পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ সংখ্যা । ] পারা যাইতেছে যে, শুভ অবসরে দোহার সন্মিলন ঘটিতে পারা কিছুই বিচিত্র নহে-- বরং তাছা না ঘটিতে পারাই বিচিত্র। কান্ট, কোথা হইতে পাইলেন যে, আকাশ অলজঘনীর প্রাচীর-কাল অবিমোচ্য বন্ধনরজ্জ্ব ? দুইই শূন্তবৎ অবস্তু, তাছা কি তিনি জানেন না ? আমাদের দেশের শাস্ত্রে লেখে আরএক কথা । আমাদের দেশের শাস্ত্রে লেখে এই যে, আকাশও প্রাচীর নহে—কালও বন্ধন নহে। প্রাচীর হ"চ্চেন অবিদ্যা ( অর্থাৎ নৌকাডুবি । 2%d জ্ঞানাভিমুনিনী অজ্ঞতা ) ; বন্ধনও তিনিই । প্রাচীর ভাঙিবার এবং বন্ধন খুলিবার কত্রী উপরে পরমেশ্বরের সৰ্ব্বশক্তিমতী মঙ্গলেচ্ছা, নীচে জীবের প্রাণুের ব্যাকুলতা এবং মনের একাগ্রতা, মাঝে তত্ত্বজ্ঞানের মুনিৰ্ম্মল আলোকুের অভিব্যক্তি । কাণ্টীয় দর্শনের আলোচনা হইতে আমরা বহুমূল্য সত্য একটি পাইয়াছি—কিন্তু সে সত্য সংশয়বাদ নহে ; তাহা যে কি, তাহ বারাস্তরে প্রকাশ করিবার ইচ্ছা রহিল । শ্ৰীদ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর । নৌকাডুবি । 8X হঠাৎ বিবাহ ভাঙিয়া যাওয়াতে হেমনলিনী তাহাদের সমাজের লোকের কাছে অকস্মাৎ অত্যন্ত প্রকাশিত হইয়া পড়িল । সে তাহার ཝ་རྩྭ་ས་ཐ་ཧྥ, আত্মীয়-পর সকলেরই প্রশ্নের লক্ষ্য হইয়া দাড়াইল। প্রকাগুত। অনেকে ভালও ৰাসে —এমন কি, গুরুতর শোকদুঃখের উপলক্ষ্যেও নিজেকে দশজনের কাছে ফেরি করিয়া বেড়াইতে অনেকে কুষ্ঠিত, হয় না কিন্তু আত্মপ্রচারের স্বভাব হেমনলিনীর নছে। বাণ তাহার বুকের মধ্যে কিরূপ বাজিয়াছে,তাই মন্তৰ্ধাৰ্মাই জানেল—কিন্তু তাহার পরে যখন ক্ষতপরীক্ষার জন্ত চারি দিক্ হইতে কৌতুহলী সম্প্রদায়ের সমাগম হইতে লাগিল, তখন সে কোথায় মুখ লুকাইবে, তাছার স্থান খুজিয়া পাইল না । বেচার স্বভাবত নিতান্তই ঘরের মেয়ে ছিল, বিধাতা যে বাছিয়া বাছিয়া অকস্মাৎ তাহাকে উপন্যাসের নায়িকা করিয়া তুলিবেন, এজন্ত সে কোনোদিন প্রস্তুত ছিল না। e হেমনলিনী বন্ধুত্বের আক্রমণ হইতে আত্মরক্ষার জন্ত একেবারে ছাদে উঠিয়া চিলের কোঠার দ্বার বন্ধ করিয়া দিত। সে নিশ্চয় জানিত, রমেশের ব্যবহার লইয়া তাছার সম্মুখে তীব্র সমালোচনা করিয়া যাই ৰার জন্ত স্বহৃদর, বিশেষত স্ত্রীৰঞ্জরা, অত্যন্ত