পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>२ve ] প্রাপ্তগ্রন্থের সংক্ষিপ্ত সমালোচন Ꮌ©Ꮎ

  • ষা'র বলে কত শত কবি চিরতরে অমরতা লভিয়াছে এ ভবমগুলে ;– ভারতীয় বরপুত্র, যাহে, কালিদাস কবি-কুল-পিকবলি বিখ্যাত ভুবনে । ধাহার সহায়ে মধু, মধুর গুঞ্জনে, রচেছিলা মধুচক্র • • আজি আমি সেই কৃপাবলে নাহি ডরি, কারে ত্রিভুবনে ৷”

ইহা পাঠ করিয়া আর সমালোচনা করিতে আমাদের সাহস হয় না। কেশব বাবুর উপর কল্পনা দেবীর কৃপা হইয়াছে। যাহার বলে কালিদাস কবিকুলপিকবলি বিখ্যাত, যাহার বলে অস্ত কবির অমরতা লাভ করিয়াছেন, আজ সেই বলে কেশব বাবু মানস কুসুম লিখিয়াছেন, কেন তিনি আর ত্রিভুবনে কাহাকে ডর করিবেন । উদ্ধৃত অংশের পর কবি লিখিতেছেন – সময়ে সময়ে মা জ: ! =মি কাব্যে"দানে, তুলিব কুসুম বাৱ৷ গথিব মনের সাধে । কন্তু সাজাইয়া অধু প্ৰ:সে অামি ) সরস কুসুম হার ,” তাহার পল কল্পনার নিকট কেশব বাবু প্রার্থনা করিতেছেন –

  • কিন্তু, যাচে তব কাছে অয়ি দয়াময়ী ! সদা ষেন রয় দাস নয়নের কোণে ।* শেষ ভাষা অতি চমৎকার সন্দেহ নাই ভাবটিও ভাল। তবে কিনা, আমরা প্রথমে ভাব বুঝিতে একটু গোলে পড়িয়াছিলাম ; দাস কিরূপে নয়নের কোণে রয়, ইহা আমাদের ভাবিতে হইয়াছিল। এই সময় একজন বৃদ্ধ কবি আমাদের নিকটে ছিলেন, তিনি সতানারায়ণ পয়ারে লিখিয়াছেন বলিয়া তাহার প্রতি আমাদের বড় ভক্তি । তিনি অনুগ্রহ করিয়া আমাদের বুঝাইয়া দিলেন যে, পূৰ্ব্বে রেওয়াজ ছিল যে, দাস স্বীকার করিলে স্থান চরণের প্রান্তে চাহিতে হইত ; এক্ষণে সেই রেওয়াজ উঠিয়া গিয়াছে, দাসের পক্ষে এক্ষণে নয়নের কোণে স্থান হইয়াছে। আমরাও ভাবিলাম ইহা স্বাধীনতার সুফল ; দাস হউক আর যাহাই হউক উনবিংশ শতাব্দীতে চরণপ্রাস্তে স্থান চাওয়া সংশিক্ষার বিরুদ্ধ ; অতএব আলাদে আমরা আবার পাঠ করিলাম। কিন্তু এবার বুঝিলাম যে, আমাদের বুৰবার ভুল হইয়াছে। "সদ যেন রয় দাস নয়নের কোণে” ইহার অর্থ সদা

- هدیه ۹