পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৪১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

»&vt ] बांधवैौलडा Savè কাহার হস্তে পিকদানি, কাহারও হস্তে পাণের বাট । সৰ্ব্ব পশ্চাতে একখানি সুন্দর শিবিকা, বাহকস্কন্ধে হেলিতেছে তুলিতেছে। আর তাহার দুই পার্শ্বে চারি পাঁচ জন রক্ষক লাঠি শড়কি লইয়া শূন্ত শিবিক রক্ষা করিতে করিতে চলিতেছে। রাজার বেশ ভূষা অতি সামান্ত ; মণি মুক্ত নাই, জরি জববড় নাই, সামান্য অধ্যাপকের ন্যায় একখানি পট্টবস্ত্র ত্রিকচ্ছ করিয়া পরিধান ; গলায় উত্তরীয়, পদদ্বয়ে ভূজ্জিপত্রের পাদুকা, হস্তে একটি যষ্টি । এক্ষণকার ব্যবহার দেখিয় বিচার করিলে দগুটি কিঞ্চিৎ দীর্ঘ বলিয়া বোধ হইবে—অনূ্যন অৰ্দ্ধ হস্ত পরিমাণে দীর্ঘ অনুভব হইবে । রাজার লাঠি বলিয়া যে কিঞ্চিৎ দীর্ঘ, এমত নহে। ভদ্রলোক মাত্রের যষ্টি এইরূপ দীর্ঘ হইত। তৎকালের চৌকিদারের লাঠি মস্তক পরিমাণ হইত। বাহকের লাঠি স্কন্ধপরিমাণ হইত। ভদ্রলোকের যষ্টি প্রায় বক্ষপরিমাণ হইত। রাজা দগুটি মুষ্টিবদ্ধকরে—ধরিয়া চলিতেছিলেন ; তৎকালের প্রথাই এইরূপ ছিল। সকল দ্রব্যই মুষ্টিবদ্ধ করিয়া ধরিতে হইত, মুষ্টিবদ্ধ করিয়া কাৰ্য্য করিতে হইত। তৎকালে অঙ্গুলির ব্যবহার বড় প্রচলিত হয় নাই। কারণ শিল্প জন্মে নাই। শিল্পের পূর্বে কৃষী অবস্থায় সমাজের সকল কাৰ্য্য মুষ্টিতেই চলে, অঙ্গুলির প্রয়োজন বড় অধিক হয় না। ভূমিখনন হইতে ঘণ্টাবাদন পর্য্যন্ত সকলই মুষ্টির কার্য্য। প্রহার মুষ্টি দ্বারা, ভিক্ষাদান মুষ্টি দ্বারা, লেখা (মুট কলম ) মুষ্টি দ্বারা কাজেই যষ্টি ধারণও মুষ্টি দ্বারা। রাজা ইন্দ্রভূপ গৌরাঙ্গ পুরুষ, দীর্ঘ ঈষৎ স্থূলকায়। চাহিবামাত্ৰই সৰ্ব্বাগ্রে র্তাহার নাসার প্রতি দৃষ্টি পড়ে। নাসা বিশেষ উন্নত নহে কিন্তু দীর্ঘ, ক্রমে উন্নত হয় নাই, ভ্ৰযুগ হইতে একই ভাবে চলিয়া আসিয়াছে। ভ্র যুগ্ম। অঙ্গে কোথাও চন্দন নাই কিন্তু অনবরত সেই সদগন্ধ । বয়ঃক্রম প্রায় পঞ্চাশ বৎসর। রাজা অতি মৃৎপাদবিক্ষেপে চলিতেছেন, দুই একবার মস্তক নাড়িতেছেন, আপনার মনের সঙ্গে আপনি কথা কহিতেছেন । রাজপথ দিয়া যে চলিতেছেন তাহা একেবারে ভুলিয়া গিয়াছেন। এইরূপ কিয়দ-র গিয়া একস্থলে দাড়াইলেন। । চারিদিকে নগরবাসীরা তাহাকে প্রণাম করিতেছে । রাজা তৎপ্রতি লক্ষ্য না . করিয়া সঙ্গীদের জিজ্ঞাসা করিলেন, “গ্রহাচাৰ্য্য কই ?” গ্রহাচাৰ্য্য অগ্রসর হইলেন । রাজা জিজ্ঞাসা করিলেন “এক্ষণে কি যোগ ?” গ্রহাচাৰ্য্য। ব্যতীপাত যোগ । রাজা । আমার এক্ষণে কোন দশা ?