পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

धजक्यूंञ আৰাচ .. . عدد নানা জাতিতে গুণান সম্প্রদায়ে বিভক্ত হইয়া থাকা উচিত নহে। দেবালয়ে গিয়া যাগযজ্ঞ করা ও তদুপলক্ষে ব্রাহ্মণভোজন করানও কৰ্ত্তব্য নহে। ইন্দ্রিয়দমন ও চিত্তসংযমই সৰ্ব্বাপেক্ষা শ্রেয়স্কব । আত্মশুদ্ধি নানকের মূল মন্ত্র। বিশুদ্ধ হৃদয়ে একমাত্র অদ্বিতীয় ঈশ্বরের উপাসনা করিলেই প্রকৃত ধৰ্ম্মাচরণ করা হয় । তিনি কহিতেন, ঈশ্বর এক ভিন্ন বহু নহেন, এবং প্রকৃত বিশ্বাস এক ভিন্ন নানা নহে। তবে যে ভিন্ন ভিন্ন জাতির মধ্যে নানাপ্রকার ধৰ্ম্ম দেখিতে পাওয়া যায় তাহা কেবল মনুষ্যের কল্পিত মাত্র । তিনি সমভাবে মোল্লা ও পণ্ডিত, দববেশ ও সন্ন্যাসীদিগকে সম্বোধন করিয়া, যে ঈশ্বর অসংখ্য মহম্মদ, বিষ্ণু ও শিবকে আসিতে যাইতে দেখিয়াছেন, সেই ঈশ্বরের ঈশ্বরকে স্মরণ করিতে ও তৎপ্রতি চিত্তস্থাপন কবিতে অনুরোধ করিতেন । তিনি কহিতেন, ধৰ্ম্ম, দয, বীরত্ব ও সংগৃহীত জ্ঞান বস্তুত: কিছুই নহে, যে জ্ঞানবলে ঈশ্বরের তত্ত্ব অবগত হওযা যায়, তাহাই লাভ করিতে চেষ্টা পাওয়া কৰ্ত্তব্য । তাহার মতে ঈশ্বর এক, প্রভুর প্রভু ও সৰ্ব্বশক্তিমান | সৎকার্য ও সদাচারে এই এক প্রভুর প্রভু, সৰ্ব্বশক্তিমান ঈশ্ববের আশীৰ্ব্বাদভাক্তন হওয়া যায়। গো ও শূকরের সম্বন্ধে হিন্দুদের সহিত মুসলমানদের যেমত বিরোধ আছে নানক বিশিষ্ট উদারতার সহিত তাহার সামঞ্চস্ত করেন। তিনি কহিতেন, একপক্ষ শূকরের অধিকার আর এক পক্ষ গোব অধিকার লইয়া ব্যস্ত, কিন্তু যাহাবা কোনও প্রাণীকেই আপনাদের জন্ম গ্রহণ না করেন, “গুরু” ও “পীরগণ” তাহাদেরই প্রশংসা করিবেন । নানকের মতে সংসারবিরাগ ও সন্ন্যাস ধৰ্ম্ম অনাবশ্যক। তিনি কহিতেন, সাধু, যোগী ও পরমাত্মনিষ্ঠ, গৃঙ্গ উভয়ই সৰ্ব্বশক্তিমান ঈশ্বরের চক্ষে তুল্য। ধৰ্ম্মানুযায়ী মতের সম্বন্ধে নানকের আরও কতকগুলি উক্তি আছে । সেই উক্তিগুলি সবিশেষ প্রসিদ্ধ | এস্থলে তাহার কয়েকটীর উল্লেখ করা যাইতেছে। একদল নানক হরিদ্ধারে গিয়া তত্রত গঙ্গাস্নায়ী ব্রাহ্মণদিগকে সম্বোধন করিয়া কহিয়াছিলেন ;–“ভ্রাতৃগণ ! তোমরা ব্রাহ্মণ পণ্ডিতমহাশয়দিগের হস্ত হইতে পরিত্রাণ পাইবার চেষ্ট পাও । তারা যে তোমাদের সর্বনাশের চেষ্টায় আছেন, তাহা তোমরা জানিতে পারিতেছ না । আমি তোমাদিগকে কহিতেছি, যাবৎ ময়ূন্যের মন পরিশুদ্ধি না গুইবে, তাবৎ তাঙ্গাদের অনুষ্ঠিত জপ, যজ্ঞ, পূজা প্রভৃতি কোন কার্য্যেরই ফল জন্মিবার সম্ভাবনা নাই ।” অন্য একদিন ব্রাহ্মণের স্বান করিয়া পূর্ব ও দক্ষিণমুখ হইয়া তৰ্পণ করিতেছিলেন, এমন সময়ে নানক জলে দাড়াইয়া পশ্চিমদিকে মুখ করিয়া জল সেচিতে লাগিলেন। সকলে ইহার কারণ জিজ্ঞাসা করিলে নানক কছিলেন, করতারপুরের ক্ষেত্র পশ্চিমদিকে আছে, তিনি সেই ক্ষেত্রে জল সেচিতেছেন। ইহা শুনিয়া সকলে উপহাসপুর্বক বলিয়া উঠিলেন,