পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৬ - शथ्रशुर्दिन। [ খাষাঢ় একটি নামতা শুনা যাইত, জটাধারীই তাহা বচনা করিয়াছে বলিয়া আমার অনর্থক কেহ কেহ অপবাদ দিত, নামতাটি এই :– جمام কাছাকে কাছা, কাছা দুগুণে গামছা, দুই গামছা ষোড় ভাই, গজাননের ধুতি তাই । এই বচন গজানন কখন কখন স্বকৰ্ণে শুনিতেন, কিন্তু কাহারও কথায় তিনি ক্ৰক্ষেপ করিতেন না, ববং ভাবিতেন এই বচনেব সাব সংগ্ৰহ করিলে, অনেকের সঞ্চয়শীলতা বৃদ্ধি হইতে পাৰে । যাহা তউক আজ সঞ্চযশীলতা পবিভাগ কবিয়া, অনাবশ্বক খরচ করিয়া ও দেওয়ানজী পোশাকী বস্ত্র পবিধান কবিযাছেন ; তাহাব চরণ আজ “ফুলপুখুরীয়” ফুলদাব জবির ফুল তোলা পাদুকাদ্বয়ে শোভমান । জুতা যোড়াট দ্বাদশ বৎসব হইল খবিদ হইযাছিল কিন্তু তাতার বঙ্গ টসকে নাই । বিশেষ বিশেষ মঙ্গলের দিন, পুণ্যাহ, পূজা দশমী ইত্যাদি বৎসরে দুই চারি দিবস বাহির হয়, নচেৎ ভৈরব খানসামাব জিম্বায একটা পশ্চিমে বাক্তার বস্তানিতে বান্ধা থাকে, ভাদ্রমাসে দুই এক দিবস মাত্র সূর্যাদেব দেখিতে পান, বার বৎসরের মধ্যে বুড় ভৈরব একবাব তামাকের অঙ্গ,লি স্পর্শ করিয়া ঐ পাতৃকার একটি শ্বেত ফুলে দাগ লাগাইয়া আপনার বামগণ্ডে গঙ্গাননের এক চাপড়ের কালিশিরা রূপ চিহ্ন ধারণ করিয়াছে । দেওয়ানঙ্গীর সুসজ্জা দেখিয়া অামি ভাবিতেছি আজ শুভদিন, কারণ যে দিন দেওয়ানজী সুসজ্জিত হন একটি পৰ্ব্ব উপস্থিত হয়, মিষ্টায় সন্দেশের প্রায় আমদানি হুইয়া থাকে। কিন্তু গঙ্গাননের তুষ্ট একটি কথা শুনিয়া আমার সে ভ্রম দূর হইল। একটি প্রিয় অনুচরকে লক্ষ্য করিয়া গজানন কছিলেন “এস, আজ ভোরেক্ট কৰ্ত্ত মহাশয়ের সহিত সাক্ষাৎ হইয়াছে, আশুতোষ ত আশুতোষ । যেমন নাম তেমনি গুণ, আমার ঘোড়াটা হত হুইয়াছে শুনিয়াই কহিলেন নূতন একটি অশ্ব ক্রয় করিয়া লও, সিংহদের নিকট আর দাবী করিও না”—গজানন আবার নিম্ন স্বরে ‘কহিলেন “ঘোড়াটি ত সরকারী খরচেষ্ট খরিদ হইবে, কিন্তু সিংহদের নিকটেও মূল্য আদায় করা চাই, চাই বৈ কি ?-চাই な*ー চাই ।” এই কথা কহিয়া দেউড়ির সম্মুখে যথায় শিবিক প্রস্তুত ছিল দেওয়ানী আসিয়া দাড়াইলেন । আরোহণ করিতে উদ্যত হইলেন এমন সময় আমি কহিলাম "দাদা মহাশয় আমি যাইব ।” গজ। কে রে ভাই—জটু ! কোথায় যাইবে ?