পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* r 8 . বঙ্গদর্শন। দেব) জগতে করল পরকাশ। সেকালে বিস্কাপতির ভাষা বৈষ্ণব ভাবুক ও কবিদিগের নিকট তেমন দুরূহ ছিল না । বৈষ্ণবধৰ্ম্মপ্রচারের পর সাম্প্রদায়িকতার কারণে পদাবলীর চর্চা সঙ্কীর্ণ হইয়া পড়িল । সম্প্রদায় যত বড়ই হউক, জাতির অপেক্ষ ছোট । বৈষ্ণব যাহা ভক্তিপূৰ্ব্বক পড়ে, শাক্ত হয় ত তাহাতে উদাসীন। ক্রমে লোকে বিদ্যাপতির ভাষা ভুলিল, পদাবলী দিনদিন দুৰ্ব্বোধ হইয়া উঠিল। দ্বিতীয় কারণ, লিপিকরের উৎপাত। বৰ্গীর দৌরাত্ম্য দেশের লোককে ছাড়িয়া দেশের পুথিকে আক্রমণ করিয়াছিল। কোন শাসন নাই, কোন নিয়ম নাই, যাহার যেমন ইচ্ছা, সে তেমন লিখে। জ, ন, শ, ইকার, উকার কখন যে কোন ষ্ঠাকার ধারণ করে, তাগর কিছুই স্থিরতা নাই। পরাধীন জাতি এই এক পুথি লিখিবার সময় মনের সাধ মিটাইয়। স্বাধীনতা প্রকাশ করিয়া লইল। এখন, পুথি নকল করা ও ছাপান অক্ষরে বই তৈয়ারি করায় অনেক তফাৎ । মুদ্রাঘন্ত্রে যে অক্ষর সাজায়, সে পাণ্ডুলিপির অক্ষরই দেখে, শব্দের প্রতি লক্ষ্য করে না, শব্দের অর্থ বুঝিবার বিদ্যারও তাহার অভাব। শব্দ সাজাইতে তাহার যে ভ্রম হয়, অপর লোকে বাববার তাহ সংশোধন করিয়া দেয়। কিন্তু যে পুথি লিখে, পুথিগত বিস্কার তাহার একটু অভিমান থাকে । নকল করিবার সময় শব্দ পাঠ করিম লিখে, কেবল একএকটি অক্ষর দেখিয়া লিখে না। কোন কথা না বুঝিতে পারিলে কিংবা কোন শস্ব তাঁহার বিবেচনায় অসঙ্গত বোধ হইলে আর একটি শব্দ বসাইয়া 't ৪র্থ বর্ষ, বৈশাখ। দেওয়া তাহার পক্ষে বিচিত্র নহে। অথচ সে যাহা লিখিবে, তাহ সংশোধন করিবার কোন উপায় মাই। ছাপা অক্ষরের প্রফ দশবার কাটিয়া দেওয়া যায়, কিন্তু হস্তলিখিত পুথিতে হস্তক্ষেপ করিয়া পাঠপরিবর্তনরূপ মহাপাতকের ভাগী কে হইবে ? বিদ্যাপতির পদাবলী একে গীত, তাহার উপর লিপিকরের গুণপন, পরিবর্তন যে অনেক ঘটিয়াছে, তাহ। সহজেই অনুমান করিতে পারা যায়। পাঠপরিবর্তনে পদগুলি অত্যন্ত জটিল ও দুৰ্ব্বোধ হইয়া উঠিয়াছে, অনেকসময় ভিন্ন ভিন্ন পাঠ মিলাইয়াও সদর্থ করা যায় না । স্বতন্ত্র সঙ্কলন প্রথম প্রকাশিত হইবার পর বিদ্যাপতির পদাবলীর আরও অনেকগুলি সটীক সংস্করণ প্রকাশিত হইয়াছে। তাহাতে অর্থবোধের কিছু আমুকুল্য হইয়াছে, কিন্তু এখন ও বহুতর ভ্রম রহিয়াছে। সে কথা পরে বলিতেছি । রাজকৃষ্ণবাবুর প্রথম ও প্রধান সিদ্ধাস্ত . এই যে, মৈথিলভাষায় রচিত বিস্কাপতির অনেক গীত মিথিলায় প্রচলিত আছে এবং তাহাদের ভণিতা এদেশে প্রচলিত ভণিতার অনুরূপ। উদাহরণস্বরূপ তিনি এরুটি গীতের পাঠান্তর ও একটি নুতন গীত উদ্ভূত করেন। পরবর্তী সঙ্কলনকারদিগের পক্ষে ইহা একটি বিশেষ সংবাদ । নুতন পদ এরূপ আর কত আছে এবং এদেশে প্রচলিত কত • গুলি পদের পাঠান্তর মিথিলায় পাওয়া যায়, এই দুইটি বিধয়ের মীমাংসা হওয়া অত্যন্ত আবগুক, কিন্তু এ পর্য্যন্ত স্নার সাতটিমাত্র মৈথিল পূদ প্রকাশিতু, श्रेश्वrश्।. हेशरठ বুঞ্জিতে হইবে যে, হয় মিথিলায় আর পদ ।