পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৩৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

༄༤༤ बछामस्थञि 家 কিঙ্কি তাহা হইলেই জানিবে যে এখনও সময় আসে নাই। যে সংস্কার সমাজে থাকিম করা যায়, তাহারই সময় আসিয়াছে। এ কথা যদি সত্য হয়, তাহা হইলে মধুসূদন গুপ্তের সময়ে শবচ্ছেদের সময় আসে নাই, এবং বেথুন স্কুল সংস্থাপন সময়েও বালিকাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করিবাব সময় আসে নাই । তবে ইহাও বলিতে হইবে যে, মধুসূদন গুপ্ত ও মদনমোহন তর্কালঙ্কাব অন্যায় ও অবিবেচনার কাৰ্য্য করিয়াছিলেন । কিন্তু তাহাই বা কেমন করিয়া বলিব ? যখন দেখিতেছি যে লোকে তাহাদের দৃষ্টাস্তের অমুসৰণ করিতেছে, তখন কেমন করিয়া বলিব যে, তাহাদের সময়ে সময় আসে নাই। বাস্তবিক কথা এই যে তাহারা কষ্ট করিয়া পাশ্চাত্য জ্ঞানের সাহায্যে সময়ের কেশাকর্ষণ পূর্বক আনিয়াছিলেন বলিয়াই এখন সময় আসিয়াছে । বিগত পঞ্চাশৎ বৎসরের আমাদিগের সামাজিক অবস্থাব বিষয় আলোচনা করিলে অনেক শিক্ষা পাওয়া যায়। যখন সুপ্রিমকোর্টে কোন এক মোকৰ্দমায় সাক্ষ্য দিবার সময় বাবু রসিককৃষ্ণ মল্লিক বলিলেন “আমি সাক্ষা দিবার জন্য গঙ্গাজল হস্তে লইব না, আমি গঙ্গা মানি না ।” তখন সেই কথায় কলিকাতায় হুলস্থূল হইয়াছিল । এখন সে সময় কোথায ? দেখা যায় যে এক সময় যে কার্য্য কবিয়া জাতিচু্যত হইতে হইত এখন অবিকল সেই কাৰ্য্য কবিয়া জাতি রক্ষা করা যায় । মেডিকেল কালেজে শবচ্ছেদ ও বালিকাবিদ্যালয়ে কন্যা প্রেরণের দৃষ্টান্তে ইহা প্রমাণ হইতেছে। পলাণ্ডু ভোজন করিলে এক সময় জাতিচু্যত হইতে হইত, এখন লোকে প্রকাশ্বরূপে পলাই ভোজন করিতেছে অথচ জাতিচু্যত হইতেছে না • বঙ্গদেশের কোন কোনস্থানে পলাং ভোজন করিলে অদ্যাপিও জাতিচু্যত হইতে হয়। প্রকাশুরূপে যবনান্ন ভোজনে সমাজচ্যুত হইতে হয় বটে, কিন্তু শত শত লোক গোপনে উহা করিতেছে অথচ তাহাদের জাতি যায় না ; গোপনে, অর্থাৎ সকলেই জানে অথচ গোপন । প্রকৃত হিন্দুয়ানি এখন অন্ত সকল স্থান হইতে তাড়িত হষ্টয়া ক্রিয়াবাটার সামিয়ানার নিয়ে ঘনীভূত হইয় অবস্থিতি করিতেছে । সেইখানেই যত বিচার। যবনান্নভোজন এখন সমাজের অন্তঃস্থল পৰ্য্যন্ত প্রবেশ করিয়াছে । শুনিয়াছি মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সময়ে স্বানের পূৰ্ব্বে সকলে কাগজ পত্রের কার্য্য নিৰ্ব্বাহ করিত, স্বানের পর পূজা আহ্নিক করিয়া আর কেহ কাগজ স্পর্শ করিত না, করিলে ধৰ্ম্মবিগর্হিত কাৰ্য্য হইত। কি আশ্চর্য্য পরিবর্তন ! ব্রাহ্মদিগের মধ্যে • চারি পাচ বৎসর হইল নবদ্বীপে এক ব্যক্তি পলাও ভোজন করাতে প্রায়শ্চিত করিতে হইয়াছিল।