পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৫৭৮

પ્રશાન્ક ] बाबदैोब्दछ। ●帆 গেলেন। কতকাদূর গিয়া ফিরিয়া দাড়াইলেন, হাসিতে হাসিতে একজন বৃদ্ধ পারিষদকে বলিলেন, “বৃদ্ধর প্রেম পরিতে একেবারে বঞ্চিত নহে ।” পরে কতকদুর গিয়া আবার ফিরিয়া বলিলেন “এ প্রেমের প্রতিবাদী নাই।” এই সময় বৃদ্ধ পারিষদ বলিলেন “যথার্থই আজ্ঞা করেছেন এ প্রেমের প্রতিবাদী নাই। আবার দেখুন এ প্রেম বৃদ্ধ যুব সকলেই অধিকারী ।” “ন, সকলে অধিকারী নয়, চুড়াধন বাবুকে তাহা জিজ্ঞাসা করুন,” এই কথা পশ্চাৎ হইতে একজন বলিয়া উঠিল । সকলে ফিরিয়া দেখিলেন যে পিতম পাগলা বৃক্ষতলে বসিয়া কি লিখিতেছিল, রাজাকে দেখিয়া কাগজ কলম হস্তে পশ্চাৎ পশ্চাৎ আসিতেছে। রাজা জিজ্ঞাসা করিলেন “কি পিতম, এখানে ষে ? আমি তোমাকে দেখিবার জন্য পশুশালায় যাইতেছিলাম।” পিতম । মহারাজ আমি পশু নই যে পশুশালায় দেখিতে পাইবেন । যখন লোকে পশুর ন্যায় আমার সহিত ব্যবহার করিয়াছিল তখন তথায় গিয়াছিলাম কিন্তু থাকিতে পারিলাম না, সেখানে বাঘের সঙ্গে বুড় বিরোধ হইল। তা ভাবিলাম যে, আমি যেখানেই যাব সেইখানেই বিরোধ, তবে আর কেন এখানে থাকি, তাই চলিয়া আসিলাম । রাজা । বিরোধ হল কেন ? পিতম | বাঘ কাহারেও ভালবাসে না, নিজের ব্রাহ্মণীকেও ভালবাসে না দাত খিচিয়া যে প্রেমালাপ করে তার সঙ্গে কেমন করে বাস করি । রাজা । বাঘ কি তোমায় ধরে ছিল ? পিতম | ধরে নাই বরং আমিই ধরেছিলাম, তার স্যাজ ধরে টানিয়াছিলাম তাই তার রাগ। তার পূর্বে আমার সঙ্গে অনেক কথা হয়েছিল। রাজা । কি কথা হয়েছিল । .." পিতম। বাঘ বলে যে তোমরা বড় কাপুরুষ, তোমাদের একেবারে সাহস নাই। তাহাতে আমি উত্তর করি যে বটে, বটে, তোমার এ নগরে আসাই তাহার প্রমাণ। বাঘ বলিল আমায় পিঞ্জরবদ্ধ করে রাখা তোমাদের কৌশলের পরিচয় মাত্র, তোমাদের বলবীৰ্য্যের পরিচয় নহে। তোমরা তুৰ্ব্বল, একত্র থাকাই তাহার পরিচয়, যদি তোমরা আমাদের মত বলিষ্ঠ হইতে তাহা হইলে তোমাদের সমাজ কখন স্বজিত হইত না, তোমরা কখন একত্রে বাস করিতে না, সে প্রবৃত্তিই হইত না, সকলে আমাদের স্তায় পরস্পর একা থাকিতে। আমরা পরম্পর সকলেই বীর, কেহ কাহার সাহায্য চাই না এই জঙ্ক আমাদের সমাজ নাই। শুনেছ ত তুৰ্ব্বলের বল সমাজ ।