পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৬২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Arve ] क्लटब्लग्न बूखोस्त्र WoO চত্র হইতে তাহাদের রোগনাশক গুণ প্রচুর পরিমাণে সঞ্চয় করে। পৃথিবী সমুদ্র ও নদনদীতে যে জোয়ার ভাটা হয় তাহ চন্দ্রের আকর্ষণের উপরই অধিক নির্ভর করে। এই জোয়ার ভাটায় মানবজাতির যে কি পৰ্য্যস্ত উপকার সাধিত হইতেছে । তাহার ইয়ত্ত করা যায় না। অর্ণবযান সকলের যাতায়াতের সুবিধা ; কৃষকগণের ক্ষেত্রে জলসেচনের সৌকর্য্য ও বণিকগণের দেশ হইতে দেশান্তর গমনের উপায় জোয়ার ভাটার উপর বিস্তর নির্ভর করিতেছে । জ্যোতির্বিবদগণ নির্ণয় করিয়াছেন যে, চন্দ্র ১৭• • • উজ্জ্বলতম নক্ষত্রের আলোক ধারণ করে। পরিব্রাটগণ চক্সের সাহায্যে পৃথিবীর দ্রাঘিমা ও অক্ষাংশ সকল নিরুপণ করিয়াছেন। শিশিরবর্ষণকার্ষ্যে চন্দ্রের বিলক্ষণ উপযোগিতা আছে, ঢন্দ্রের শিশিরপ্রভাবেই ওষধি সকল বলবান হয়। এ জন্য চন্দ্রের একটি সংস্কৃত নাম ওষধীশ । এরূপ প্রবাদ আছে যে সমকাটবন্ধের লোকেরা চন্দ্র হইতে আর এক উপকার সাধিত করিয়া লয়। কিন্তু এ কথা কতদূর সত্য, তাহা বলা হায় না। তাহাদের শস্ত কাটিবার যে সময় সেই সময়ে চন্দ্র তিন চারিদিন প্রায় একই সময়ে উদিত হয়। সচরাচর এক তিথি হইতে পর তিথিতে চন্দ্ৰ ৪৮ মিনিট পশ্চাতে উদিত হইয়া থাকে। কিন্তু . সেই কয়দিন চন্দ্র ১৫ মিনিট করিয়া পরে উদিত হয়। চন্দ্রের বক্স পৃথিবীর বক্সের সহিত এক ধরাতলস্থ নহে, উভয় ধরাতলের অবচ্ছেদক বিন্দুর নিকটে যখন চন্দ্র থাকে, তখন চন্দ্রকে কিছু শীঘ্র শীঘ্ৰ উঠিতে দেখি । এই ঘটনাটর সময় যে পূর্ণিমা হয়, তাহাতে চন্দ্রকে দুই তিন দিবস প্রায় ১৫ মিনিট অন্তর করিয়া উঠিতে দেখা যায়। প্রতি বৎসর ২২ এ সেপ্টেম্বরের কাছাকাছি এই ঘটনা ঘটে। ঐ সময় ঘনঘন পূর্ণিমার আলোক পাইয়া কৃষকেরা দিবারাত্রি পরিশ্রম করিয়া শস্ত কাটিয়া লয়। এই জন্য তথায় তৎসাময়িক চন্দ্রকে “হারভেষ্ট" মুন বা ফসলের চন্দ্র কহে" এই হারভেষ্ট মুনের পরেই ঐ সকল দেশে ঝড় বৃষ্টির আশঙ্কা থাকে । এ সকল ব্যতীত চন্দ্র মমুষ্যের মনোরাজ্যে কেমন আধিপত্য করিতেছে। কবির চন্দ্র হইতে কত কল্পনার স্মৃষ্টি করিতেছেন। প্রণয়িগণ চন্দ্রকিরণকে কি পৰ্য্যন্তু না প্রিয় সামগ্রী মনে করেন। ফলত যদি প্রচণ্ড স্বৰ্যসনাথ দিবামানের পর এককালে ঘোর তিমিরাবগুষ্ঠিত যামিনীর তমোমধ্যে আমাদিগকে কাল যাপন করিতে হইত ; যদি ক্লেশসমূহক্লিষ্ট সংসারপীড়ায় পীড়িত হইয়া আমরা চান্দ্রমসী রজনীতে বন্ধুবান্ধবের সহিত প্রাঙ্গণে, উপবনে, বা প্রাস্তরে বিশ্রম্ভালাপে কিয়ৎকাল অতিপাত করিতে না পারিতাম, তাহা হইলে এই রোগ শোক জরাসস্কুল পৃথিবী বাস আমাদের দ্বিগুণতর যন্ত্রণার নিদানীভূত হইত সন্দেহ নাই। চন্দ্র কবিদিগের নিকট নিশানাথ, কুমুদিনীবল্লভ, প্রভৃতি সমাদরসূচক নাম প্রাপ্ত হইয়াছেন।