পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৫৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बांवथैौलच्छां do ه هد ভালবাসিত যে আমার জন্য প্রাণ বার করে ছিল । তাই আমি সোহাগ তেল করে থাকি, অঙ্কে করিলে ফলে না ; আর কাহারও স্বামী ত স্ত্রীর জন্তে মরে নি । 警 পুটর মা । তোমার স্বামী কি তোমার জন্য মরেছিলেন ? পরিচারিকা। সে আমায় একদণ্ড চক্ষুর আড় করিত না, সৰ্ব্বদাই আমার সঙ্গে সঙ্গে থাকিত । আমি স্নান করিতে যেতেম আমনি সে গামছা কাদে ছুটিত। জল আনিতে গেলে পথে দাড়াইয়া থাকিত। যেখানে যাব সেখানে । যাবে। এক দিন রাত্রে আমি না বলে যাত্রা শুনিতে গিয়াছিলাম, ঘুম ভাঙ্গিলে আমাকে না দেখিতে পাইয়া গলায় দড়ি দেয়। সকলে বলিতে লাগিল “কি ভালবাসা ।” ব্ৰহ্মচারী একথা শুনিয়া একদিন আমায় বলিলেন তোমার হাতে সোহাগ তৈল ফলিবে । তাই আমায় তিনি সোহাগ তৈল শিখাইয়া দিলেন ; লোকে আমায় সেই অবধি সোহাগী বলে ডাকে । • স্বামীর সোহাগী ছিলাম বলে সোহাগী । সোহাগ তেল করে সোহাগী নই। পুঁটুর মা । তুমি যাত্রা শুনে এসে কি করিলে। সোহাগী । কি আর করিব ? একটু কাদলাম, বলি তুমি কোথায় গেলে, ফিরে এস, আর আমি কখন যাত্রা শুনিতে যাব না। তা মা আমরা দুঃখীলোক আমাদের কাদা কাটার সময় কই ? “পাচ জন বারণ করিলে, আর কি করি, সকলেই বলিল যে আর কেঁদে কি হবে । পুটুর মা আর মাথা বাধিলেন না, হয়েছে বলিয়া উঠিলেন। সোহাগী বলিল আর একটু বলুন, গা মুছাইয়া দিই, সিন্দুর পরাইয়া দিই। সিন্দুরের নাম শুনিবামাত্র, পুটুর মা আবার বসিলেন। বেশবিন্যাস সমাপ্ত হইলে পুটুর মা উঠিয়া আপনার আপাদমস্তক দর্পণে দেখিলেন। রক্তবর্ণই তখনকার ফ্যাসান ছিল, পায়ে আলতা পরিধানে রাঙ্গা শাটি, ওষ্ঠ তামূলরাগে রাঙ্গা, কপালে সিন্দুর। অলঙ্কার রাঙ্গা সূতায় গাথা । তখন সকলেই রাঙ্গা ভালবাসিত। শাক্তেরা রক্ত মাখিত, পুষ্পের মধ্যে কেবল জবা র্তাহাদের নিকট আদর পাইত। পরে শক্তি উপাসনার সঙ্গে রক্তবর্ণেরও কিছু মান কমিয়াছিল। কৃষ্ণ উপাসনা প্রবল হইলে রক্তবর্ণের পরিবর্তে কৃষ্ণবর্ণের আদর বৃদ্ধি হইল, সেই সময় অবধি কালাপেড়ে ধুতী পরিচ্ছদ, দাতে মিসি, পিয়রে কোকিল। কৃষ্ণভক্তি, কমিতেছে এখন বঙ্গবাসীদের কি বর্ণ প্রিয় তাহার নিশ্চয় নাই। অনেক দিন পৰ্য্যম্ভ বাঙ্গালায় উপাস্ত দেবতানুসারে বর্ণ গৃহীত হইত। এক্ষণে তাহ আর হইবার বড় সম্ভাবনা নাই। কেহ কেহ বলেন এক্ষণে বাঙ্গালিরা “মাসমানি” ভালবাসেন। t مسالا۹۱