পাতা:বঙ্গদর্শন-সপ্তম খন্ড.djvu/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Whe शृङ्क मृ नि । বিজ্ঞানের দ্বারা মীমাংসা হয়, সেইরূপ অন্তর্জগতের সকলপ্রশ্নই দর্শনশাস্ত্র দ্বারা মীমাংসিত হইয় থাকে । মন কি পদাৰ্থ ? ইহা দর্শনশাস্ত্রের প্রথম প্রশ্ন । যত দিন দার্শনিক প্রণালী.প্রচলিত ছিল, ততদিন লোকে বলিত, মন একপ্রকার অদৃশ্য বস্তু। জীবাত্মা, পরমাত্মা, ঈশ্বর প্রভৃতি পদার্থ যেসকল উপাদানে নিৰ্ম্মিত,লোকে মনকেও সেই সেই উপাদানে নিৰ্ম্মিত বলিয়া বোধ করিত । তখন মনের সম্বন্ধে অতি আশ্চৰ্য্য আশ্চৰ্য্য প্রশ্ন উথাপিত হইত। কেহ বলিতেন মন মস্তিক্ষের মধ্যে অবস্থিত, কেহ বলিতেন মন হৃৎকোষে অবস্থিত, কেহ বলিতেন মন শরীরের সর্ব অংশেই আছে, কেহ বলিতেন, মন শরীরের প্রত্যেক অংশে অবস্থিত: ইত্যাদি। স্তু ফলতঃ মন যে শরীয় হইতে এক স্বতন্ত্র পদার্থ, তাঁহাতে সকলেই বিশ্বাস করিতেন । কিন্তু যখন বৈজ্ঞানিক প্রণালী প্রচলিত হইল , তখন আর পুৰ্ব্বোস্তু প্রশ্নসমুহেব স্থল রহিল না । মনুষ্য মনকে এক স্বতন্ত্র পদার্থ বলিয়া গণ্য করিতে স্বীকৃত হইল না। মনের মত কোন পদার্থই পৃথিবীতে দেখিতে পাওয়া যায় না । সুতরাং স্থিরীকৃত হইল যে মন মস্তিষ্কের ক্রিয় মাত্র। এই ক্রিয়া গুলি শাবীরিক অন্ত অন্ত ক্রিয়া হইতে স্বতন্ত্র । কিন্তু যেমন শ্বাসপ্রক্ষেপ, রক্তসঞ্চালন প্রভৃতি শারী: রিক , ক্রিয়া ইন্দ্রিরবিশেষের ক্রিয়া ভিন্ন অন্য কিছুই নহে, মন ও সেইরূপ শারী: (दैछ]ई রিক ক্রিয়াবিশেষ বলিয়া গণ্য হইতে আরম্ভ হইয়াছে । কি কি উপায়ে আমাদের জ্ঞানলাভ হয় ইহাও দর্শনশাস্ত্রের এক অতি নিগুঢ় । প্রশ্ন । সকলেই স্বীকার কয়েন, যে আমরা ইন্দ্রিরহইতে আমাদের জ্ঞানের উপাদান প্রাপ্ত হই। যতদিন দার্শনিক প্রথা প্রবল ছিল, ততদিন ইঞ্জিয়জ জ্ঞান ভিন্ন আর এক প্রকার জ্ঞানে মনুষ্য বিশ্বাস করত । তাহারা বলিত যে মনের এক স্বাভাবিক জ্ঞান প্রদায়িনী শক্তি আছে । আমাদের ইন্দ্রিয়জ জ্ঞান, সকল বিষয়ের সমস্যা স্থির করিতে পারে না। সময় কি, স্থান কি, ঈশ্বর কি, আত্মা কি, প্রভূতি কতক গুলি প্রশ্ন আছে যtহাতে ইন্দ্রিরজ জ্ঞানের কোন রূপ প্রয়োগ করা যায় না । ঐ সকল প্রশ্নের নিৰ্দ্ধারণ কালে আমরা মনের স্বাভাবিকী শক্তিব নিকট হইতে সাহায্য ७;धु झ्डे झा शादि । কিন্তু যখন বৈজ্ঞানিক প্রণালী প্রচলিত হইল, তখন আর মনেব পূৰ্ব্বরূপ শক্তির প্রতি মঙ্গুষ্যের অস্থিা রহিল না । তখন স্থিরীকৃত হইল, যে আমাদের সকল প্রকার জ্ঞানই ইঞ্জিয়জ । নীতিসম্বন্ধেও ঐরূপ মতের পরিবর্তন দৃষ্ট হইবে । যখন দার্শনিক প্রণালী প্রবল ছিল, তখন লোকে বিশ্বাস করিত যে জগদীশ্বর তামাদের মনে আমাদের জন্মকাল হইতেই হিতাহিত বিবেচনার ক্ষমতার হুষ্টি করিয়া দিয়াছেন । কোন