পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৫০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

828 वधक्षेत्र * [ भांध মুদ্রশসম্বন্ধে ব্যয় এবং আয়াসের লাঘব হয়, অথচ ভাষার উচ্চারণাদি সম্বন্ধে কোন ক্ষতি না হয়, এবং বিদেশীয় ও অস্মদেশীয় প্রথম শিক্ষার্থীরা সহজে বর্ণপরিচয় করিতে পারেন। * এক্ষণে অভীপিত সংস্কারের সহিত প্রথমে বাঙ্গালার বর্তমান বর্ণমালার স্বরূপ নির্দেশ করা যাইতেছে। এ স্থলে ইহাও বলা যাইতেছে আমরা যে সকল সংস্কার করিব তাহা কেবল বাঙ্গালা ভাষার নিমিত্ত। যাহারা সংস্কৃত ভাষা শিক্ষা করিবেন তাহাদিগের সংস্কৃত অক্ষর লিখিতে ও পড়িতে শিক্ষা করা উচিত। কারণ র্তাহাদের সংখ্যা অতি অল্প সুতরাং তাহাদের জন্য অধিক লোকের ক্ষতি সহ্য করা উচিত হয় না । 尊 靜 尊 尊 স্বরবর্ণ— সংস্কৃতে যে একশত বত্রিশ প্রকার স্বরভেদ দেখান হইয়াছে, তন্মধ্যে সাধারণতঃ কেবল হ্রস্ব এবং দীর্ঘ এই উভয় ভেদে স্বরের আকারভেদ লক্ষিত হয়। অবস্থান অনুসারে উচ্চারণ বৈলক্ষণ্য হওয়ায় অপর ভেদগুলি উৎপন্ন হইয়াছে। পরস্তু সামুনাসিক ভেদের উচ্চারণ বৈলক্ষণ্য আবার অনেক প্রাচীন কাল হইতে উঠিয়া গিয়াছে। নাগোজীভট্ট বলেন “প্রতিজ্ঞামুনাসিক্যা; পাণিনীয়া " পাণিনীয় শিষ্যেরা কেবল পরম্পরা প্রবাদ অনুসারে সামুনাসিক এবং নিরমুনাসিক ভেদজ্ঞানে সমর্থ হন উচ্চারণ দ্বারা নহে। যাহা হৌক ক্রমশঃ কালবশে উচ্চারণ জন্য ভেদের লোপ হওয়ায় দেশীবর্ণমালাসমূহে স্বরের হ্রস্ব দীর্ঘ এই দুইটি ভেদমাত্র ব্যবহৃত হয়। বাঙ্গালা বর্ণমালায় সচরাচর— # অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, ঋ ৯, $, এ, ঐ, ও, ঔ, এই চতুর্দশ স্বরের ব্যবহার হয় । এক্ষণে বক্তব্য এই যে সংস্কৃত ভাষায় ৯ কারের ব্যবহার নাই বলিয়া সিদ্ধাস্তকৌমুদীকার স্বরভেদ গণনার সময় যখন ৪ কারকে পরিত্যাগ করিয়াছেন তখন আমরা বাঙ্গালার ঋ, ৯, ২, এই তিনের কুত্ৰাপি ব্যবহার না দেখিয়া এই তিনটকে আনায়াসে বর্ণমালা হইতে বিদায় দিতে পারি। এই তিনটকে বর্ণমালা হইতে বিদায় দিলে বাঙ্গালা স্বরবণ চতুর্দশ না হইয়া একাদশ হইল। যথা— অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, এ, ঐ, ও, ঔ। ইহাদের মধ্যে 'অ' যখন কোন ব্যঞ্জন বর্ণের সহিত যুক্ত থাকে তখন উহ সেই ব্যঞ্জনবর্ণের আকারে অলক্ষিত রূপে মিশ্রিত হয়। অপরগুলি ব্যঞ্জন সংযোগে সেরূপ হয় না ; তাহারা তখন যথাক্রমে নিম্নলিখিত আকার ধারণ করে যথা— به راه را به وی وی به به ۹ f را