পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৩৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

`e९8 सन्चाङ्गेनि [ কান্তিক এই প্রকৃতি যে, সমাজের সমস্ত লোক বা অধিকাংশ লোক একত্র না হইলে প্রত্যেক ব্যক্তি দ্বারা কখনই তাহা সম্পন্ন হইতে পারে না । সামাজিক বা জাতীয় কৰ্ত্তব্য। কেন না, প্রত্যেক ব্যক্তিকে লইয়াই সমাজ বা জাতি। এই সকল কৰ্ত্তব্য সমাজের সর্বসাধারণ লোকে করুক আর নাই করুক প্রত্যেক ব্যক্তিকে উহা করিতেই হইবে । আমরা এই উভয় প্রকার কৰ্ত্তব্যের কয়েকটি দৃষ্টান্ত দেখাইতেছি। প্রথম সামাজিক বা জাতীয় কৰ্ত্তব্য বিষয়ে দুই একটি দৃষ্টান্ত গ্রহণ করুন। মনে করুন কোন পবাধীন জাতির মধ্যে এক ব্যক্তির মনে হইল যে, জাতীয় স্বাধীনতা ব্যতীত কোন জাতির সৰ্ব্বাঙ্গীণ উন্নতির সস্তাবনা নাই । তাহার তখন কৰ্ত্তব্য কি ? তিনি কি তখনই স্বয়ং অস্ত্ৰ শস্ত্র লইয়া রাজবিদ্রোহী হইবেন ? তাহা হইলে ত বাতুলের কার্যা হইবে। আর একটি দৃষ্টান্ত গ্রহণ করুন। মনে করুন আমার এইরূপ বিশ্বাস জন্মিল যে বাঙ্গালিজাতিৰ পক্ষে এখন দেশান্তরে গিয়া উপনিবেশ সংস্থাপন করা উচিত । কিন্তু আমি একাকী বিদেশে গিয়া বাস করিলেই ত উপনিবেশ সংস্থাপন করা হয় না । সুতৰাং দেশের লোকের মন যাঙ্গাতে তদ্বিষয়ে প্রস্তুত হয়, এমন যত্ন কবিতে হইবে ; এবং উপযুক্ত সময় আসিলে বিশেষ কার্যো পরিণত করিতে হইবে । দ্বিতীয় প্রকার কৰ্ত্তব্য সম্বন্ধে এ প্রকাব প্রণালীতে কার্যা করিলে চলিবে না । আমার সস্তানের জীবন রক্ষা করা, তাতাকে প্রতিপালন করা ও উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়া কৰ্ত্তব্য । এ বিষয়ে আমি সমাজের বা সময়ের মুখাপেক্ষা করিয়া থাকিতে পারি না । সমাজ যদি আমাকে বলে তোমার শিশুকে হত্যা কর, ( শিশুহত্যা প্রথা, বাস্তবিক কোন কোন জাতির মধ্যে অদ্যাপিও প্রচলিত আছে ) আমি কি সে আজ্ঞা পালন করিতে পারি? আমার জাতি, কুল, মান, সন্ত্রম যায় যাউক, প্রাণ যায় তাহা ও স্বীকার তথাচ আমি পারি না । কোন হৃদয়বান সদ্বিবেচক বিশিষ্ট ব্যক্তি বলিতে পারেন না যে, “ওরূপ স্থলে সমাজের খাতিরে তোমার শিশুহত্যা করা কৰ্ত্তব্য ।” শিশুহত্য পাপ, ইহা কেবল মুখে উপদেশ দিয়া উপযুক্ত সময়ের জন্ত কখন প্রতীক্ষা করিয়া বসিয়া থাকিতে পারি না । পঞ্চাশৎ বা একশত বৎসর পরে কবে সময় আসিবে আমি কি তাই বলিয়া আমার প্রাণের সন্তানকে দেশাচার রাক্ষসের মুখে নিক্ষেপ করিতে পারি ? আর একটি দৃষ্টান্ত। মনে করুন আমার একটি বিধবা কন্ঠা আছে। হর্বিবষহ বৈধব্য যন্ত্রণায় দিবা রজনী সে অশ্রুবিসর্জন করিতেছে। এস্থলে কি