পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৫৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(#80 i. गछाङ्गअिग्न [ करून এক পেটেই খুলিল। কুঠারীর মধ্যে—নরকাকাশ ঘোর কন্ধকার—অন্ধকারে পাপকাৰ্য্য অর্জিত পাপের কোষের উপযুক্ত স্থানে গজাননের বহুধন স্থাপিত হইয়াছে। এই আলোকবর্জিত স্থানে নীলমণি প্রবেশ মানসে দ্বারমধ্যে মস্তক সমর্পণ করিলেন। করিবামাত্র চিক্‌ চিক্‌ শব্দ শুনিলেন, অমনি ত্রাসে বাহিরে আসিলেন, “এর ভিটর কিরে ?” পুটে কহিল “চামচিকা” নীলমণি কহিল "ওরে । চৰ্ম্ম চট” পুটে আবার কহিল আমিই ভিতরে যাই । নীলমণি কহিলেন “হাট বাড়া, ডেক, কিসে হাত পড়ে।” কুঠারীর অন্তরস্থান তোড়ায় তোড়ায় আবদ্ধ, হস্ত প্রক্ষেপ করিবামাত্র একটতে হাত লাগিল। পুটে বাহিরে আনিয়া মুখের বন্ধনরঙ্গু কৰ্ত্তন করিল। এটি শিব সিংহের গৃহ হইতে অপহৃত দুই সহস্ৰ মুজার থলি। তুই জনে চারি মুঠ ভরিয়া যত পারিল টাকা বাহির করিয়া একটা বস্ত্রাংশে বান্ধিলে, পুটলিটি বড় হইল, কেমন করিয়া লইয়া যাইবেন ভাবিতে লাগিলেন । পুটে কহিল বেশ বুদ্ধি আছে। কুঠারীর কপাটটা শীঘ্ৰ বন্ধ করিয়া কহিল আমি গৃহের পশ্চাতে ময়দানে যাইয়া দাড়াই, আপনি এই জানালার রেলমধ্য দিয়া তোড়াটি ফেলিয়া দিন । কহিয়াই পুটে প্রস্থান করিল। নীলমণি পুটলি নিম্নে নিক্ষেপ করিলেন, পুটেকে দৌড়িয়া যাইতে দেখিয়া নীলমণির মাতা ভীতা হইলেন । মনে করিলেন র্তাহার নীলমণি এক সন্ধ্যাবেলা ছাদে রহিয়াছে। “নীলমণি নীলমণি” জপোচ্চারণ করিত্বে করিতে উপরতলে উপস্থিত। নীলমণি চমকিত হইয়া বারান্দায় আসিলেন ও কহিলেন, পায়রা ধরিতে ঘামে ভাসিয়াছি এই বাতাসে বারেন্দায় এখন বসি । পরদিন প্রাতে আমাদের যাত্রিক লগ্ন উপস্থিত। তর্কালঙ্কার মহাশয় আশীৰ্ব্বাদী পুষ্প লইয়া উপস্থিত ; মাথায় ফুল দিয়া তিনি অপরস্থানে চলিয়া গেলেন । মাতা সস্নেহবদনে আমার মস্তেকোপরি আপন সুকোমল হস্তে ধরিয়া আপনার অধিষ্ঠাত্রী দেবীর নাম মনে মনে উচ্চারণ করিয়া সেই দেবীর হস্তেই আমার শুভাশুভ চিরদিনের জন্য অর্পণ করিলেন। মম্বোচ্চারণ করিতে করিতে র্তাহার নয়ন অশ্রুতে বিসিক্ত হইল। গঙ্গাধর বড় নিষ্ঠুর, নগরে যাইবে, জ্ঞানলাভ করিবে, নূতন নূতন দেশ ও কত প্রকার মনোহারী জব্য দেখিবার আশয়ে আস্থলাদিত। এখনও নিৰ্ব্বোধ—এখনও অজ্ঞান অন্ধ জানে না যে, যে ৰন আজ ত্যজিয়া যাইতেছে তাছার স্বরূপ গুরুতর নিস্বাৰ্থ স্বৰ্গীয় পদার্থ জগতে জায় কোথাও পাইবার নাই! সেই ধন সুপৰিত্র চিরানন্দদায়ী মাতৃস্নেহ । সেই ধন হারাইলে তত্ত ল্য বস্তু এই পৃথিবীতে আর পাইবার সম্ভাবনা নাই। সেই ধন না হারাইলেও তাহার প্রকৃত মৰ্ম্ম কেহ জানে না, যাহার হারাইয়াছে তাহারাই জানিয়াছে। যাতায় কাতরতা দেখিয়াই আমার সৰ উৎসাহ শেষ হইল। মন কানিলে, জাখিতে