পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৫২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ess : * बङ्क्षित्रि .. [ भांश বৃদ্ধ চুপ করিল দেখিয়া একজন সঙ্গী বালক বলিল “পিতম পাগলার কথা বল। রাজা তাহাকে পিজরায় পুরিয়াছেন।” বৃদ্ধ বলিল “ভাল কথা মনে! ঠাকুর, দুঃখের কথা কি বলিব ! একটা পাগল পথে পথে ভিক্ষা করিয়া বেড়াইত, কাহারও অনিষ্ট করিত না, তাহাকে ধরিয়া না কি বাঘের মুখে দিবার হুকুম হইয়াছিল। শেষ কে চূড়াধন বাৰু আছেন তিনিই না কি তাহাকে রক্ষা করেন । তথাপি দেওয়ানজীর পরামর্শে রাজা তাহাকে পিজরায় বদ্ধ করিয়াছেন। বাঘের পাশ্বে রাখিয়াছেন সে এক* প্রকার বাঘের মুখেই দেওয়া ! এতক্ষণ হয় ত বাঘ তাহাকে উদরে পুরিয়াছে। আমি স্বচক্ষে দেখিয়া আসিয়াছি বাঘ তাহাকে দেখিয়া লাপাইতেছে ঝাপাইতেছে এক একবার গরাদের উপর দুই পা দিয়া দাড়াইয়া পিতমকে দেখিতেছে আর হা করিতেছে।” বালক বলিল “এক পাশে বাঘ এক পাশে ভালুক।” বৃদ্ধ। কি আপশোষ কি আপশোষ! এত পাপ । পৃথিবী আর বহিতে পারিবেন কেন । রাজ্য আর থাকে না ! ব্রহ্মচারী কোন উত্তর দিলেন না। কতক দূর অন্যমনস্কে চলিলেন, পরে যখন উত্তর দিবার নিমিৰ পশ্চাৎ ফিরিলেন তখন দেখিলেন, গ্রাম্য লোকেরা অন্য পথে চলিয়া গিয়াছে। ব্রহ্মচারী কতক্ষণ তথায় দাড়াইয়া রছিলেন শেষ কি মনে করিয়া শান্তিশত গ্রামের দিকে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিলেন । রাত্রি প্রায় দেড় প্রহর অতীত হইলে পর ব্রহ্মচারী দেওয়ানজীর অতিথিশালায় প্রবেশ করিলেন । তৎসম্বাদ শুনিয়া দেওয়ানজী তথায় উপস্থিত হইলেন। প্রণাম করিয়া বসিলে, ব্রহ্মচারী জিজ্ঞাসা করিলেন “সমস্ত কুশল ?” দেওয়ান । মহাশয়ের ঐচরণ প্রসাদে সকলই কুশল বলিতে হুইবে । ব্ৰহ্মচারী। তাহা শুনিলেই আমাদের সুখ । অনেক দিন দেখি নাই, কোন সম্বাদও লইতে পারি নাই, তাহাই একবার আসিলাম । দেওয়ান । অনুগ্রহ আপনার । ব্ৰহ্মচারী। রাজার কুশল । দেওয়ান শারীরিক কুশল বটেই, মানসিক মন্দ বলিয়াও বোধ হয় না। ব্ৰহ্মচারী। রাজকাৰ্য্য সম্বন্ধে কিরূপ? দেওয়ান । তাহাও মন্দ নহে। তবে বোধ হয় ইদানীং সকলেই তাহার মঙ্গলাকাজী নহে ।