૪૨ના ] বাজাল বর্ণমালা সংস্কার BRNO এই পঞ্চাশটি মৌলিক বর্ণ অর্থাৎ বিশুদ্ধ আর সকল বর্ণ ইহাদের পরম্পর সংযোগাদি দ্বারা উৎপন্ন হইয়াছে। এক্ষণে দেখা যাউক তন্ত্রশাস্ত্রের এ বাক্যটি কতদূর বিচারসহ। সংস্কৃত ব্যাকরণের সৃষ্টিকৰ্ত্ত মহেশ্বরের মতে সংস্কৃত ভাষায়— অ, ই, উ, ঋ, ৯ এ, ও, ঐ, ঔ—[৯] স্বর। ক, খ, গ, ঘ ঙ চ ছ জ, বা, এর । ট, ঠ, ড, ঢ ণ । ত, থ, দ, ধ, ন । প, ফ, ব, ভ, ম । য, র, ল, র,
- শ ষ স হ। [৩৩] ব্যঞ্জন। এই বিয়াল্লিশটি মৌলিক বর্ণ।
এই বিয়াল্লিশটার মধ্যে স্বরবণ সকল প্রথমে হ্রস্ব দীর্ঘ এবং প্লত এই ভিন প্রকার। তাহার পর প্রত্যেকে আবার উদাত্ত, অনুদাত্ত এবং স্বরিত এই তিন প্রকারে বিভক্ত হওয়ায় এক একটি স্বরের নয়ট করিয়া ভেদ হইয়াছে। অনস্তর সামুনাসিক এবং নিরমুনাসিক ভেদে প্রত্যেক স্বর অষ্টাদশবিধ রূপ ধারণ করিয়াছে। পরন্তু ৯কারের দীর্ঘ নাই, এবং এ, ও, ঐ, ঔ ইহাদের হ্রস্ব না থাকায় ইহারা প্রত্যেকে দ্বাদশবিধ মাত্র। অবশিষ্ট অ, ই, উ, ঋ, ইহারা প্রত্যেকে অষ্টাদশবিধ । সকল মিলিত হইয়া স্বরেব ভেদ একশত বত্রিশ প্রকার (১৩২] প’ কিন্তু তন্ত্রশাস্ত্রে চতুর্দশ নির্দেশ করা নিতান্ত অসঙ্গত হইয়াছে। যদি দীর্ঘ ভেদকে মৌলিক বলিয়া গণনা করা হয়, তবে অপর ভেদ গুলিকেই বা কি নিমিত্ত মৌলিকের মধ্যে গণনা করা না হয়। যদি বল, স্বরের এই দুইটি ভেদে আকার বৈলক্ষণ্য হয় বলিয়া তন্ত্র শাস্ত্রে এই দুই ভেদকে মৌলিক বর্ণের মধ্যে গণনা করা হইয়াছে। একথা তাদৃশ যুক্তিযুক্ত নয়। তথাপি স্বরসংখ্যা চতুর্দশ না হইয়া ত্রয়োদশ হয়, কারণ ৯ কারের যে দীর্ঘ নাই ইহা নাগোজী ভট্ট স্পষ্টাক্ষরে বলিয়াছেন “৯বর্ণন্ত দ্বাদশতস্ত দীর্ঘাভাবাৎ " সুতরাং মূল বর্ণ পঞ্চাশট না হইয়া উনপঞ্চাশটি হয়। আরও দেখ ডু, ঢ়, য় ইহার কেবল ড, ঢ়, য এর উচ্চারণ ভেদ মাত্র। যদি স্বরের উচ্চারণ ভেদ গণনা না করা হয়, তবে ব্যঞ্জনের উচ্চারণ ভেদে বর্ণভেদ স্বীকার করা যে কিরূপ যুক্তিসঙ্গত, তাহা বুদ্ধিমান মাত্রেই অনুভব করিবেন। আর যদি ড, ঢ়, য় এই তিনটিকে ন ধরিয়া , , , এই তিনটি ধরিয়া পঞ্চাশের পূরণ করা হয় তাহা হইলে । গুকার ] < [ জিহ্বামূলীয় ] এবং [ উপাখানীয় ] ইহাদিগকে কেন এক একটা বর্ণ বলিয়া পরিগণিত করা না হয়। অতএব তন্ত্রশাস্ত্রে যে কোন হিসাবে পঞ্চাশটা মৌলিকবর্ণ গণনা করা হইয়াছে তাহা বুঝা গেল না। বিশেষে ० निकाख ८कोभूौद्र भांtश्वग्न शङ cन४ ।। তদিখং আ, ই, উ, খ, এবং বর্ণনাং প্রত্যেক্ষমষ্টাদশ ভেদ । ৯ বর্ণস্য ৰাশ, তঞ্চ দীর্ঘাড়াবাং, এতামপি স্বাদশ তেষাং স্বাড়াবাং । নাগোজী ভট্ট ।
