পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ኃቄ8 बध्रकुत्र [ थांदर्भ কহিতে একটা মৃত মণ্ডুকের চরণের একপার্শ্বে একটা তাম্রখণ্ড এবং অপর পার্শ্বে একটা জিঙ্ক নামক ধাতুখণ্ড লাগাইবামাত্র ব্যাঙের পাখানা ধড়ফড় করিয়া উঠিল। অমনি তিনি সেই কার্য্যের কারণ অনুসন্ধানে প্রবৃত্ত হইলেন এবং সেই অনুসন্ধানের ফল বৈদ্যুত তত্ত্বের আবিষ্কার। পরে যাহা বেনজামিনের আবিষ্কৃত কারণের সহিত মিলিত হইয়া এক্ষণে বৈদ্যুত বার্তাবহরূপে জগতের মধ্যে স্বৰ্গীয় দূতের কার্য্য করিতেছে। এইরূপ তৰাবিষ্কারদিগের জীবনী পাঠে ইহাই প্রতীত হয় যে জগতে যে সকল তত্ত্ব আবিষ্কৃত হইয়াছে তাহার মূল কারণানুসন্ধান। কেহ আশঙ্কা করিয়াছিলেন ভাল, জগতের যদি কাৰ্য্য থাকে তবে ত কারণ থাকিবে, তাহার পরে কার্য্যকারণ সম্বন্ধের বিচার । কিন্তু জগতে কাৰ্য্য কিছুই নাই। বেদ বলিয়াছেন “স দেব সৌমোদমত্র আসীং " জগতে যাহা কিছু আছে তাত বরাববই আছে তাহাদেব উৎপত্তিও নাই নাশও নাই। যদি বল কোন সময় কোন বস্তু দেখা যায় এবং কোন সময় কোন বস্তু দেখা যায় না কেন ? ইহার উত্তৰ আৱির্ভাব আর তিরোভাব অর্থাৎ কোন বস্তু কোন সময় লীন হইয়া থাকে কোন সময় আবার প্রকাশ পায়। ইহার উত্তরে আমরা এই কথা বলি যদি তাই হয় তবে বস্ত্র বয়ন করিবার স্তাতে ঘটের আবির্ভাব হয় না কেন ? কুম্ভকারের চাকা ঘুরাইলে বস্ত্রের আবির্ভাব হয় না কেন ? আমাদের এই কথার উত্তরে অবশ্য ইহাই বলিতে হুইবে যে বস্তুবিশেষে বস্তুবিশেষের আবির্ভাব হয়, তাহা হইলেই হইল, তা হইলে কোন বস্তুর উৎপত্তির পূৰ্ব্বে যে বস্তুর থাকা আবশ্যক করে সেই বস্তুকে কারণ না বলিয়া কোন বস্তুর প্রকাশের পূর্বে যে বস্তুর থাকা আবশুক করে তাহাকেই কারণ বলিব ।