পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৫০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

83De * बछधभfञ ** [ भांघ এখন ঝিলমিলির পার্শ্বে পশ্চিম আকাশের চাদ হেলিয়া পড়িয়াছে, সেই আলোকে রাঙ্গা ঠাকুরাণী দেখিলেন যে অমরেন্দ্রনাথের মুখভঙ্গী তাহার কথা মাত্রেই প্রফুল্প হইল, ও অমরেন্দ্র কহিলেন, “হুবার হয় ত তাতে ক্ষতি কি ” কথা উচ্চারিত হইবামাত্র আবার অমরেন্দ্র লজ্জায় গলিত হইলেন। নাশাগ্রে ভ্ৰযুগলোপরে শ্বেত সলিলবিন্দু চন্দ্রকিরণে পদ্মকেশরে শিশিরবিন্দু সম উজ্জলরপে দেখা দিল আবার কিঞ্চিত স্তব্ধ থাকিয়া কহিলেন “খুড়িমা সে কে ? তুমি ত ঐ আশ্রমের নিকটবৰ্ত্তী শান্তিপুর গ্রামের ঝিয়ারি ” রাঙ্গাঠাকুরাণী প্রফুল্লবদনে কহিলেন “তুমি জান না আমার পিতৃগৃহের নিকটবৰ্ত্তী সেই মহাদেব প্রসাদ—নাম করিতে নাই--” অ। কে, শিবসহায় ? রাঙ্গা । হা । যাহাকে “পশ্চিমে বাবু” কহে, ঐ বালিকা সেই বাবুরই কস্তা, বাল্যকাল অবধি উহাকে কোলে কঁাকে লইয়া মানুষ কবিয়াছি, সে আমার নিতান্ত স্নেহের পাত্রী, উহার নামট কাদম্বিনী । উহাব যতখানি রূপ দেখেছ বাবা, উহার গুণ তার চতুগুণ ; বাবুর এক মেয়ে, ঐ সৰ্ব্বস্ব, প্রাণত্যুল্য প্রিয় । অমরেন্দ্র কহিলেন “উহার সোদর আর কেহ নাই ?” রাঙ্গ ঠাকুরাণী আবার আরম্ভ কুরিলেন, “কালীপূজা করে ঐ একটা কন্য হয়েছিল কিন্তু যেমন রূপগুণসম্পন্ন তেমনি হতভাগী, তোমাদেরই সঙ্গে ত ৪৫ বৎসর জায়গিরের মোৰ্দ্দমায় ঐ বাবুর খরচাস্ত হন, তার পর সে ঝঙ্কাট না শেষ হইতেই মেয়েটির মাতৃ বিয়োগ হইল—ওদের আবার সেই পশ্চিম থেকে বর এনে বিবাহ দেওয়া প্রথা আছে, এই সব নানা কারণে মেয়েটি এত বড় হয়ে পড়েছে, তার উপর আবার এখনকার বিপদ শুন নাই ?” অমরেন্দ্ৰ কহিয়া উঠিলেন, “তবে ঐ সেই কন্যা যার মিথ্যা মরণ সম্বাদ দিয়াहिल ?” “বাবা সেই ঐ—ঐ বৃদ্ধ ভট্টাচাৰ্য্য ওদের অধিষ্ঠাতা কি না—তাই গুরু ওকে লুকিয়ে রেখেছে, তা তুমি দেখেছ? আজ রাত্রে কিন্তু তাকে ঘরে লয়ে গেছে—ওদের বাটতে আজ সত্যনারায়ণের পূজা—পূজা হয়ে গেলে মোকৰ্দমা চালাইতে কাল লোক যাবে- এই ভোরেই যাবে।” অমরেন্দ্র ব্যগ্রচিত্তে কহিলেন “আপনি এসকল কথা কেমন করে জানিলেন?” রাঙ্গাঠাকুরাণী কহিলেন “তোমায় সব কথা ভেঙ্গে বলবো, আজ সন্ধ্যার পূর্বে ওদের লোক এসেছিল, দেওয়ানজী থেকে ওদের তুই হাজার টাকা আমি কৰ্জ দিলাম। কি করি দায়গ্ৰস্ত, পরের বিপদ শুনিলে কি স্থির থাকা যায় ।