পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৩০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૪૨ના ] ভাগৰিবিজয় ২৯৫ ব্যাসে, বর্জিল অথবা মিল্টনে, গোটে অথবা শেক্ষপীয়রে, ইহার অধিক আর কিছু আছে কি ? আবার কতকগুলি সংবাদপত্রে এই পুস্তকের যে সমালোচনা বাহির হইয়াছে তাহা দেখিয়াও আমরা অবাক হইয়াছি। সে কেবল খাটি নির্জলা নিন্দ । তার সার মৰ্ম্ম এই যে, গ্রন্থখানি কিছুই নহেরও অধম, এবং গ্রন্থকার বাতুল । লিউইস সাহেব তাহার ‘দর্শনশাস্ত্রের ইতিহাসের এক স্থলে লিখিয়াছেন যে, কোমতকে নূতন নূতন মত সকল প্রচার করিতে দেখিয়া অনেকে তাহাকে বাতুল স্থির করিয়াছিল, কিন্তু ‘প্রামাণিক দর্শন যদি বাতুলতার ফল হয়, তাহা হইলে আমাদের কামনা, বাতুলতার এপিডেমিক হউক। এতটা গৌরবের সঙ্গে না হউক, কিন্তু তবু আমরা বলিতে পারি যে, ভার্গববিজয় যদি বাতুলতার ফল হয়, তাহা হইলে আমরা কায়মনোবাক্যে কামনা করি—বাঙ্গালার কাব্যলেখকদিগের পালের মধ্যে বাতুলতার এপিডেমিক হউক। অধিকাংশ বাঙ্গাল কাব্য অপেক্ষ ইহা ভাল । 参见 কিন্তু এ কথায় কিছু প্রশংসা হইল না। জলধরের অপেক্ষা সুন্দর বলিলে কিছু সৌন্দর্যের প্রশংসা হয় না। বিদ্যাদিগগজ অপেক্ষ বুদ্ধিমান বলিলে কিছু বুদ্ধিমত্তার প্রশংসা হয় না। অধিকাংশ বাঙ্গালা কাব্যগ্রন্থ এত জঘন্য যে, তাহার অপেক্ষা ভাল বলিলে কোনই প্রশংসা হয় না। সেই জন্য একটু বিস্তৃত সমালোচনার প্রয়োজন । ভার্গববিজয় গ্রন্থের বিষয় সম্বন্ধে কোন পরিচয় দিবার আবশ্ব্যক রাখে না। কীৰ্ত্তিবাস ও কাশীরামের প্রসাদে কথক ও গায়কের প্রসাদে, যাত্রাওয়ালা ও নাটকলেখকদিগের দৌরাত্ম্যে, মহাভারত ও রামায়ণের কথা কিছু কিছু না জানে এমন লোক বঙ্গদেশে বিরল । রামচন্দ্র কর্তৃক পরশুরামের অভিভব, এ গ্রন্থের বিষয়। জিনিসটা কি, সকলেই বুঝিয়াছেন। o ইহা সকলেই স্বীকার করিবেন যে বিষয়টা গুরুতর বটে। এ মহন্ধ্যাপারে যাহারা লিপ্ত তাহারা সকলেই মহৎ—আকাশের স্যায় উচ্চ, সাগরের স্তায় গভীর, বাসুকীর স্বায় ধীর, হিমালয়ের স্বায় স্থির । নায়ক, সাক্ষাৎ পুরুষোত্তম— দেবতার ভয় দূর করিতে, পৃথিবীর ভার লঘু করিতে মনুষ্যদেহ ধারণ করিয়াছেন। নায়িক, অযোনিসম্ভবা সীতা—যিনি স্ত্রীবিহিত গুণে রমণীকুলের আদশস্থলাভিষিক্তা। প্রভিনায়ক, ভার্গব পরশুরাম—যিনি একবিংশতিবার পৃথিবী নিক্ষত্রিয় করিয়া ক্ষত্রিয়শোণিতে “সমস্তপঞ্চকে পঞ্চ চকার রৌধিরান ছুদান।” ཀྱཱ་ལའང་། অতি উচ্চ অঙ্গের বটে। বিষয় মনোনীত করা নিতান্তু মন্দ হয় |