছে, একত্রে যাই চলুন।” ব্রাহ্মণ আনন্দিত হইয়া তাহাদিগের সৃঙ্গী হইলেন। জিজ্ঞাসা করিলেন, “উদয়পুর আর কত দূর ?” বণিকেরা বলিল, “নিকট। আজি সন্ধ্যার মধ্যে উদয়পুর পৌঁছিতে পারিব । এ সকল স্থান বাণাব রাজ্য ।” এইরূপ কথোপকথন করিতে কবিতে তাহারা চলিতেছিল। পাৰ্ব্বত্য পথ অতিশয় দুরাবোহশীয়, এবং দুরববোহণীয় এবং সচরাচর বসতিশূন্য। কিন্তু এই দুৰ্গম পথ প্রায় শেষ হইয়া আসিয়াছিল—এখন সমতল ভূমিতে অবরোহণ করিতে হইবে । পথিকেরা এক অনিৰ্ব্বচনীয় শোভাময় অধিতাকায় প্রবেশ করিল। দুইপার্শ্বে অনতিউচ্চ পৰ্ব্বতদ্বয়, হরিৎ বৃক্ষাদি শোভিত হইয়া আকাশে মাথ৷ তুলিয়াছে ; উভয়ের মধ্যে কলনাদিনী ক্ষুদ্র প্রবাহিণী নীলকাচপ্রতিম সফেণ জলপ্রবাহে উপলদল ধৌত করিয়া বনাসের অভিমুখে চলিতেছে। তটিনীর ধার দিয়া মনুষ্যগম্য পথের রেখা পড়িয়াছে। সেখানে নামিলে, আর কোন দিক হইতে কেহ পথিককে দেখিতে পায় না ; কেবল পৰ্ব্বতদ্বন্ধের উপর হইতে দেখা যায়।