পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জটাধারীর রোজনামচা *^రి [ همداد পাঠ করিয়া কত কত আলমারী খালি করিয়াছেন, কয়েক বৎসর কালেজের অধ্যাপক থাকিয়া শিক্ষকশ্রেণীতে সুখ্যাতি লাভ করিয়াছেন, বিষয় বুদ্ধিতে মন উথলে পড়িতেছে, নুতন কাৰ্য্যে প্রবৃত্ত হইয়াছেন, শিষ্টপালন করিবেন, তুষ্ট দমন করিবেন বলিয়া উৎসাহে মন পরিপূর্ণ, তাহাকে ঠকাইতে পারে এমন কে আছে ? দরখাস্ত পড়িলেই তিনি বাদীর মনের ভাব জানিতে পারেন। কাগজ পাঠ হইতে হইতেই মৌলবী সাহেব কহিয়া উঠিলেন, “দারগ একটা মিথ্যা রিপোর্ট লিখিয়াছে যে, কাদম্বিনীর বিসূচিকা পীড়ায় মৃত্যু হইয়াছে। এ কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা, আমি বিলক্ষণ জানিতে পারিতেছি যে অমূলক ইজ্জতের ভয়ে সিংহ বাবুরা একটি ফেরেব বানাইয়াছেন, ইহার বিহিত উপায় করা যাইবে ।” পরদিন প্রভাত, সিংহবাবুর কুপ্রভাত হইল ; বৈঠকখানার পার্শ্বে একটি কুঠর বাবু শিবসহায় সিংহের শয়নগৃহ, তাহার গবাক্ষদ্বার সিংহবাবু উদঘাটন করিয়া দেখিলেন, কাল কাল পাগড়ী ও বড় বড় লাঠি হস্তে কতকগুলি যমদূত র্তাহার গৃহ বেষ্টন করিয়াছে। নাজির ঘোটকারোহণে, বাটীর চতুস্পাশ্বে পরিভ্রমণ করিতেছেন, সকলকে সতর্ক করিতেছেন ও কহিতেছেন, “খান বাহাদুরের ঘোড়া আগত প্রায় ।” বাবু শিবসহায় এখন বিপদ সম্মুখে দেখিয়া কালী তারা ডাকিতে লাগিলেন, ও ভাবিলেন ইহার অর্থ কি ? কি অপবাধ করিয়াছেন তাহাও স্থির কবিতে অক্ষম, ভাবিতে ভাবিতে অস্থির হইতেছেন এমত সময় তাহার বিশ্বাসী ভূত্য রামা পবামাণিক গৃহেব দ্বার ধীরে ধীরে খুলিল । বৃদ্ধবাবু চমকিত হইলেন, মনে করিলেন এই ধরিল, রামা অতি মৃদু স্বরে কহিল “আমি।” শিব । আবে আমি কে ? রামা । আজ্ঞা, আমি । . শিব । ফের আমি, নাম কি ? রামা । আমি রামপ্রসাদ । শিবসহায় বাবু নিশ্বাস ফেলিয়া কহিলেন রক্ষা হউক, সংবাদ কি বলিতে পারিস্ ? রাম। পারি, মহাশয়—আমি— শিব। তুই “আমি” ছাড়িবি না ? রাম । আমিই ভগবান মহাশয়—তা— শিব। আ! আবে খবর বল। রাম। আমি যেই জাগ্রত ছিলাম তাই রক্ষা। রাত্রি দুই প্রহরের সময় শঙ্কর সর্দার কহিল যে, কাহুদিদিকে হাজির করিবার জন্ত স্বয়ং হুজুর আজুিন, আমি তখনি তার উপায় করিয়াছি।” রামার এই কথা শেষ না ইতেই.ারে يهده