পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գ8 . श्वथ्राक्षञि। [?खाई তাহার পাশ্বস্থ কোন উজ্জ্বল চিত্রে নাই। সূৰ্য্যমুখী উজ্জ্বলতরগুণে এবং কমলমণি তদপেক্ষাও উজ্জলতরগুণে পরিভূষিতা বটে, কিন্তু কুন্দনন্দিনীতে যে ধীর আবরিত সৌন্দৰ্য, যে কোমল রমণীয়ত, যে অসামান্ত সলজ সৰলতা আছে, তাহা স্বৰ্য্যমুখী ও কমলমণিতে নাই । বঙ্কিমবাবু বিষবৃক্ষের বর্ণোদ্ভাসিত চিত্রভূমি আকিতে আঁকিতে কোথা দিয়া যে এই রমণীরত্বের চিত্র সুস্পষ্ট অথচ মৃদুবর্ণে আঁকিয়া গিয়াছেন, পাঠক তাহ শীঘ্ৰ উপলব্ধি করিতে পারেন না। অপবাপৰ চিত্রের উজ্জ্বল অঙ্কপাতে তাহার চিত্ত এত আকৃষ্ট থাকে যে অশ্রুপূর্ণ বিমলিন কুন্দনন্দিনীর দিকে তাহাব সহজে দৃষ্টিপাত হয় না। কেহ না দেখাইয়া দিলে তিনি যেন দেখিতে পান না । এইজন্য বিষবৃক্ষের সমালোচনার আবশ্বক ; নহিলে বিষবৃক্ষের সৌন্দৰ্য্য এবং গুণাবলী গ্রন্থকাব নিজ অক্ষবেই এমন সুস্পষ্ট দেখাইয দিয়া গিয়াছেন যে, তিনি তীক্ষ দৃষ্টি সমালোচকের জন্য আর কিছুই বাখিয়া যান নাই । বঙ্গের অন্ধ অন্ত:পবীমধ্যে যে সকল কুলকামিনী রমণীবত্ব জন্মে, পৃথিবীর আর কোনখানে সেকাপ জন্মে কি না সন্দেহ । অনেক কারণে এখানে অনেক রমণী পতিপরায়ণতাব পরাকাষ্ঠী প্রাপ্ত হয় । ততদুব পাতিব্ৰত্য অন্যদেশের কুলBBB u KBB BB BBBB BBB BB BBBB BBB BB BB নহে, কিন্তু সূৰ্য্যমুখী অম্বাদেশে নিশ্চয় সুদুৰ্ল্লভ ; তদপেক্ষ কমলমণি, এবং কমলBB BB DDBBB S BBBBBB BBBuDD BBBBBBB BBBB হইয়াছিল, কমলমণি একদিন স্বর্য্যমুখীকে ও পাতিব্ৰতা শিক্ষা দিয়াছিলেন । কুন্দনন্দিনীক পাতিব্ৰতা কায়মনোবাক্যে প্রকাশিত নন্তে বটে, কিন্তু ভজ্ঞতা কিছুতেই নূ্যন নহে, ববং তজ্জন্যই অধিকতর উজ্জল, বিশুদ্ধ, এর পবিত্র বলিয়া প্রতীত হয়। সূর্য্যমুখী অন্তদেশে দুর্লভ, কিন্তু কুন্দনন্দিনী বঙ্গদেশে ও দুৰ্ল্লভ । এখানে যদি দুই শতের মধ্যে একজন সূর্য্যমুখী থাকে, পঞ্চশতের মধ্যে একজন কমলমণি থাকে, তবে সহস্ৰ বঙ্গগৃহবধূর মধ্যে একজন কুন্দনন্দিনী হাঙ্গে কি না সন্দেত । বঙ্গ গৃহবধুর ভীরুতা, নম্রতা, সরলতা, অনভিজ্ঞতা ও কোমলতা যতদূর অনুমান করা যাইতে পারে কুন্দনন্দিনীর ততদূর ছিল । বাস্তবিক কুন্দনন্দিনী মৃন্থপ্রকৃতি বঙ্গগৃষ্ঠবধুর অবয়বী কল্পনা । এইজন্য কুন্দনন্দিনী এদেশেও দুর্লভ। অপর দেশীয় কবি কুন্দনন্দিনীকে কল্পনাতেও আনিতে পারিবেন না। কিন্তু বিরল বলিয়াই, সূৰ্য্যমুখী অপেক্ষা কুন্দনন্দিনী শ্রেষ্ঠতরা নহেন। সূর্যমুখী বঙ্গগুঙ্গের শোভ, কমলমণি গৃষ্ঠধাম গুণে আলোকিত করেন, এবং কুন্দনন্দিনী সেই অন্ধধামের অত্রদেশে মাণিক্যের স্যায় গোপনে উজ্জ্বলিত রহেন । যিনি এরূপ রত্ব চিনিতে পারেন, তিনি তুলিয়া হৃদয়ে ধারণ করেন ; যিনি না চিনিতে পারেন, তাহার মাণিক্য কুন্দনন্দিনীর হ্যায় অবশেষুে সৰ্পের বিষের জ্বালায়ঞ্জল্লিয়া যায়।