২৮২ * विक्षित्रि [ चांचिन
- ক্ষেপ ক্ষেপ বলে, সবে, কিসের ক্ষেপা কেবা জানে । আমার উকীল চাদে মঞ্জালে ভাই, আকাশের চাদ হাতে এনে ॥ সেটেমে ফুরাল টাকা, চিরকুটের দাম হাজার টাকা । ফিয়েতে ফকির, শেষে, ভিটে নিলে মহাজনে । বাকি জমী যে ক কাঠা, সব নিলে গজানন বেটী । এখন সম্বলমাত্র এই দলিল কটা, স্ববিচারের গুণ বাখানে ॥"
গাইতে গাইতে শীতু বৈঠকখানার হল কামরায় উপস্থিত। ভৈরব খানসামা কহিয়া উঠিল, “কি বিটকেল " শীতু যতদূর পাবিলেন উপরপাটির দংষ্ট্র নির্গত করিয়া ভৈরবের মাথার উপর দুইবার, কি বিটকেল ! কি বিটকেল ! কহিলে, ভৈরব ভীত হইয়া কহিল, “মনিকারের ঘরে গিয়াছিলাম, ভাল মুকুটের ফরমাইস দিয়াছি।" যেন চকিতে মেঘাস্ত-শশীর উদয় । শীতু হাস্য করিলেন ও চৰ্ম্মের ক্ষুদ্র থলি হইতে এক গুলি গঞ্জিকা ভৈববকে হাসিতে হাসিতে অর্পণ করিলেন । আশুতোষ বাৰু শীতুঠাকুরের উভয় পাদান্ধ তৈল তুলায় রঞ্চিত দেখিয়া শীতুকে কহিলেন, কি হে শীতলচাদ, এ যে নায়কের বেশ । শীতু কহিলেন, কন্যা স্থির করিয়াছি ? আশুবাবু কহিলেন, কোথায় ? শী। মহাশয় ! সুন্দরী গোপিনীকে আমার মনোনীত, কাল সেই পথে আসিতেছিলাম, সে স্নান করিয়া কেশমুক্ত করিয়া একটী ক্ষুদ্র পূর্ণ কলসী কক্ষে লইয়া বক্ষ ঈষৎ বাকাইয়া, ঘৰমুখে আসিতেছে আমি তার অনুসারী হলেম, তাদের ঘরে গেলাম—তার মা সাহেবিনী গোপিনীকে বলিলাম, আমায় জামাই করতে হবে, সে বললে কি দিবে ? আমি কোন কথা না কয়ে গেজে খুলিলাম। ডবল টাকা হুই হাতে দিয়া বায়না করিয়া আসিলাম । কথা শুনিয়া খঞ্জভৗম দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিলেন । মনে করিলেন, হাতে ধন আসিতে আসিতে পথেই মারা যায়। প্রকাশ্যে কহিলেন, “মহাশয় কেমন কথা ! উনি যথার্থই কি পাগল—আপনি কৰ্ত্ত এর সংবিচার আপনার নিকট ; আমার অনেক কালের দাবি, বোধ করি সুন্দরীকে জিজ্ঞাসিলে সে আমারই প্রিয়া প্রকাশ পাইবে । আমার উদ্দেশ্য “রিফরমেসন” ইহাও মহাশয় জ্ঞাত আছেন।” আশুতোষ বাবু কহিলেন ইহার সৎমীমাংস সত্বরই হইবে । এমন সময় গজানন আসিয়া উপস্থিত । খঞ্জভীমের সাক্ষাৎ তেলে বেগুণে দেখা দেখির মত । খঞ্জভীম ঠিকুরে চলিয়া গেলেন। শীতুকে গজানন কহিলেন, কি খুড় । শীতু। এ নাগর বেশ ! গ। মোকৰ্দমা করবে ?
