পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৪৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৮৫ ] बऔग्न भूवक ७ डिम कवि 888) কাৰ্য্য আচার ব্যবহার মৃত্যগীত দেখিতেছেন। পাহাড় পৰ্ব্বত কেমন ছোট্ট ছোট দেখাইতেছে, নদীটি একছড়া হারের মত কেমন পড়িয়া আছে তাই দেখিতেছেন আর কাছে কোন ভালবাসার জিনিস আছে তাহাকে দেখাইতেছেন । যেন শাস্থ্যমতে পুরুষ নির্লিপ্ত বসিয়া প্রকৃতির রঙ্গ দেখিতেছেন। কালিদাস বলিতেছেন আগে মানুষের চেয়ে উচ্চ জীব হও তাহার পর স্বভাবের শোভা দেখিও কত আনন্দ পাইবে । র্তাহার আশা বড় উচ্চ । বঙ্কিমবাবু স্বভাব শোভার কেন্দ্র মমুষা, নগেন্দ্রনাথই হউন আর অমরনাথই হউন, আর গোবিন্দলালই হউন বা স্বয়ং বঙ্কিমবাবুই হউন, তাহারও নির্লিপ্ত দেখা, স্বভাব শোভা মধ্যে বসিয়া স্বভাবের শোভা দেখ আর কাছে যদি কেহ থাকে দেখাও কেমন মুন্দর কেমন গভীর। পুথিবী ও আকাশ দেখিয়া ঈশ্বরের প্রেমে শরীর পুলকিত হউক । বায়রণের তা নয়। স্বভাবেব শোভা দেখিতে চাও ঘর দোর ছাড়িয়া বাহির হও যা তোমার সম্মুখে পড়িবে তাই দেখিয়া বসিয়া থাকিবে ? তা নয়। চল যেখানে সুন্দর বস্তু সেইখানে যাইতে হইবে ! তুমি নির্লিপ্ত থাকিলে সব দেখিতে পাইবে কেন ? ঘরে বসিয়া দুনিয়ার কারচুপি দেখিয়া শান্তিমুখ ভোগ কবিবে কেন ? মনুষ্যেব জীবন অল্প, ইহাতে সব দেণিয়া শুনিয়া লও, যত দেখিবে ততই জ্ঞান বাড়িবে আনন্দ অধিক হইবে এই আনন্দই আনন্দ, আর সব কেবল দুঃখ আর অত্যাচার, সমাজ অত্যাচার, প্রণয় অত্যাচার, মানুষ মানুষের উপর অত্যাচার করিতে ভালবাসে। সবই কষ্ট কেবল স্বভাবের আনন্দই পরমানন্দ । একজন উপর হইতে স্বভাব দেখিতেছেন। একজন মধ্য হইতে দেখিতেছেন আর একজন মাতিয়া বেড়াইতেছেন। একজনের মতে মনুষ্যজীবন অপেক্ষ। অন্য জীবনে সুখ অধিক । আর একজনের মতে এ জগতেও যথেষ্ট আনন্দ । তৃতীয়ের সবই এই জগতে । বায়রণের জন্ম ১৯ শতাব্দীর প্রজাবিপ্লবে । সুতরাং বৰ্ত্তমান সমাজের উপর র্তাহার শ্রদ্ধা নাই। তাহার দৃঢ় বিশ্বাস এই যে বর্তমান সমাজে অত্যাচার ভিন্ন আর কিছুই নাই। র্তাহার উৎকৃষ্ট মনুষ্য চিত্রগুলি সমাজের বাহিবে । সেগুলি সকলেই সমাজের উপর চটা। কেহ কেহ আবার সমাজের শত্রু ; হয় দস্থ্য না হয় মনুষ্যবিদ্বেষী (Misanthrope)। সমাজের যতগুলি নিয়ম আছে সব গুলিই র্তাহার চক্ষুশূল । কনরাড, লার, ডনজুয়ান প্রভৃতি পাত্ৰগণের বাক্যেও অপার্য্যে এই সমাজবিদ্বেষ ভাব প্রতি মুহূর্তে প্রকাশিত হইতেছে। কালিদাসের সমাজ মমুর সময় হইতে এক ভাবে চলিয়া আসিতেছে। চুলমাত্র ব্যতিক্রম হয় নাই। র্তাহার মত এই, এরূপ সমাজে সকলই মুখ।