পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৬০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৯২ बछवभञि [8छब्ब ফ্রান্সের কোন সওদাগরের সই করা খত ফ্রান্সে পাঠাইবার চেষ্টা করে। ফ্রান্সের লোকও ইংলণ্ডে টাকা পাঠাইতে হইলে ইংলণ্ডের কোন সওদাগরের সহী করা খত পাঠাইবার চেষ্টা করে। সুতরাং ঐ খতের নিয়মিত ক্রয় বিক্রয় ব্যবসায় চলে ! দালালেরা এই ব্যবসা চালায় । যেমন অন্য ব্যবসায়ে জিনিষ কম ও খরিদদার বেশী হইলে জিনিসের দাম অধিক হয় ও খরিদদার কম ও জিনিস বেশী হইলে জিনিসের দাম কম হয়, খতের ব্যবসায়েও ঠিক তাহাই হয়। কখনও খত অধিক মূল্যে কখন অল্প মূল্যে বিক্রয় হয়। কেবল অধিকের মধ্যে এই যে অন্যান্য জিনিসের মূল্য অনেক বাড়িতে ও অনেক কমিতে পারে, খতের ব্যবসায়ে তাত হয় না ; যদি নিতান্ত অধিক মূল্য হইয়া উঠে তবে লোকে খত না কিনিয়া টাকাই পাঠায় সুতরাং খতের মূল্য টাকা পাঠানর খরচ পর্য্যস্ত বাড়িতে কমিতে পারে ইহার অধিক বা অল্প হইতে পারে না। মনে কর ইংলণ্ড • হইতে ফ্রান্সে এক শত পাউণ্ড পাঠাইতে ২ পাউণ্ড খরচ হয়। ১০০ পাউণ্ড খতের দাম যদি ১০৩ পাউণ্ড উঠে লোকে সে খত কিনিবে কেন ? তাহাতে তাহাদের কি উপকার হইবে । তাহারা নিজের খরচে টাকা পাঠাইলে তাহাদের এক পাউণ্ড লাভ হইবে । অতএব নিয়মিত ব্যবসায়ের এক্সচেঞ্জ, টাকা পাঠানর খরচের অধিক বা অল্প হইতে পারে না । সচরাচর আমরা যে অল্প বিস্তর এক্সচেঞ্জ দিয়া থাকি তাহার কারণ এই, আর কিছুই নহে। মনে যেন থাকে যে টাকা পাঠানর খরচ অপেক্ষা এই এক্সচেঞ্চে অধিক হইতে পারে না । আর এই এক্সচেঞ্জ প্রত্যহ পরিবর্তনশীল । আজ শতকরা ২ টাকা বেশী দিতে হইল, কালি আবার শতকরা ২ টাকা কম। কিন্তু তুই টাকার অধিক কখন উঠিবে না le এখন লোকে মনে করিতে পারেন যে যাহারা খত কিনিবে তাহারাই এক্সচেঞ্জ দিবে। অন্ত লোকে দিতে যাবে কেন ? তাহার উত্তর এই যে বিদেশে টাকা অধিকাংশই ব্যবসায়ীদিগের পাঠাইতে হয় সুতরাং তাহাদের নিকট হইতে জিনিস কিনিতে হইলে তাহারা সেই এক্সচেঞ্জ খরিদদারের নিকট হইতে আদায় করিয়া লইবে । সুতরাং যে কেহ বিদেশের আমদানী জিনিস কিনিবে তাহাকেই এক্সচেঞ্জ দিতে হইবে । আমরা এতক্ষণ যাহা বলিলাম তাহা ফ্রান্স ও ইংলণ্ডে সাজে। কারণ হই জায়গায়ই সোণার টাকা চলন। রূপার টাকার চলন এই দুই দেশে প্রায় নাই • মিল বলেন টাকা পাঠানর উপর আরো কিছু দিতে হয় । ৰে দালাল হইৰে তাহার লাভও দিতে হয়।