পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৫৮৭

¢ዓዪ፡ खचक्षुत्रि [ क्रांख्न অতএব যখন সাতাইশ বৎসর বয়সে মমুন্য স্বাধীন হইয়া নিজের উপার্জনে জীবিকানিৰ্ব্বাহ করিতে লাগিল তখন তাহার দেন অগাধ । এখন হইতে সে যদি শুদ্ধ আপনার মত রোজগার করিয়াই ক্ষান্ত তবে সে মহাপাতকী জুয়াচোর, কারণ সে দেন শোধ দিবার কোন উপায় করে না । আবার অনেকে আছেন তাহারা একেবারে স্বাধীনভাবে জীবিকা উপার্জনের কোন উপায়ই করেন না। র্তাহারা সমাজের পরম শত্ৰু, তাহাদিগকে ধরিয়া ফঁাসি দেওয়াই কৰ্ত্তব্য, যেহেতু তাহারা অন্য লোকের ন্যায্য উপার্জনের কড়ি লইয়া অনর্থক নষ্ট করেন, কারণ যে নিজে রোজগার করিবে না তাহার জীবন ধারণই অনর্থক । ডাকাইত, জুয়ারি আর ভিক্ষুক এই তিন জন শেষোক্ত প্রকারের লোক। র্যাহারা আপন ক্ষমতাতীত দেনা করেন পরের টাকা লইয়া দাওমার ব্যবসায় ও বাবুগিরি করেন তাহারাও এই শ্রেণীভুক্ত। অতএব যাহারা শুদ্ধ নিজের মত রোজগার করিয়া ক্ষান্ত হন ও র্যাহারা রোজগার না করেন তাহারা আপনাদেরও কৰ্ত্তব্যসাধনে বিমুখ, তাহাদিগকে সমাজ হইতে বহিষ্কৃত করিয়া দেওয়া উচিত। যাহারা পূৰ্ব্বোক্ত দেন শোধ দিতে প্রাণপণে চেষ্টা করেন ও দেন তাহারা আপন কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম সম্যক সাধন করেন । কিন্তু শুদ্ধ কৰ্ত্তব্যকৰ্ম্ম সাধনই ত জীবনের উদ্দেশু নহে । তাহার উপর আরও কিছু করিতে হইবে। এখানে এক প্রশ্ন হইতে পাবে সমাজের দেনা কিরূপে শোধ দেওয়া যাইতে পারে । তাহার উত্তর এই যে সমাজের উপকার কর । তোমার নিজের সস্তান সন্ততির সুন্দরকুপে প্রতিপালন কর, তাহাদের উত্তমরূপে শিক্ষা দাও, সমাজের যখন প্রয়োজন হইবে তখন তাহার জন্য অর্থ সামর্থ ও প্রাণ দিতেও কুষ্ঠিত হইও না, যাহাতে সমাজের উপকার হয় সৰ্ব্বতোভাবে চেষ্টা কর ; এইরূপেই সমাজের দেনা শোধ হইবে । o কিন্তু মনুষ্যজীবনের উদ্দেশুসাধন শুদ্ধ এই হইলেই হইবে না, বৃদ্ধ অবস্থায় খতাইয়া জেন যদি তোমার দেন থাকে তবে তুমি মনুষ্যজীবনের উদ্দেশু সাধন করিতে পার নাই, যদি ঠিক ঠিক হয় তুমি আপনার কৰ্ত্তব্যকৰ্ম্ম করিয়াছ মাত্র কিন্তু যদি তোমার হিসাবে বেশী থাকে তবে তোমার জীবন সার্থক। যত বেশী থাকিবে ততই তোমার বাহবা। নিজ বুদ্ধিবৃত্তির দ্বারা পার, পরিশ্রমের দ্বার পার, ধন দ্বারা পার কৰ্ত্তব্য যাহা আছে তাহার অপেক্ষা সমাজের অধিক উপকার করিলেই তোমার মনুষ্যজীবন সার্থক । সেকালে এক গল্প শুনিয়াছি, এক রাজার এক মন্ত্রী ছিল । তাহার বেতন লক্ষ টাকা। তাহাকে রাজা জিজ্ঞাসা করিলেন ; মন্ত্রিবর, তোমার এত টাকার