পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৫৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*२४**] আচল শেখরে বসি আচল নয়নে দেখিতে ছিলাম দূরে পর্বত গহ্বরে, বেষ্টিত লতিকা জালে একটা কুহুম। . দেখিতে, দেখিতে, পুষ্প হলে রূপাস্তর, সেই মুখ, চোখ, বর্ণ চন্দ্রকর গ্লানি, সৰ্ব্ব শেষ দেখিলাম এই মুখ খানি । কি তীব্র মদিরা স্মৃতি দিল ৰে ঢালিয়া, উন্মত্তের মত বেগে গেলাম ছুটিয়া । কুমুমের দলে দলে কত ধে চুম্বন, কত ষে আদরে, স্বর্থে, করিমু বর্ষণ । কত হাসিলাম মুখে কাদিলাম দুখে, কতবার, শতবার, লইলাম বুকে কত কাল সেই ফুল রাখিমু তুলিয়া, বঁাচাইয়া প্রেমভরে চুম্বিয়া চুম্বিয়া । ক্রমে শুষ্কবাসনার প্রবাহ ছুটিয়া ক্ষুদ্র তৃণ মত বেগে গেলাম ভাসিয়', — কোথায় ?” বসিল যুব বামার চরণে জ:মুপাতি, শিলাসনে নীচের সোপানে । পরশি চরণ স্বয়, বলিল—“এখানে । 劇 সেই আমি, সে চরণ, সেই নিশিথিনী, তুমি এ আমার সেই প্রেম প্রবাহিণী । সেই নিশি, মহানিশি জীবনে আমার ! সেই নিশি,—আছে ! প্রিয়ে ক্ষম একবার ।” 象 & যুবক অবশ শির অঙ্কে যুবতীর রাখিয়া আবেশে, গদ গদ কণ্ঠে ধীরে কহিতে লাগিল,—“সেই নিশি প্রিয়তমে ! রাখিয়াছি এ হৃদয়ে লিখিয়া যতনে প্রেমের অমর বর্ণে। দ্বাদশ বৎসর করিয়াছি জনিবার তপস্ত যাহার, সেও হায় | তপস্বিনী শুনিমু আমার । ८द् क१ीं उनिटङ झांध्र ! चांन* द९जब्र ছিলাম প্রস্তুভ প্রাণ করিতে অর্পণ, শুনিলাম সেই কথা— বেসেছি যেমন, প্রত্যাখ্যাল স্বাদশ বৎসর ভাল বেসেছে তেমন । দেখিলাম কত ক্ষুদ্র তুচ্ছ নিদর্শন রাখিয়াছে প্রাণাধিক করিয়া যতন । দেখিলাম&थभ भिणप्न छ्हें क्रूज निकब्रिनै অজানিত পরম্পর হইয়া নির্গত, ভ্ৰমি দেশ দেশাস্তরে দ্বাদশ বৎসর, হইয়াছে প্রবাহিনী ভীমা বিপ্লবিনী । উত্তাল তরঙ্গে আলিঙ্গিয়া পরস্পরে, সে নিশীথে পরিণত হইল সাগরে ।

দেখিলাম এক শ্রোত পুণ্য প্রবাহিণী— মহাতীৰ্থ স্বরধুনী, স্বরগ সস্তৃতা ! চলেছে অনস্ত মুখে স্থির অবিচল । অন্য স্রোত তরঙ্গিনী পদ্ম বিপ্লবিনী । স্বভাবতঃ নিরমল মৃধা পয়স্বিনী,— প্রশস্ত আকাশ খণ্ড প্রসারিত ষেন ! আচঞ্চল ! কিন্তু যদি হইল পতিত করাল কমলা রূপী কাল মেঘ ছায়া, উন্মত্ত তরঙ্গে বক্ষ হলো বিঘূর্ণিত। জগত গ্রাসিতে যেন ভীমা ভয়ঙ্করী ছুটিল ভীষণ ৰেগে, মত্ত উন্মাদিনী— সপঙ্কিল কলেবর ! প্রলয় কারিণী । বুঝিলাম— হেন দুই মহাশ্রোত প্রেম সম্মিলনে বহিবে না বহুদূর । হৃদয় খুলিয়া— রাখিছু চরণতলে ; কহিমু কাদিয়— विभउ बोक्न भय उक्लात्ण উচ্ছাসে । কহিলাম—দয়াময়ি ! দারুণ নিরাশা দ্বাদশ বৎসর বক্ষে করিয়া বহন, কত পাপে ডুবাইতে করেছি যতন । হেন পাপারণ্যে কেন করিৰে অৰ্পণ, পবিত্র প্রণয় তব-জিবি রতন ? প্রাণ সমপিতে পারি সেই রত্ন তন্ত্রে