পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So वचांबिका। [ আষাঢ় কোকিল সম্বন্ধে ১ম পৃষ্ঠা হইতে উদ্ধৃত – প্রস্তীম সতত যথা অলি-গুঞ্জ রবে।” পদ্মিনী সম্বন্ধে ২৫ পৃষ্ঠা হইলে উদ্ধৃত – মলম্বা প্রতিম রুচি উচ্চতরুদলে।” যদি কখন কেহ অনবধানতা প্রযুক্ত বা দুরদুষ্ট বশতঃ এই গ্রন্থ পাঠ করিতে আরম্ভ করেন, তবে তাহাকে বিপদ হইতে উদ্ধার কবিবাব নিমিত্ত পবম কারুণিক কবি প্রতি পত্রে কতকগুলি কথার অর্থ লিখিয়া দিয়াছেন । তাহাতে ও যে, বড় সুবিধা হইয়াছে, এমত বোধ হয় না । গ্রন্থকাব যদি বাঙ্গালা ভাষায় লিখিতেন তাহা হইলে যে কি ক্ষতি হইত, বা কোন ভাবটি প্রকাশ হইত না, তাহা আমরা বুঝিতে পাবিলাম না। আমাদের বোধ হয় লেখক অতি বালক, সম্প্রতি অভিধান হাতে পাইয়াছেন, তাহাই কাগজ কালিব এরূপে শ্রাদ্ধ করিয়াছেন । শুরবালা সুরবালা। স্বর্ণলতাবিরচিত। হরিনাভি সাহিত্য-উৎসাহিনী সভা হইতে প্রকাশিত । গ্রন্থখানি মোট ৩৬ পৃষ্ঠা, তাহাব মধ্যে ২০ পৃষ্ঠ গ্রন্থকত্রীর পরিচয়, আর ১৬ পৃষ্ঠা সুরবালা নাটক বা গল্প। গল্পটি এই – এক রাজবাটীর কানাচে যুদ্ধ উপস্থিত। রাজকুমার বিজয়সিংহ মুখ চুণ করিয়া অন্দরে আসিলেন । র্তাহার স্ত্রী সুরবালা জিজ্ঞাসা করিলেন, “আজ কেন বিরস বদন ?” রাজকুমার বলিলেন, “পিতৃ আজ্ঞায় অদ্য রণ করিতে যাইতে হইবে।” সুরবালা জিজ্ঞাসা করিলেন “কোথায় রণ ?” বিজয়সিংহ বলিলেন কানাচে । সুরবালা বলিলেন, তবে “দেখি রণ, বসি গবাক্ষেতে ” পরে রাজকুমার রণস্থলে গেলেন, কিন্তু শীঘ্ৰ তথা হইতে পলাইলেন ; তখন র্তাহার স্ত্রী সুরবালা আর কি করেন গবাক্ষ হইতে, নামিয়া রণ করিতে গেলেন, গিয়া দুইজন শক্রকে মারিলেন । তাহাতেই বীররসের চুড়ান্ত হইয়া গেল। হরিনাভি সাহিত্যসমাজ অমনি মাতিয়া উঠিলেন। সাহিত্যের সাহায্যাৰ্থ এই গ্রন্থ পয়সা খরচ করিয়া ছাপাইলেন । হরিনাভির সমাজ বড় দয়ালু, আমাদের সাহিত্যের প্রতি র্তাহাদের যথেষ্ট দয়া। কিন্তু এই ব্যাপারে সাহিত্য ব্যতীত তাহাদের যদি আর কেহ সাহায্যের পাত্র থাকে, তবে গ্রন্থখানি মুদ্রাঙ্কন না করিয়া অন্তরূপে সাহায্য করিলেই ভাল হইত।